অসংখ্য বিখ্যাত ফারাও রাজাদের মধ্যে ‘তুতেনখামেন ছিলেন মােটামুটি অখ্যাত একজন। তিনি ছিলেন বিখ্যাত ফারাও আখেনাতেন ও রাণী নেফারতিতির সন্তান। কিন্তু এ কারণে তিনি বিখ্যাত নন। তিনি বিখ্যাত হয়ে ওঠেন তার মমি আবিষ্কারের পর। পৃথিবীর ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত যত মমি আবিষ্কৃত হয়েছে। তার প্রায় প্রত্যেকটিতেই চোর-ডাকাতদের হাত পড়েছিল। কিন্তু কিশাের ফারাও তুতেনখামেনের সমাধিটি ছিল অখ্যাত। চোরেরা এই সমাধিতে প্রবেশ করলেও মমি পর্যন্ত পৌঁছুতে পারেনি। ফলে তুতেনখামেনের মমি ও এর সঙ্গে যাবতীয় ধন-সম্পদ থেকে যায় অক্ষত। পরবর্তীতে ১৯ শতকের প্রথম দিকে ১৯২২ সালে হাওয়ার্ড কার্টার ও তার দল তুতেন খামেনের সমাধিতে পৌঁছুতে সমর্থ হন। এর ভেতরকার বিপুল পরিমাণ ধন-সম্পত্তি পৃথিবীজুড়ে আলােড়ন সৃষ্টি করে। এখানেই শেষ নয়, মমি আবিষ্কারের পর থেকে একের পর এক রহস্যময় ঘটনা ঘটতে থাকে। এর সঙ্গে জড়িত প্রায় প্রত্যেকেরই রহস্যজনক মৃত্যু ঘটে। ধারণা করা হয় এসব তুতেন খামেনের মমির অভিশাপ। সারা বিশ্বেই এটি এখন তুতেনখামেনের অভিশাপ নামে পরিচিত। সত্যি কী অভিশাপ বলে কিছু ছিল?