মাঝরাতে আজানের শব্দ শুনে ঘুম ভাঙ্গলো আওফের। পাঞ্জাবী, টুপি পরে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল ও। চারদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার। ও সোজা মসজিদের দিকে হাঁটতে লাগলো। কিন্তু আশেপাশের রাস্তা ওর কেমন যেন অচেনা মনে হলো। কিছুক্ষণ পর চারপাশে তাকিয়ে দেখলো ও জঙ্গলের মাঝখান দিয়ে হাঁটছে। কিন্তু ওদের গ্রামে তো জঙ্গল তেমন নেই! তাহলে ও কোথায় আসলো? অবাক হয়ে চারপাশে তাকিয়ে আওফ কিছুটা সামনে এগিয়ে দেখলো একটা পুরানো ভাঙা মসজিদ দেখা যাচ্ছে। আতরের সুগন্ধি ভেসে আসছে মসজিদের ভেতর থেকে। ও ধীরপায়ে মসজিদের ভেতর ঢুকলো। এক কোণে মোমবাতি জ্বলছে। আওফ মোমবাতির আলোতে দেখতে পেল মসজিদে অদ্ভুত দেখতে কিছু লম্বা মানুষ নামাজ পড়ছে। তাদের পুরো শরীর সাদা কাপড়ে ঢাকা। তবে তাদের পায়ের দিকে চোখ পড়তেই যেন দম আটকে আসলো ওর। পা গুলো কেমন বীভৎস দেখতে! তবে সে যাত্রায় ওর কোনো ক্ষতি না হলেও মাদ্রাসায় তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে গিয়ে ও বারবার-ই কীভাবে যেন সেই পুরানো মসজিদেই চলে আসে! আর সেখানে আসলেই ভয়ংকর অশরীরী ওকে ঘিরে ধরে! তাছাড়া ওর মাদ্রাসাতেও শুরু হয় নানা রকম রহস্যময় ঘটনা। আসলে এই পুরানো মসজিদের রহস্য কী? আওফ- ই বা কেন বারবার সেই মসজিদ দেখছে? তবে কী এসবের মাঝে ভয়ংকর কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে?
#অদ_ভুত ভয়ংকর। এরকম গল্প প্রতিনিয়ত আমাদের উপহার দিবেন সেই আশা রাখবো।😊
Read all reviews on the Boitoi app
Best
ভাইয়ার সব গল্পই অনেক সুন্দর ❤️
প্রথম দিকে যখন পড়তে শুরু করি‚ তখন তেমন একটা ভালো লাগেনি। মনোযোগ রাখতে পারিনি। নিজের মনের উপর জোর খাটিয়েই অনেকটা পড়তে আরম্ভ করি। অধ্যায় এক শেষ করে দুইয়ের মাঝ বরাবর আসতে আসতে আর কোন কিছু খেয়াল ছিল না। এতটা ডুবে ছিলাম। রহস্য‚ ভয়… সব মিলিয়ে দারুণ হয়েছে। ভাবছি আবার রাতে খোলা জানালার পাশে বসে আরো একবার পড়ব। এতে সম্ভবত আরো বেশি উপভোগ করব। ভালো লেগেছে। 🤍