ভীষণ চঞ্চল টাইপের মেয়ে সেরিন অথচ হুট করেই একজনকে চিত্তে স্থান দিয়ে বসে। মানুষটা তার হবে কী'না সন্দেহ! সে জানে, "মানুষ যাকে তীব্র ভালোবাসে, খুব করে পেতে চায় সে নাকী তাকেই হারায়। এই ভয় চিত্তে হানা দিলেই জেনো সব এলোমেলো হয়ে যায় তার। মস্তিষ্ক এবং চিত্ত জুড়ে শুধু হারানোর সুর বাজে। “মানুষ হুট করে প্রেমে পড়ে আবার কারণ ছাড়া ভালোবেসে ফেলে। আবার হুট করেই আকস্মিক প্রবাহে সব এলোথেলো হয়ে যায়। আমাদের ভালোবাসার মানুষটাও সেই আকস্মিক প্রবাহে অন্য কারোর জীবনের সাথে গেঁথে যায়। তখন ভালোবাসার মানুষকে ভালোবেসে এক আকাশ পরিমান দুঃখ ছাড়া আর কিছুই পাই না।” কিছুক্ষণ রুমে পায়চারি করে সেরিন। মনে,মনে আওড়ায়, “সব অনুভূতি হয়না প্রকাশিত। থাক না কিছু অনুভূতি ব্যক্তিগত।” আনমনা হয়ে কলেজে যায় সেরিন। নিশাতের সাথে ব্যপারটা শেয়ার করে সেরিন। তখন নিশাত শুধায়, “এই জন্যই বলেছিলাম তোকে যেটা হবে না সেটা নিয়ে না ভাবতে।” “মানুষ কখন কার প্রেমে পড়ে এটা বলা যায়না। হুট করে ভালো লাগে,হুট করে প্রেমে পড়ে আবার হুট করেই ভালোবেসে ফেলে।অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা মানুষের থাকলে ‘ভালোবাসার পাগলামি’ বলতে কিছুই থাকতো না।” “শোন কাউকে ভালোবাসলে সেটা প্রকাশ করা উচিত। নাহলে এই আক্ষেপটা আজীবন বয়ে বেড়াতে হবে।” “বলে দেবো?” “যদি সাহস হয় তো বলে দে।” “যদি মা'রে আমায়?” “পাগ'ল তুই? মারবে কেন?” “যাহ আমি পারবো না।” “বলে দে। আক্ষেপটা আজীবনের জন্য বয়ে বেড়ানোর চেয়ে সাহস বাড়িয়ে বলে দে তোর মনের কথা।” সেরিন চুপসে যায়। ক্লাস শেষ করে শুভ্রর রুমের দিকে যায় সে। আজকে শুভ্র তাকে বেয়াদব উপাধি দিলেও তার কিছু যায় আসবে না। অনেক ভেবেছে সেরিন। বেহায়া মনের সাথে পারছে না সে। শুভ্রর রুমের সামনে দাঁড়িয়ে সেরিন বলে, “মে আই কাম ইন স্যার?” শুভ্র তাকায়। আজকে সেরিন এসেছে। মুচকি হেঁসে বলে, “ইয়েস কাম ইন।” “স্যার… “বলুন?” “আমি… “কী?” “আপনাকে… “আমাকে কী?” “আমি আপনাকে ভালোবাসি।” তারপর? শুভ্র কী বললো সেরিনকে? জানতে হলে পুরো ই-বুকটি পড়তে হবে।