পুরুষ শাসিত সমাজে ছেলে সন্তানের অজুহাত দেখিয়ে অনায়াসেই দ্বিতীয় স্ত্রী গ্রহণ করে ফেলে পুরুষ । পেছনে রেখে যায় সীমাহীন যন্ত্রণার পাহাড়, সন্তানদের জন্য রেখে যায় পদেপদে দুর্ভোগ। হার না মানা নারী সাবেরা একাই মানুষ করতে থাকে দুই কন্যা সন্তান অহনা আর আরাধ্যাকে। কিশোর বয়সে প্রেমের হাতছানিতে গা ভাসায় দুই অবোধ কিশোর কিশোরী মিতুল আর অহনা, এক ঝড়ের রাতে ঘটে যায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। পালটে যায় সব, ছিন্ন হয়ে অসম্পূর্ণ থেকে যায় জীবনের একটি অধ্যায়। পোড় খাওয়া কিশোরী অহনা নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে সমাজের উঁচু স্থানে তবুও মনের কোনে নিভুনিভু প্রদীপ হয়ে জ্বলে কিশোর বেলার প্রেম। তার এই প্রেম কি সম্পূর্ণতা পাবে? পুত্র সন্তানের আশায় ছেড়ে যাওয়া পুরুষ জীবনে কতটা সুখি হয় নাকি ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসে। জানতে হলে উপন্যাসিকাটি পড়ুন। বইটইয়ের সাথে থাকুন।
সুন্দর ঝরঝরে লেখা গল্পটা,একটানে শেষ করলাম ভালো লাগলো। সাবেরার মতো নারীদের জন্য মন থেকে শ্রদ্ধা আসে। অহনা আর আরাধ্যার সাফল্যে আনন্দিত হয়েছি। কিন্তু মিতুল এ কী করল? সামান্য কারণে এত বড়ো সিন্ধান্ত নিলো এটা মানতেই কষ্ট হচ্ছে। মিতুলের মায়ের মতো দু'মুখো চরিত্র আমাদের চারপাশে অনেক আছে। শেষটা খুব ভালো লাগলো। সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে অহনার দাদাকে। দারুণ একজন মানুষ। তবে গল্পটা বেশ জলদি শেষ হয়ে গেলো। আরেকটু পড়ার ইচ্ছে ছিলো। আর একটা জিনিস একটু খারাপ লেগেছে,গল্পে বেশকিছু টাইপো ছিলো যেগুলো পড়ার সময় সমস্যা করেছে।
Read all reviews on the Boitoi app
গল্পটি পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে। পুরুষশাসিত সমাজের চোখে নারী অসহায় কিন্তু সবকিছুর ঊর্ধ্বে তারা মনের তীব্র ইচ্ছাশক্তি আর কঠোর তপস্যার মাধ্যমে জয় করতেও শিখে যায়।সাবেরারা তো এই সমাজের অদম্য নারী যারা সকল প্রতিকূলতা পাড়ি দিয়ে সফলতার সাথে বেঁচে থাকে। সাবেরার মতো মায়েদের জন্যই অহনারা জীবনে ঘুরে দাড়াতে শিখে যায় । মিতুলরা কাপুরুষতা নিয়েই বেঁচে থাকে....