মানুষের বিবর্তনের বিষয়েও রসায়নের নিজস্ব বক্তব্য রয়েছে। জীবনের প্রতিটি অভিব্যক্তিই অজস্র রাসায়নিক প্রক্রিয়া বা বিক্রিয়াসংলগ্ন। রসায়ন ও তার নিয়মাবলি ব্যতিরেকে জীবনের কর্মকাণ্ড, ক্রিয়াকলাপ অনুধাবন অসম্ভব। রসায়নের শাখা-প্রশাখা এত দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে এবং পাচ্ছে যে সব মিলিয়ে তাকে অনুধাবন করা কিংবা তার মধ্যে অনুপ্রবেশ করা একজন মানুষের পক্ষে সাধ্যাতীত। প্রকৃতিবিজ্ঞানের পাঠক্রমে সূচক বা নির্দেশক (indicator) কাকে বলে? এই প্রশ্নের উত্তরে লেখা থাকে, যে সব পদার্থ অ্যাসিড ও ক্ষার দ্রবণে আলাদা আলাদা রং ধারণ করে; এবং তাদের রং পরিবর্তনের মাধ্যমে অ্যাসিড ও ক্ষারের পারস্পরিক প্রশমনক্রিয়ার সমাপ্তিক্ষণ নির্দেশ করে, তাদের সূচক বা নির্দেশক বলে। অর্থাৎ সূচক বা নির্দেশক অ্যাসিড-ক্ষারের প্রশমনক্রিয়ার প্রশমনক্ষণটি নির্দেশ করে। তা ছাড়া নির্দেশকের সাহায্যে আম্লিক (অ্যাসিডিক) বা ক্ষারীয় দ্রবণকে শনাক্ত করা যায়। প্রশমন ক্রিয়ায় সাধারণত লিটমাস, মিথাইন অরেঞ্জ এবং ফেনলপথ্যালিন সূচক তিনটি ব্যবহৃত হয়। নির্দেশকগুলো মৃদু জৈব অ্যাসিড বা মৃদু জৈব ক্ষারক শ্রেণির যৌগ।