পরম করুণাময় ও অসিম দয়ালু আল্লাহর নামে :: মহান রাব্বুল আলামীন অসংখ্য নবী-রাসূল এই ধরাধামে প্রেরণ করেছেন। বিশ্ব ইতিহাসে মুহাম্মদ (সা.)-এর চেয়ে আর কোন মহান ব্যক্তিত্বের আবির্ভাব দুনিয়ার জমিনে ঘটেনি -যা মানুষকে উত্তম চরিত্র গঠনের মধ্য দিয়ে সুন্দর সমাজ ব্যবস্থা গড়তে সাহায্য করে। সমস্ত সৃষ্টিকুল আল্লাহর পরিবার। আর মানুষের প্রয়োজনের জন্যই সৃষ্টি সমগ্র। পারিবারিক উত্তম সর্ম্পকে সকল কল্যান নিহিত। একটি শক্ত রশি তৈরীতে প্রতিটি সুতাই মজবুত রাখতে হয়। কেননা, কম-বেশী মজবুত মিশ্রন দিয়ে তৈরী রশি হলেও সেই দূর্বল রশি পরে অকেজো হয়ে পড়ে। ব্যাক্তি ও সমাজ চরিত্রও তদ্রুপ একটি রশির মতো। ইবাদত-বন্দেগীর সাথে নৈতিক গুনাবলী এবং সদাচরণের সংমিশ্রন না থাকলে যোগ্য হিসেবে দাবী করা যায় না। মানুষের যোগ্যতা নির্ভর করে অন্তরের পরিচ্ছন্নতা বা পবিত্রতার উপর; কাগুজী সার্টিফিকেটের নয়, নয় নির্জলা বন্দেগীর উপর। উত্তম আদর্শের মধ্যে দিয়েই বিকশিত হয় মানুষের মনুষত্ব। আল্লামা ইকবাল আক্ষেপ করে বলেছেন- “আমাদের লাভ-লোকসান সবই এক। আমাদের সকলের নবী এবং দ্বীনও এক, ক্বাবা ও পবিত্র কোরআনও এক। হায়! কতই না ভালো হতো, যদি মুসলমানরাও এক হতে পারত।”