বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আমাকে ১৯৮৩ সালে হাজ্জ চিকিৎসক দলে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। হাজীদের সেবা, চিকিৎসা ও হাজ্জব্রত পালনের সৌভাগ্য লাভ করায় আমি মহান আল্লাহর নিকট অনিঃশেষ শুকরিয়া জানাই Ñআলহামদুলিল্লাহ। মহান আল্লাহর নির্দেশ এবং রসূল সাল্লাল্লা-হু ‘আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর অনুসরণে সুন্নাত মোতাবেক হাজ্জ পালনার্থে আল কুরআন ও সহীহ হাদীস ঘেটে তখন থেকেই বই লেখার সিদ্ধান্ত নেই। কারণ বাংলাদেশের হাজীদের বেশিরভাগই সুন্নাতসম্মতভাবে হাজ্জ পালন করতে ব্যর্থ হন। ঢাকার সাপ্তাহিক আরাফাত পত্রিকায় হাজ্জ মেডিক্যাল টিমে চুয়ান্ন দিন নামে আমার প্রবন্ধ বের হয়। প্রবন্ধটি লেখার জন্যে আমাকে অনুপ্রেরণা দেন মাওলানা এ. এস. এম রফিকুল ইসলাম এবং ঐ পত্রিকার সম্পাদক মুহাম্মদ আব্দুর রহমান বিএবিটি। পরবর্তীতে এশিয়া পাবলিকেশন্স-এর ইসমাঈল হোসেন বকুল সহীহ হাজ্জ-‘উমরাহ্ ও স্বাস্থ্যকথা নামে বইটি ছাপালে আল্লাহর নিকট সংশ্লিষ্ঠ সকলের ইহকাল-পরকাল কল্যাণের জন্য দু‘আ করি। এ দেশের হাজ্জ যাত্রীরা বিদেশে আমাদের প্রতিনিধি। সুন্দর আচরণের গুণেই যেন বিদেশে আমাদের সুনাম বৃদ্ধি পায়। প্রতিক‚ল আবহাওয়ার দরুণ অনেক হাজী সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেজন্য স্বাস্থ্যবিধী প্রসঙ্গে প্রয়োজনীয় আলোচনা করা হয়েছে। হাজ্জ পালনকালে তাঁরা যেন নিজের ও পরিবারের সকলের, এই বইয়ের লেখক ও তাঁর পরিবারের সকলের এবং এ দেশ ও মুসলিম জাতির প্রতি আল্লাহর ক্ষমা ও করুণার জন্যে দু‘আ করেন। মহান আল্লাহর কাছে আমার প্রার্থনা, তিনি বইটির উদ্দেশ্য, প্রয়োজনীয়তা ও কল্যাণ ব্যাপক করে দিন এবং এ খিদমতের মাধ্যমে জান্নাতুল ফিরদৌসের তাওফীক্ব দিন। বইতে ভুল পেলে আমাকে জানালে, পরবর্তীতে সংশোধন করা যাবে Ñইন্শা-আল্লাহ। এই গ্রন্থে বর্ণিত আরাফাত ময়দানে পঠিত দু‘আগুলো দৈনন্দিন জীবনে পাঠ করতে পারেন। যাঁরা হাজ্জ করতে পাড়ছেন না কিংবা যাঁদের উপর হাজ্জ র্ফয নয় তারাও নিজেদের দৈনিক ‘আমলে এই দু‘আগুলো পড়বেন।