"তানিশা আপুর গল্প মানেই অন্য রকম একটা ভালো লাগা কাজ করে, বরাবরই তানিশার আপুর সব গল্পই আমার ভালো লাগে, তবে হৃদয়হরণী টা সব সময় একটু বেশি ভালো লাগে আমার কাছে, বিশেষ করে ছোয়া চরিত্র টা অনেক বেশি ভালো লাগে, সাদির কথা তো বাদই দিলাম, আমি, সাদির তার চরিত্রে দিক থেকে একদম ঠিক ছিল, মোট কথা তানিশা আপুর গল্প মানেই সেরা হবে, 🥰🥰🥰🥰🥰"
পুরুষের অতি নিকটে অন্য নারীর অবয়ন মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে ছোঁয়ার। পুরুষটি কত যত্নে আগলে রেখেছে নারীটিকে। পুরুষালি শক্তপোক্ত হাতের ভাজে সেই নারীর নরম তুলতুলে হাতখানা। মেয়েটির অধরকোণে চমৎকার হাসি। যেনো সে এই পুরুষটিকে পেয়ে বিশ্ব জয় করে ফেলেছে। কিছু একটা নিয়ে কথা বলছে মেয়েটা এবং ক্ষণে ক্ষণে হেসে উঠছে। আর পুরুষটি তার সুদর্শন মুখখানা গম্ভীর করে রেখেছে। যেনো সে হাসতেই জানে না। তবে গভীর মনোযোগ দিয়ে শুনছে নারীটির বক্তব্য এবং মাথা নাড়িয়ে সায় জানাচ্ছে। তাদের এই সুন্দর মুহূর্ত ছোঁয়ার নরম তুলতুলে মনখানা বিষিয়ে দিচ্ছে। অসহ্য যন্ত্রণা দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে হৃদয় আঙিনায়। আঁখিপল্লবে টলমল করছে অশ্রুকণা। যখন তখন গড়িয়ে পড়বে দুই গাল বেয়ে। হাঁসফাঁস লাগছে। হাত-পা মৃদু কাঁপছে। দীর্ঘ এক বছর যাবত শখের পুরুষের হৃদয়ে অন্য নারীর অস্তিত্ব টের পেয়েছে। কিন্তু নিজ চোখে কখনোই তাদের একত্রে দেখে নি। বহুবার আল্লাহকে নালিশ জানিয়েছে, "তাদের যেনো একত্রে কখনোই দেখতে না হয়," কিন্তু তবুও আজকে দেখতে হলো। স্কুল থেকে ফেরার সময় সদর দরজা পা রাখার আগেই দেখতে পায় বাগানের ঠিক মাঝখানটায় সাদা গোলাপ গাছের পাশে দুজন নরনারীর অবয়ন। সাদা গোলাপ গাছখানা ছোঁয়ার। ছয় মাস হলো পুঁতেছে। এনে দিয়েছে সাদি। স্কুল থেকে ফেরার পথে ভ্যান গাড়ির ওপর দেখেছিলো গোলাপ গাছ। কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা না থাকায় কিনতে পারে নি। বাসায় ফিরে আবদারের সুরে বাবাকে জানায়, "তার এই ফুলগাছ লাগবে।" ব্যস্ততায় সেলিম মেয়ের আবদার পূরণ করতে ব্যর্থ হয়ে টাকা দেয় ফুলগাছটা কেনার জন্য। কিন্তু পরেরদিন সেই ভ্যান গাড়ি উধাও হয়ে যায়। গোটা মহল্লা চক্কর দিয়েও সেই ভ্যান গাড়ির সন্ধান পায় না ছোঁয়া। হতাশ এবং ব্যর্থ হয়ে বাসায় ফেরে। গোটা দুই দিন না খেয়ে পড়ে ছিলো নিজ কক্ষে। অতঃপর একদিন সন্ধ্যা বেলা তিনটে গোলাপের চারা এনে সাদি ডাকে ছোঁয়াকে। সাদির ডাক উপেক্ষা করার সাহস নেই ছোঁয়ার। চোখের পানি মুছে গুটিগুটি পায়ে দরজা খুলেছিলো। পরমুহূর্তেই সাদির হাতে ফুলের চারা দেখে মুহূর্তেই মন খারাপ ভ্যানিশ হয়ে গিয়েছিলো। সাদি ছোঁয়ার হাতে ফুলের চারা দিয়ে বলেছিলো, "খেতে আয়, আমি অপেক্ষা করছি।" দারুণ খুশিতে পাক্কা দশ মিনিট লাফিয়েছিলো ছোঁয়া। সেই সন্ধ্যা বেলাতেই বাগানে গাছ পুঁতে তবেই খেতে বসেছিলো। এবং একাই দুই প্লেট খাবার সাবাড় করে ফেলেছিলো। হা হা। সেই ফুল গাছে ফুলও ফুটেছে বেশ কয়েকটা। ছোঁয়ার ইচ্ছে ছিলো প্রথম ফোঁটা ফুলখানা দিয়ে ভালোবাসার কথা জানাবে সাদিকে। কিন্তু সাহস হয়ে ওঠে নি। শুধু লুকিয়ে চুকিয়ে একখানা গোলাপ রেখে এসেছিলো সাদির শার্টের বুক পকেটে। যাকে ভালোবেসে প্রতিনিয়ত বদ্ধ উম্মাদে পরিণীত হচ্ছে ছোঁয়া। সেই পুরুষটি দিব্যি অন্য নারীর সংস্পর্শে নেচে-কুঁদে গল্প করছে। মুহূর্তেই চোখের রং পরিবর্তন হয়। রাগে চোয়াল শক্ত হয়ে আসে। ওদের এক সাথে থাকতে দিবে? কখনোই না। "হৃদয়হরণী"
সুন্দর
Read all reviews on the Boitoi app
Just wow....onke sundor hoice
তানিশা আপুর লেখা বরাবরই আমার ভালো লাগে। তার মধ্যে সবচেয়ে ভালো লাগে হৃদয়হরনী। সাদি-ছোঁয়া আমার পছন্দের জুটি। ওদের নিয়ে বারবার পড়তে ভালো লাগে। এই জুটি নিয়ে লেখা আমার কাছে কখনো পুরনো হবে না। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর জুটি পাঠকদের উপহার দেওয়ার জন্য। তাই বলবো এই ই-বুকটা ও অসম্ভব সুন্দর হয়েছে।
অনেক সুন্দর গল্পটা
ভালো লেগেছে
জাস্ট অসাধারণ একটা গল্প, আমার এতো ভালো লাগছে বলে বোঝাতে পারবোনা।ছোঁয়া সামির দুষ্ট মিষ্টি কথা গুলো এতো এনজয় করছি এতো সুন্দর ছিল এককথায় অসাধারণ। গল্পটা পরছি আর হাসছি, আর আপনি এতো সুন্দর গল্প লিখেন গল্প পরেই মন ভালো হইয়ে যায়।
Pore kamon lage bolbo apu .onak Valo lagce 🥰❣️🥰🥰..
তোমার সাথে আমার পরিচয়ের পথ বেশি বড় না।হৃদয়হরণী দিয়ে। কি বলবো বলো আপু।সৌন্দর্য এর তো ভাষা হয় কি কোনো কিছু যখন তার মাত্রা ছাড়িয়েে অতিসৌন্দর্যে পৌঁছে যায়। তাকে কি আর প্রকাশ করার ভাষা থাকে।এমনই ছিল তোমার এই গল্পটা।
পছন্দের গল্প। অনেক সুন্দর।
Golpo ta aro boro korle khusi hotam bt sundor