ইবরাহীম (আ.) মানুষকে তাদের এক রবের ইবাদত করার জন্য চূড়ান্ত চেষ্টা করেন এবং তাঁর সঙ্গে আর কাউকে শরিক না করা এবং তিনি ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করার ব্যাপারে নিষেধ করেন। এজন্য তাদের ভয় দেখান, তার প্রতি আকৃষ্ট করেন এবং তার কাছে আত্মসমর্পণ করার কথা বলেন এবং খাঁটিভাবে তাওহিদের ওপর থাকার গুরুত্বারোপ করেন। চাই সেটা তাদের কর্মকাণ্ড হোক, উদ্দেশ্য হোক এবং তাদের বক্তব্য হোক তা যেন সালাত (দোয়া), ইবাদত, জীবন ও মৃত্যু সবই শিরকমুক্ত হয়ে এক পবিত্র সত্তার জন্য হয়। একইভাবে তিনি পুত্রসন্তানদেরও একই দাওয়াত দিয়েছেন। তারা যেন এক আল্লাহর ইবাদত করে, তারা যেন আল্লাহর সঙ্গে কোনো শরিক না করে, এক মুসলিম উম্মাহতে পরিণত হয়। তাদের মধ্যে রাসূল পাঠানো হয় যারা হকের পথে দাওয়াত এবং সিরাতুল মুস্তাকীমে থাকবে। আল্লাহর কিতাবের আয়াত তেলাওয়াত করে শোনায় এবং তাদেরকে কিতাবের শিক্ষা দান করে এবং হিকমত শিক্ষা দেয়। এবং তাদের পরিশুদ্ধ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে। এই ছিল ইবরাহীম (আ.)এর দোয়া। আল্লাহ তাঁর দোয়া কবুল করেন এবং তাঁর বংশেই শেষ নবী মুহাম্মাদ (স.)কে নবী করে প্রেরণ করেন।