সন্ধ্যের আগ মুহূর্ত। কুহু কোচিংয়ে না গিয়ে একাই এসেছে নদীর পাড়ে। পা ভিজিয়ে বসে আছে নদীর পানিতে। মলিন মুখ। অশ্রুসিদ্ধ চোখ। সে অপলক তাকিয়ে আছে নদীর ছোটো ছোটো ঢেউয়ের দিকে। ঢেউগুলো তীরে আসার আগেই বড় ঢেউয়ের ধাক্কায় হারিয়ে যাচ্ছে। এত চেষ্টাতেও তীর অবধি পৌঁছাতে পারছে না৷ কিছু কিছু সম্পর্কগুলোও এমন। বুঝে ওঠার আগেই তাল কেটে যায়। সুঁতো ছিড়ে যায়। গতরাত থেকে কেঁদে যাচ্ছে সে। হিসাব মিলাতে পারছে না। কারণ রিদওয়ান ওর প্রোপোজাল রিজেক্ট করেছে। এটা সে মানতে পারছে না। কষ্টে বুক ফেটে যাচ্ছে। দম বন্ধ হয়ে আসছে। হঠাৎ বাইকের হর্ণ শুনল সে। তবুও ফিরে তাকাল না। লাগাতার হর্ণে বাজাতে দেখে বিরক্ত হয়ে তাকাল সে। দেখে রিদওয়ান বাইকে বসে আছে। তাকে দেখামাত্রই তার কান্না বেড়ে গেল। মুখ ঘুরিয়ে কুহু নীরবে কাঁদতে লাগল। তখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। এদিকটা বেশিই নিরিবিলি। লোকজনের উপস্থিতিও নেই। কুহু এবার উঠে দাঁড়াল। রাগে দিকশূন্য হয়ে রিদওয়ানের দিকে তেড়ে গেল। রিদওয়ান ততক্ষণে বাইক থেকে নেমে দাঁড়িয়েছে। কুহু গিয়ে স্বজোরে রিদওয়ানের বুকে এক ধাক্কা দিলো। আচমকা এমন করায় রিদওয়ান এক পা পিছিয়ে গেল। তখন কুহু ক্ষ্যাপাটে সুরে বলল, -'রিজেক্ট করে মজা দেখতে এসেছেন? মজা নেওয়া হচ্ছে। খুশি লাগছে খুব?' -'তাতো তো একটু লাগছেই।' -'আপনি বর্বর, পাষান্ড, নিকৃষ্ট একটা মানুষ। আপনার মতো জঘন্য মানুষ আমি দুটো দেখি নি।' -'ধন্যবাদ।' একথা শুনে কুহু ঠোঁট ভেঙে কাঁদতে লাগল। তারপর হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে চোখ মুছে যখন চলে যাবে। তখন হাতে বাঁধা পেল। পরক্ষনেই দুই গালে পেল কারো হাতের স্পর্শ । রিদওয়ান তার মুখ তুলে চোখে চোখ রাখল। মিটিমিটি হাসল। কুহু মুখ ঘুরিয়ে নিতে চাইলে জোর করে তার দিকে ফেরাল। তারপর স্বযত্নে কুহুর চোখের লেপ্টানো কাজল বৃদ্ধাঙ্গুল দিয়ে মুছে দিয়ে কাঙ্ক্ষিত উত্তরটি একটু ঘুরিয়ে পেঁচিয়েই দিলো, -'হয় তুমি; নয়তো কেউ না।
খুবই সুন্দর একটা গল্প মন ছুঁয়ে গেছে। রূপক রেদোয়ানের বন্ধুত্ব টা দারুন লাগছে এক কথায় অসাধারণ 🥰🥰
Read all reviews on the Boitoi app
আলহামদুলিল্লাহ। সবে তো নিলাম।এবার শুধু পড়ার পালা।পড়েই আলহামদুলিল্লাহ জানাবো বিস্তারিত যে কেমন লাগলো। আপাতত ফিলিংস খুশি খুশি😀😀😀
আসসালামু আলাইকুম কেমন আছো আপু? গল্পটি প্রথম দিকে মজা + দৃস্টিকটু লাগছিলো। কারণ: মজা লাগছিলো রিদওয়ানের পকেট কুহু আর ওর ফ্রেন্ডস রা ফাঁকা করা করেছিলো, দৃষ্টিকটু লাগছে বন্ধুর বোনকে তুই বলা। যতোই নিজের আপন বোনের মতো দেখুক তাও তুই বলা আমার কাছে পছন্দ হয়নি। আর পরে লুকিয়ে নায়িকার রুমে রাতে যাওয়াতে তার মা বিয়ে দেওয়াতে ভালো লেগেছিলো, আর বন্ধু ভুল বুঝে রিদওয়ানের সাথে খারাপ আচরণ করার পরও, বন্ধুত্ব অটুট রেখেছে, এঈটা খুবই ভালো লেগেছে। আলাদা সংসার করা কুহু+রিদওয়ানের ভালো লেগেছে। কুহু লবণ চড়া করে খিচুড়ি রান্না করাতে রিদওয়ান ভালোবেসে খেয়ে ফেলাতেও খুব ভালো লেগেছে+বাইরে থেকে খাবার এনে রাখা। সব মিলিয়ে গল্পটি খুব ভালো লেগেছে।
কাহিনি প্লট সবই সুন্দর ছিলো। তবে কিছু কিছু জায়গায় শব্দ চয়নে অসংগতি ছিলো। ওভারঅল কাহিনি ভালোই। সব চেয়ে বেশি মন ছুয়েছে রুপক-রেদওয়ানের বন্ধুত্ব। এমন নিঃস্বার্থ বন্ধুত্ব খুবই বিরল। লেখিকায় লেখনশৈলী প্রসংশা পাওয়ার যোগ্য।