কুরবানীর নিয়ত করার সাথে সাথে স্মরণ করুন প্রায় সাড়ে চার হাযার বছর পূর্বে ইব্রাহীম ও ইসমাঈলের অশ্রুতপূর্ব কুরবানীর কথা। স্মরণ করুন, আল্লাহর হুকুমে বৃদ্ধ বয়সের চোখের মণি একমাত্র সন্তান ইসমাঈলকে নিজ হাতে ছুরি চালিয়ে হত্যায় উদ্যত পিতা ইব্রাহীমের কথা। স্মরণ করুন, সেই অটুট আত্মনিবেদনের তাৎক্ষণিক পুরস্কার হিসাবে জীবন্ত ইসমাঈলকে ফিরে পাওয়ার আনন্দাপ্লুত পিতার অনন্য চেহারার কথা। স্মরণ করুন, সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর হুকুমে তাঁর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে সৃষ্টিজগতের সর্বাধিক প্রিয় বস্ত্তকে উৎসর্গ করার অতুলনীয় স্মৃতির কথা। ত্যাগ ও ভোগের মিলিত আনন্দ নিয়ে মুমিনের উপর বিধিবদ্ধ হয়েছে কুরবানীর ইলাহী বিধান। যা মুমিন হৃদয়ে সৃষ্টি করে শয়তানের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যাওয়ার আপোষহীন উত্থান। ভোগের আনন্দ ক্ষণিক। কিন্তু ত্যাগের আনন্দ স্থায়ী ও মহিমান্বিত। ভোগের আনন্দ দুনিয়াতেই সীমিত। কিন্তু ত্যাগের আনন্দ দুনিয়া ও আখেরাতে পরিব্যপ্ত। ইসলাম ত্যাগ ও ভোগের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করেছে ও আল্লাহর জন্য ত্যাগকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। ত্যাগ মানুষকে বিনয়ী, সহনশীল, সংযমী ও সর্বোপরি মানবতাবাদী হ’তে শিক্ষা দেয়। কুরবানী উপলক্ষে ঈদুল আযহা সেই মহান ত্যাগেরই এক অনন্য উৎসব।