গত ২০০ বছর ধরে এদেশের সিংহভাগ মানুষের আক্বীদা-বিশ্বাসের উপর আঘাত হানার জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে নাস্তিক্যবাদী যে নিয়মিত চক্রান্ত অব্যাহত রয়েছে, তার একটি বাস্তব দৃষ্টান্ত হল এদেশের শিক্ষাব্যবস্থা। বৃটিশদের চাকুরীজীবী, পেশাজীবী ও কেরানী তৈরী করার লক্ষ্যে নিবেদিত ও ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের দর্শনে পরিচালিত শিক্ষাব্যবস্থা এদেশের আম জনমানসের শাখায়-প্রশাখায় এমনভাবে পাশ্চাত্যের ভোগবাদী জীবনাদর্শকে ঢুকিয়ে দিয়েছে, যা থেকে পরিত্রাণের কোন উপায় যেন নেই। স্বাধীনতার পর যতগুলো শিক্ষাক্রম এসেছে, প্রতিটি শিক্ষাক্রমেই একটু একটু করে গেড়ে দেয়া হয়েছে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের বীজ, আর পালা দিয়ে কমানো হয়েছে মুসলিম হিসাবে আত্মপরিচয় গঠনের সুযোগগুলো। এই ধারাবাহিকতায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২২ এদেশের মুসলমানদের আত্মপরিচয় গঠনের মূলে আরো এক গভীর কুঠারাঘাত। এতদিন ইসলামী শিক্ষার নামে যৎসামান্য কিছু শেখার ব্যবস্থা থাকলেও নতুন শিক্ষাক্রমে 'ইসলামী শিক্ষা' নামে কোন বিষয় নেই। এর পরিবর্তে 'মূল্যবোধ ও নৈতিকতা' নামক যে বিষয়টি রয়েছে, সেটিও আবার দশম শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষার তালিকায় নেই। ২০১৩ সালে 'ইসলাম শিক্ষা' বিষয়টির নামকরণ যখন 'ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা' করা হয়, তখন সম্ভবত পরবর্তী পদক্ষেপের কথা ভেবেই রাখা হয়েছিল, যা এখন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। অপরদিকে কলেজে ২০১২ শিক্ষাক্রম থেকেই 'ইসলাম শিক্ষা' বিষয়টি বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে বাদ দেয়া হয়েছিল। কেবল মানবিক বিভাগে ঐচ্ছিক বিষয় হিসাবে রাখা হয়েছে। অর্থাৎ শিক্ষা নিয়ে কারসাজির এই ধারাবাহিকতা থেকে সহজেই অনুমান করা যায়, কিভাবে পাঠ্যসূচী থেকে ইসলাম শিক্ষাকে স্থায়ীভাবে বিলুপ্ত করা যায়সেটাই পিছনের কুশীলবদের মূল লক্ষ্য।
নাইস
Read all reviews on the Boitoi app