জনপ্রিয় চিত্রনায়ক শ্রেয়াস সালমান যাকে ভালোবাসে; সে ছাড়া পুরো দুনিয়ার অসংখ্য সুন্দরী রমণী তার জন্য পাগল! কেন? কী সমস্যা পিয়েতার? লাবনীর শ্বশুরবাড়ি পুরোনো হলেও বেশ বনেদি আর টিপটপ করে গোছানো। বিয়ের পর ছুটিতে বাসায় এলে অদ্ভুত সব ঘটনার মুখোমুখি হতে থাকে মেয়েটি। অন্ধ দাদী শাশুড়ির ঘরের সামনে দিয়ে গেলেই হুংকার ভেসে আসে, "কিডা যায়?" এক সকালে বাড়ি ফিরে এক অপ্রীতিকর দৃশ্য দেখে আতংকে চোখ ঠিকরে বের হয়ে আসতে চায় তার অক্ষিগোলক। "তুমি এ অসময়ে এখানে কী করছো?" শাশুড়ির অস্তিত্ব টের পেতেই সাঁই করে ঘাড় ঘোরালো লাবনী! তার মানে তিনি সবকিছু আগে থেকেই জানতেন? কিন্তু কী সেটা?
#তুই_আরেকটু_আনমনে_থাক_রিভিউ |এক| ‘তুই আরেকটু আনমনে থাক’ সুলেখক সুস্মিতা জাফরের প্রথম ই-বুক। বারো পর্বের ছোট্ট উপন্যাসিকায় সমান্তরালভাবে শ্রেয়াস, পিয়েতা, লাবনী আর আবিরের গল্প বলে গিয়েছেন। দমকা হাওয়ার মতো মেডিকেল কলেজ পড়ুয়া লাবনীর জীবনে প্রেম এসেছিল। সে প্রেমের পরিণতিও পায় একদিন। কিন্তু নাটকীয় জীবনের কখন কী হবে কেউ জানে না। নাটকীয় জীবনের মোড়ে দাঁড়িয়ে লাবনী জানে না সামনে তার জন্য কী অপেক্ষা করছে। অপরদিকে ড. পিয়েতা, মানসিকভাবে ক্লান্ত, বাস্তবতার মঞ্চে পিষ্ট এক রমণী। সুখের প্রজাপতির খোঁজ করলেও কেন জানি প্রজাপতিটা ধরাই দেয় না। চিত্রনায়ক শ্রেয়াস সালমান, বহু রমণীর আকাঙ্ক্ষিত পুরুষ শেষে কি না মন দিয়ে বসলো ড. পিয়েতাকে। কিন্তু ড. পিয়েতার সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই। কিন্তু কেন? |দুই| জীবনে থেমে থাকার কিছু নেই, নিয়মের মতো চলবে। আর আমরা কেবল নতুন নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে সামনের পথে পা বাঁড়াব। 'তুই আরেকটু আনমনে থাক' শুধুই কি ভালোবাসার গল্প? ভালোবাসার গল্প হলেও লেখক চমৎকার একটা মেসেজ দিয়েছেন। পর্নোগ্রাফি আসক্তি খুবই সেনসিটিভ একটা ইস্যু। পর্ণ আসক্তি কীভাবে নিজের শারিরীক, মানসিক এমনকি দাম্পত্য জীবনে নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে সে মেসেজটাই দিতে চেয়েছেন। তারা এতটাই ফ্যান্টাসিতে ভোগে যে দিনশেষে বাস্তবতা আর কল্পনার ফারাক করতে পারে না। নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারে। তাছাড়া অপরাধকে প্রশ্রয় দিলে তা কেবল ক্ষতিই করে যায়। একজন মা যখন দেখেছে তার ছেলে অন্যায় করছে তা প্রশ্রয় না দিয়ে বোঝানো বা কাউন্সিলিং করানো উচিত ছিল কিন্তু তিনি কোনোটাই করেননি। ছেলের অপরাধে তিনিও সমান অপরাধী। আবার অনেকেই ভাবেন মেডিকেলের ছয় বছর পরেই স্ট্রাগল শেষ। কিন্তু স্ট্রাগল একজন মেডিকেল স্টুডেন্টকে চান্স পাওয়ার পর থেকেই করতে হয়। আবার অনেকে ডাক্তারকে যেভাবে কসাইয়ের সাথে তুলনা করে ট্রিট করেন, ভুলেই যান তারা আছে বলেই চিকিৎসা পাচ্ছেন। যেহেতু লেখক নিজেও একজন ডাক্তার, সে তিক্ত অনুভূতিগুলোই প্রকটভাবে ফুটে উঠেছে।আরেকটা মেসেজের কথা না বললেই নয়।পরিস্থিতি যাই হোক নিজের আত্মসম্মান বিকানো চলবে না। সবকিছুকে দূরে ফেলে স্ট্রং হয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়া খুব কঠিন কাজ। পরিস্থিতি সামলে সামনে এগিয়ে যাওয়া দৃঢ়প্রত্যয়ী নারীটিকে বেশ ভালো লেগেছে। অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে বলা যায়। |তিন| ছোট্ট উপন্যাসিকায় চরিত্রায়নের প্রশংসা না করলেই নয়। একেক চরিত্র একেকভাবে ফুটিয়ে তুলে তার ভেতরকার অন্তর্দ্বন্দ্ব দেখানো খুব কঠিন কাজ। এখানে লেখক প্রতিটি চরিত্রকে খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। বাস্তবতার ছোঁয়ায় একেকটা চরিত্রের মানসিক টানাপোড়েন সুনিপুণভাবে খুব কাছ থেকে দেখিয়েছেন। তবে রাহাত চরিত্রটা রহস্যময়। হুট করে এসে হুট করেই আবার মিলিয়েও গেছে। লেখকের লেখনশৈলীও সাবলীল। খামোখা টেনে-হিঁচড়ে গল্প বাড়াননি। সমান্তরালভাবে গল্প এগিয়ে গিয়েছে। পাঠককে গল্পের মাঝে আটকে রাখার ক্ষমতা আছে উনার। খানিকটা প্রেডিক্ট করেছিলাম কী হতে পারে তবে শেষের চমকটা বেশ ছিল। যদিও শেষটা অস্পষ্ট। বলা যায়, পাঠকদের উপর ছেড়ে দিয়েছেন। তবে পাঠকের উপর ছেড়ে দেওয়াতেই গল্পের সৌন্দর্য্য মনেহয় ঠিকঠাক ছিল। |চার| পরিশেষে ভালো-মন্দ মিলিয়েই পাঠ্যানুভূতি। আমি কোনো এক্সপেকটেশন রাখিনি তবে বলতেই হয় বেশ সুন্দর সময় কেটেছে। ভালোবাসা সবসময় মধুর গল্পই শোনায় না কখনো কখনো তিক্ততার গল্পও শোনায়। পার্টনার যতই লয়াল হবার নাটক করুক না কেন যে ঠকানোর দিনশেষে ঠকাবেই আর যে পাশে থাকার হাজারো বাধা-বিপত্তিতে পাশে থেকে যাবে। সবকিছুকে ছাপিয়ে ইবুকটি নিজস্বতার ছাপ রেখে গিয়েছে। এ গল্প কেবল শ্রেয়াস, আবির, লাবনী বা পিয়েতার নয় এ গল্প আশেপাশে থাকা হাজারো চরিত্রের যা আমাদের চোখে পড়ে না। সুস্মিতা জাফরের লেখা এই প্রথম পড়া। সবমিলিয়ে পাঁচের মাঝে চার রেটিং দেয়াই যায়। যারা সামাজিক-রোমান্টিক জনরা ভালোবাসেন চমৎকার একটা গল্প উপভোগ করতে পারবেন। হোস্টেলে থাকলে পুরোনো স্মৃতি মনে করে নস্টালজিকও হতে পারেন। আর দামটাও হাতের নাগালে। মাত্র ষাট টাকা, পাওয়া যাবে বইটই অ্যাপ্সে। লেখকের পরবর্তী লেখার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
Read all reviews on the Boitoi app
#তুই_আরেকটু_আনমনে_থাক_রিভিউ ভালোবাসা এক শুদ্ধ অনুভূতির নাম। কিন্তু ভালোবাসা নামক সম্পর্কে কি সবসময় সুখ বিরাজ করে! করে না। কেউ ভালোবাসে সঙ্গীর কাছ থেকে পায় বিশ্বাসঘাতকতা, আবার কেউ পায় উপেক্ষা। কেউ ভালোবেসে প্রতারিত হয়ে নতুন কোনো সম্পর্কে যুক্ত হতে ভীত হয়ে যায়, আবার কেউ সঙ্গীর অগোচরে একাধিক অনৈতিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। কিন্তু তবুও কিছু মানুষ নিঃস্বার্থভাবে ভালোবেসে যায়, প্রমাণ করে ভালোবাসার শুদ্ধতা। তেমনই কিছু চরিত্র ও তাদের জীবনের গল্প নিয়ে রচিত হয়েছে লেখক সুস্মিতা জাফর আপুর ই-বুক ❝তুই আরেকটু আনমনে থাক❞। ◾কাহিনী সংক্ষেপ: বিখ্যাত অভিনেতা শ্রেয়াস সালমান একটি অপারেশনের পরবর্তী জটিলতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হলে সেখানে তার সাথে পরিচয় ঘটে চিকিৎসক পিয়েতার। সুদর্শন শ্রেয়াস অনেক নারীর স্বপ্নের পুরুষ হলেও পিয়েতা তার প্রতি তেমন কোনো আগ্রহ প্রকাশ করে না। এই উদাসীনতার কারণ কি শুধুই পিয়েতার কঠিন ব্যক্তিত্ব বা দাম্ভিকতা? না-কি অন্য কোনো গূঢ় রহস্য এর পিছনে লুকিয়ে রয়েছে? অপরদিকে, মেডিকেল কলেজের ছাত্রী লাবনী ও এক মাল্টিন্যাশনাল সংস্থায় চাকুরীরত আবির একে অপরের সাথে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ। তাদের সম্পর্কে কি কখনো পূর্ণতা লাভ করবে? কেমন হবে তাদের ভবিষ্যত জীবনের গল্প? পিয়েতা ও লাবনীর জীবনের গল্প কি দুটি ভিন্নধারায় প্রবাহিত হয়? না-কি কোনো এক পর্যায়ে গিয়ে তাদের গন্তব্যে গড়ে ওঠে যোগসূত্র? ◾পাঠপ্রতিক্রিয়া : মেডিকেল কলেজের ছাত্রী লাবনী ও চিকিৎসক পিয়েতার জীবনের গল্পই ❝তুই আরেকটু আনমনে থাক❞ উপন্যাসিকাটির প্রধান উপজীব্য। দু'জনের জীবনপ্রবাহ সমান্তরাল পথে এগিয়ে গিয়েছে কাহিনীর আবর্তনের সাথে সাথে। কোথাও গিয়ে কি তাদের গন্তব্য মিলে যাবে? এই প্রশ্নের উত্তর জানার কৌতূহলই আমাকে সমাপ্তি পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায়। কিন্তু কৌতূহল নিবারণের জন্য যে দারুণ চমক আমার অপেক্ষায় ছিল তা কোনোভাবেই অনুমেয় নয়। উপন্যাসিকার ঘটনাপ্রবাহের মধ্য দিয়ে যেমন তুলে ধরা হয়েছে মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের জীবনধারা, তেমনি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে হাসপাতালে একজন চিকিৎসকের দিনলিপি। মানুষের সেবা করার মহান ব্রত নিয়ে একজন ডাক্তার চিকিৎসা নামক পেশায় যুক্ত হন। তার দক্ষতা ও সততার উপর অনেক সময়ই একজন অসুস্থ মানুষের জীবনের সুস্থতা নির্ভর করে। কিন্তু একজন মানুষের জীবন-মরণের নিশ্চয়তা কি তিনি দিতে পারেন? পারেন না। এই ক্ষমতা একমাত্র মহান সৃষ্টিকর্তার হাতে ন্যস্ত। কিন্তু আমাদের দেশে একজন রোগীর সুস্থতা নিশ্চিত না হলেই ডাক্তারকে দায়ী করা হয় এবং তাদের সাথে খারাপ আচরণ করা হয়। নারী চিকিৎসকের ক্ষেত্রে কর্মক্ষেত্রে একটু বেশিই অনুকূল পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এই অনৈতিক বিষয়কে লেখক কাহিনীর মধ্য দিয়ে চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। ❝এ লোকগুলো কোনোভাবেই মেনে নিতে পারে না; মেয়েরা ডাক্তার হতে পারে। এদের কাছে নারী মানেই সিস্টার! অথচ এখনকার যুগে মেডিকেল কলেজগুলোতে মেয়েরাই বেশি চান্স পাচ্ছে।❞ ই-বুকের কাহিনীতে শুধু চিকিৎসাক্ষেত্রের বিভিন্ন দিককেই উপস্থাপন করা হয়নি, তুলে ধরা হয়েছে মানব চরিত্রের বিভিন্ন দিককে। চরিত্রের স্খলনে একটি সুন্দর সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাওয়ার প্রত্যক্ষ উদাহরণ যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে বিশ্বস্ততা, সততা ও ভালোবাসার মাধ্যমে একটি সম্পর্ক মধুর হওয়ার গল্প। উপন্যাসিকাটিকে যেমন তুলে ধরা হয়েছে পিতামাতার অন্ধ ভালোবাসায় সন্তানের চরম অবনতির প্রমাণ, তেমনি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বিপদে সন্তানের পাশে বাবা-মায়ের দৃঢ় অবস্থানকে। সবকিছুকে ছাড়িয়ে যে বিষয়টি আমাকে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করেছে তা হচ্ছে এক নারীর লড়াই, যে সকল বাধা অতিক্রম করে নিজেকে নিয়ে গিয়েছে এক সম্মানজনক অবস্থানে। উপন্যাসিকাটির চরিত্রগুলো নিজ নিজ অবস্থানে যথার্থ ছিল। ই-বুকটি পড়তে গিয়ে মনে হচ্ছিল আমাদের চারপাশেই এদের অবস্থান। কিছু কিছু চরিত্রের জীবনের গল্প যেমন মন ভারাক্রান্ত করে তুলছিল, অন্যদিকে কিছু চরিত্রের কর্মকাণ্ড মনে ঘৃণা ও রাগের সৃষ্টি করেছে। পিয়েতাকে লেখা শ্রেয়াসের চিঠিটি পড়ার সময় মনে হচ্ছিল যেন মন খারাপের এক দমকা বাতাস বয়ে যাচ্ছে। সূচনাতে কাহিনীর মধ্যে যোগসূত্র খুঁজতে গিয়ে কিছুটা মনঃসংযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও যত কাহিনী সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল তত আকর্ষণ অনুভব করছিলাম। ই-বুকের সমাপ্তি আমাকে ছোটোগল্পের অনুভূতি দিচ্ছিল। মনে হচ্ছিল আরও কিছুটা থাকলে হয়তো ভালো হতো! চরিত্রদের জীবনের গল্প আরও কিছুটা জানতে পারলে ভালো লাগতো। ❝তুই আরেকটু আনমনে থাক❞ লেখকের প্রথম ই-বুক হলে পরিপক্ক লেখনশৈলীর জন্য বেশ ভালো লেগেছে। দুয়েকটি বানান ভুল থাকলেও তা পড়ার ক্ষেত্রে তেমন কোনো সমস্যা সৃষ্টি করেনি। লেখকের পরবর্তী ই-বুকের জন্য শুভকামনা রইলো। রিভিউ শেষ করছি ই-বুকের দুইটি বাক্য দিয়ে - ❝এয়ারপোর্টের লাউঞ্জ ভর্তি মানুষ বিস্মিত হয়ে দেখছে, খয়েরি রঙের গাদোয়াল পরিহিত এক অনিন্দ্য সুন্দরী রমণী দিশেহারা হয়ে কাঁদতে কাঁদতে ছুটে চলেছে... তার এক হাতে একটা নীল রঙের খাম।❞ ◾ই-বুক বৃত্তান্ত : ই-বুকের নাম ~ তুই আরেকটু আনমনে থাক লেখক ~ সুস্মিতা জাফর পর্বসংখ্যা ~ ১৩ মূল্য ~ ৬০ টাকা
❝ভালোবেসে, সখী নিভৃতে যতনে আমার নামটি লিখো তোমার মনের মন্দিরে❞ ভালোবাসা নামক সোনার হরিণের জন্য আমরা যেকোনো কাজ করতে প্রস্তুত।ভালোবাসা তো গোপনেই সুন্দর। সকল বাঁধা বিপত্তি অতিক্রম করে হলেও আমরা ভালোবাসা অর্জন করতে চাই।কিন্তু দিনশেষে আমরা কি সেই ভালোবাসা অর্জন করতে সক্ষম হই?ভালোবাসার মানুষ নির্বাচন করার ক্ষেত্রেও আমাদের সর্বদা সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। যাতে আমাদের দিনশেষে ঠকতে না হয়। নামকরণ ও প্রচ্ছদঃ “তুই আরেকটু আনমনে থাক” ই-বুকটার নামের মাঝেই কেমন একটা শান্তি শান্তি ভাব কাজ করে।ই-বুকের নামের সাথে ই-বুকের কাহিনির যথার্থতা রয়েছে।আমরা কারো ভালোবাসা উপলব্ধি করতে পারি আবার কারো ভালোবাসা উপলব্ধি করতে পারি না।হয়তো নিয়তির যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে কঠোর হয়ে যাই তাই তো ভালোবাসা উপলব্ধি করতে পারলেও তার ব্যাপারে উদাসীন হয়ে পড়ি।কিন্তু দিনশেষে সেই ভালোবাসার জন্য মরিয়া হয়ে যাই। “তুই আরেকটু আনমনে থাক” ই-বুকটার প্রচ্ছদ টা যে কি সুন্দর।প্রচ্ছদে দেখানো মনোরম দৃশ্যটার মতো যদি ই-বুকেও ওইরকম একটা সুন্দর মুহূর্ত থাকতো তাহলে দারুণ লাগতো।আর প্রচ্ছদ টা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। কাহিনি সংক্ষেপঃ কাহিনির সূত্রপাত ঘটে একটা সিনেমার শুটিং এর মাধ্যমে।যেখানে জনপ্রিয় সুপারস্টার শ্রেয়াস সালমান এক শটেই বাজিমাত করে দেখিয়েছে।পরিচালক আরমান ফাহিম ও শ্রেয়াসকে নিয়ে গর্বিত এবং সে শ্রেয়াস সালমানের সাথে কাজ করে আরাম পায়।রেস্টরুমে ঢুকে সোফায় শরীর এলিয়ে দিয়ে ব্ল্যাক কফিতে চুমুক দিয়ে ফোনে মগ্ন হয় এই সুদর্শন যুবক।সকালে ‘গুড মর্নিং' মেসেজ দিয়েছিল সে সীন হলেও ও প্রান্ত থেকে কোনো রিপ্লাই আসে নি।নয়টা মিসড কল ফুটে উঠেছে স্ক্রিনে। মেসেজ না দিক ভেবেছিল গত ছয় ঘন্টায় অন্তত তার কথা একবার মনে করবে সে।মুহূর্তেই মনটা খারাপ হয়ে গেল নায়কের।কারন নয়টা মিসড কলের একটা ও পিয়েতার কাছ থেকে আসেনি।ওর কি একবারও শ্রেয়াসের কথা মনে পরে না? কিন্তু কেন? কে এই পিয়েতা? আর কেনই বা একজন সুদর্শন নায়ক প্রতিনিয়ত তার অপেক্ষায় থাকে? পল্লীকবি জসিমউদ্দীনের বাড়িতে ঘুরাঘুরি আর জম্পেশ আড্ডা শেষে হোস্টেলে ফেরার পথে লাবুনীর টনক নড়লো যে সন্ধ্যা হয়ে গেছে।ফোনের রিং বেজে উঠলে ফোন বের করে মুখের হাসি চওড়া হলো লাবুনীর।স্ক্রিনে ভেসে উঠেছে প্রিয় একটা নাম...আবির! কে এই আবির? লাবুনীর সাথে কি বা তার সম্পর্ক?লাবুনীর ভালোবাসা তাকে ভাসাবে নাকি দুঃখের অতল গহ্বরে নিয়ে যাবে জানতে হলে পড়তে হবে সুস্মিতা জাফর আপুর লেখা “তুই আরেকটু আনমনে থাক” ই-বুকটি। পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ প্রিন্স ডায়নার একটা বিখ্যাত উক্তি আছে,“আমি যাকে ভালোবাসি, সে ছাড়া পুরো বিশ্ব আমাকে ভালোবেসেছিল।” আসলে আমরা যাকে চাই তাকে হয়তো পাই না কিন্তু ভাগ্য সহায় থাকলে ভালোবাসার মানুষকে আপন করে নিতে পারি।কিন্তু সেই ভালোবাসার মানুষটা যে সবসময় আমাদের জন্য সঠিক হবে এমনটা নয়।আমরা যাকে ভালোবাসি তাকে গ্রহণ না করে যে আমাদেরকে ভালোবাসে তাকে গ্রহণ করলে ভালোবাসার কমতি থাকে না। আমি এই প্রথম সুস্মিতা আপুর ই-বুক পড়লাম।আমি কোনো কিছু পড়ার আগে তেমন কোনো আশা রাখি না।তো প্রথমেই ভেবেছিলাম রোমান্টিক উপন্যাস যেহেতু হয়তো কাহিনি চলতে থাকবে এবং শেষ নায়ক নায়িকার মিল হলে কাহিনি খতম।কিন্তু এটার মাঝে যে সাসপেন্স থাকবে তা আশা করিনি।আর বলে না “জোর কা ঝটকা ইয়া জোরোছে লাগা” ঠিক এই রকম অবস্থা আমার ছিল।কি হবে না হবে আগাম ধারনা করতে পারছিলাম না এবং পরে এমন ভাবে শকড হয়ে যাবো বুঝতে পারিনি।আমি কিছু পড়তে বসলে পুরো শেষ না করে উঠতে পারি না।তখন মনে হয় কি হবে পরবর্তী, অতীতে কি ছিল,এত নিকৃষ্ট মানুষ হতে পারে একরকম টানটান উত্তেজনা কাজ করে।যখন পড়া শেষ করি তখন ভালো লাগায় মনটা ছেঁয়ে যায়। “তুই আরেকটু আনমনে থাক” উপন্যাসটি একটা সুন্দর ভালোবাসার গল্প।এখানে রয়েছে একটা ঘৃণ্য পরিবারের ঘৃণ্য কর্মকান্ড,ভালোবাসার মানুষের থেকে পাওয়া ধোঁকা,একজন সংগ্রামী মেয়ের কাহিনি,অতীত জেনেও একটা মেয়েকে নিজের সবটা উজাড় করা একজন পুরুষের ভালোবাসা এবং পরিশেষে ভালোবাসা উপলব্ধি করা। আমরা যারা ডাক্তার হওয়া নিয়ে বিভিন্ন ধ্যান ধারনা পোষণ করি যে ডাক্তার হওয়া খুব সহজ এবং ডাক্তার হওয়ার পর নিশ্চয়ই বেতন অনেক থাকে,কোনো কাজ করতে হয় না,ডাক্তার হওয়ার পর আর পড়াশোনা নেই এবং ডাক্তার হতে পারলেই খুব সুখী জীবন যাপন করা যায়। আমাদের এই রকম চিন্তা ভাবনা সম্পূর্ণ ভুল যা “তুই আরেকটু আনমনে থাক” উপন্যাসটি পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পেরেছি।ডাক্তার হওয়া মোটেও সহজ নয় এবং ডাক্তার হওয়ার পরও দায়িত্বের কমতি থাকে না আর পড়াশোনার তো শেষই নেই। “তুই আরেকটু আনমনে থাক” উপন্যাসটির সাথে আমার জার্নি বেশ ভালো ছিল এবং সময়টা উপভোগ করতে পেরেছি।কখনো হেসেছি আবার কখনো দুঃখে মনটা ভরে গেছে আবার কখনো শান্তির বাতাস বয়ে গেছে হৃদয়ে। চরিত্রায়নঃ শ্রেয়াস সালমান: একজন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক।যেখানে সব সুন্দরী রমণীরা তাকে পছন্দ করে সেখানে নায়ক তার মন দিয়ে বসে আছে একজন সাধারন ডাক্তারকে।একজন মানুষ অতীত জেনেও যে কতটা ভালোবাসতে পারে তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ শ্রেয়াস সালমান।এই নায়কের ভালোবাসার গভীরতা যতই উপলব্ধি করেছি ততই মনে হয়েছি নিঃসন্দেহে তার মনের রমণী ভাগ্যবতী। পিয়েতা: একজন এমবিবিএস ডাক্তার।যার সারাদিন কাটে অক্লান্ত পরিশ্রমে।যার কারনে নিজের শখ কখনোই পূরণ করতে পারে না।নিজের মাঝে ভালোবাসা নিয়ে থাকা আত্মবিশ্বাস টা ভঙ্গুর হয়ে গিয়েছিল এবং যখন ভালোবাসা বুঝতে পারে দিগবিদিক হারিয়ে ছুটে যায় ভালোবাসার কাছে। লাবনী: সদ্য ডাক্তারি পড়া একজন যুবতী।ভালোবেসে ফেলে মনের মানুষকে।ভালোবেসে বিয়ে করার পর বুঝতে পারে জীবন আসলে সহজ নয়।মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে আছে কিছু ঘৃণ্য মানুষ। আবির: এই চরিত্রের কথা মুখে আনতেও ঘৃণা হয়।মানুষ কতটা নিকৃষ্ট হতে পারে তার চরম উদাহরণ। এছাড়াও শুধুমাত্র দ্বিতীয় পর্বে এই চরিত্রের উপস্থিতি রয়েছে তবুও চরিত্রটা আমার এতোটা মন কেড়ে নিয়েছে তা বলার মতো না।আর সে হলো রাহাত।লাজুক এবং ভিতু প্রকৃতির এই ছেলেটাকে খুবই ভালো লেগেছিলো। প্রিয় লাইনঃ ১.“আচ্ছা, তার চেহারা বা শরীরে কোথাও কি কমতি আছে?পিয়েতা কেন একবারও তার দিকে চোখ রেখে কথা বলে না?কেন একবারও মুগ্ধতা নিয়ে তার দিকে তাকায় না?” ২.“সে কি দেখতে এতই খারাপ? না কি পিয়েতা তাকে ভালোবাসে না?” ৩.“বিয়ে হলেই খালি দুলাভাই হয় নাকি রে? বান্ধবীর প্রেমিক মানেই আমাদের দুলাভাই।” ৪.“আমি তোমাকে জোর করবো না।তবে এটা ঠিক,রিজেক্ট হলে আমি উন্মাদ হয়ে যাবো।আই নিড ইউ,পিয়েতা।” ৫.“তবে আমি পৃথিবীর সব মানুষকে চিৎকার করে জানাতে চাই, আই লাভ ইউ পিয়েতা!” ভালো না লাগার দিকঃ “তুই আরেকটু আনমনে থাক” উপন্যাসটি আমার বেশ ভালো লেগেছে।তবে আমি চাইছিলাম আবিরের কঠোর শাস্তি হোক।লাবুনীকে হারানোর ফল বুঝতে পারুক।যারা এত বড় অন্যায় করেছে তারা শাস্তির যোগ্য।এছাড়া শেষটা কেমন তাড়াহুড়ো লাগলো।শেষ হয়েও হইলো না শেষ। পিয়েতা কি শ্রেয়াসের দেখা পেয়েছিলো কি না জানতে পারলে ভালো হতো।লেখিকা হয়তো এনডিং টা আমাদের হাতে ই তুলে দিয়েছেন।যাই হোক “তুই আরেকটু আনমনে থাক” ই-বুকটা চমৎকার ছিল। লিখনশৈলী ও প্লটঃ লেখিকার লিখনশৈলী বেশ দারুণ ছিল।ঝরঝরে লেখা অনুভব করতে পেরেছি।পড়তে কোনো অসুবিধা হয়নি।লেখিকার লেখার হাত বেশ চমৎকার। এছাড়া সুস্মিতা আপু গল্পের প্লট নির্বাচনের ক্ষেত্রে বেশ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।ইউনিক একটা প্লট ছিল। বানানঃ “তুই আরেকটু আনমনে থাক” উপন্যাসে বানান ভুল ছিল।অনেকগুলো চোখেও পড়েছে।তবে তা সমস্যার সৃষ্টি করেনি।মাত্রাতিরিক্ত বানান ভুল থাকলে তা পড়ার ক্ষেত্রে বাঁধা প্রদান করে।তবে উপন্যাসটিতে বেশি বানান ভুল ছিল না। পরিশেষে এটুকুই বলবো,“তোমারে যে চাহিয়াছে একদিন,সে জানে তোমারে ভোলা কি কঠিন!” ই-বুক: তুই আরেকটু আনমনে থাক লেখক: সুস্মিতা জাফর জনরা: সামাজিক, রোমান্টিক পৃষ্ঠা: ১২৭ মূল্য: ৬০৳ রেটিং:৪.৫
#তুই_আরেকটু_আনমনে_থাক_রিভিউ ★ই বুক বৃত্তান্ত : ----------------------- নাম : তুই আরেকটু আনমনে থাক লেখক : সুস্মিতা জাফর পর্বসংখ্যা : ১৩ মূল্য : ৬০ ৳ ★সংক্ষিপ্ত কাহিনী : --------------------------- গল্পটা যতটা শ্রেয়াস সালমান আর পিয়েতার ঠিক ততটাই লাবনীরও। শ্রেয়াস পেশায় একজন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক অন্যদিকে পিয়েতা একজন চিকিৎসক। বেড়াল চোখের, কোকড়া চুলের এত সুদর্শন শ্রেয়াসকে কেন গুরুত্ব দেয়না পিয়েতা? কোনো বিশেষ কারণ আছে কি? লাবনী মেডিকেল স্টুডেন্ট। লাবনীর জীবনে একজন বিশেষ মানুষ আছে যার নাম আবির। একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে জব করে আবির। দুজনেই সম্পর্কের প্রতি ভীষণ যত্নশীল। আবির আর লাবনীর সম্পর্কের পূর্ণতা পাবে কি? জানার জন্য পড়তে হবে সুস্মিতা জাফর এর ❝ তুই আরেকটু আনমনে থাক ❞ ইবুকটি। ★অনুভূতি কথন : --------------------------- ❝ তুই আরেকটু আনমনে থাক ❞ ই বুকটিতে পিয়েতা ও লাবনীর গল্প সমান্তরালে অগ্রসর হয়েছে৷ ডাক্তারদের দৈনন্দিন জীবনের গল্প দারুণভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। কতটা প্রেশারে যায় একেকটা দিন। মাথা দপদপ করলেও দায়িত্ব গুলো ঠিকঠাক পালন করতে হয়। পেশেন্ট এর পরিবার এর খারাপ আচরণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। একজন চিকিৎসক এতটা অসম্মানিত হওয়া ডিজার্ভ করে না। অথচ প্রতিনিয়ত এভাবেই অসম্মানিত হাসপাতাল গুলোতে। খুব কম ছুটি পেয়েও এই মানুষগুলো সর্বদা লাঞ্চিত, অপমানিত। কেউ মারা গেলে তাদের গায়ে হাত অবধি উঠানো হয় অথচ জন্ম, মৃত্যু সব সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছে। দেশ ও দশের সেবায় নিয়োজিত এই মানুষগুলো আরো অনেক বেশি সম্মান, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা পাওয়ার উপযুক্ত। ডাক্তারদের হোস্টেল জীবনের গল্পগুলো পড়ার সময় মনে হচ্ছিল যেন চোখের সামনেই ঘটছে। একসাথে খাওয়া, পড়াশোনা নিয়ে চিন্তা, একজন অসুস্থ হলে অন্যরা রান্না করে রাখা, একজনের প্রণয়ের সম্পর্ক নিয়ে অন্যরা মজা করা এই দিকগুলো বেশ ভালো লাগার। ই বুকটা পড়লে মেডিকেল স্টুডেন্ট এর পাশাপাশি আমরা নন- মেডিকেলরাও ব্যাপারগুলো রিয়েলাইজ করতে পারবে। সম্পর্কে বিশ্বাসঘাতকতা, প্রতারণা বর্তমান সময়ের খুবই পরিচিত ঘটনা। ভালোবাসার মানুষের থেকে নিদারুণভাবে ঠকে যাওয়া ভীষণ অসম্মান, অপমানজনক, ভীষণ যন্ত্রণার। চরিত্রের সাথে সাথে পাঠক হিসেবে আমারো একই অনুভূতি হচ্ছিল। ঘৃণায় গা গুলিয়ে উঠেছিল। গল্পের শেষে আছে দারুন এক চমক। যেটা পাঠক আগে পাঠক একদমই অনুধাবন করতে পারবে না। যদি না সে শেষ পর্ব আগে পড়ে ফেলে! চোখের পলকেই ইবুকটি শেষ হয়ে গিয়েছে। পড়তে খুবই ভালো লাগছিল। পিয়েতা, শ্রেয়াস, লাবনী এই তিন মুখ্য চরিত্রকেই ভালো লেগেছে। প্রত্যেকেই নিজ নিজ ভূমিকায় পার্ফেক্ট। আরেকটু জানার আকাঙ্খা রয়ে গিয়েছে অবশ্য। আমার মনে হয়, যারা যারা পড়বেন সবারই এই অনুভূতি হবে। লেখকের পরবর্তী ইবুকের জন্য শুভকামনা রইলো। ★প্রিয় উক্তি: ------------------- 🔺এ লোকগুলো কোনোভাবেই মেনে নিতে পারে না; মেয়েরা ডাক্তার হতে পারে। এদের কাছে নারী মানেই সিস্টার! অথচ এখনকার যুগে মেডিকেল কলেজগুলোতে মেয়েরাই বেশি চান্স পাচ্ছে। 🔺কিছু কিছু মানুষের বয়স বাড়লেও কোথায় যেন একটা ছেলেমানুষি ভাব থেকে যায়।
ভালো লাগলো। ভালো লাগলো।। খুব ভালো লাগলো।।।
আমি এর আগে আপুর কোন বই পড়ি নি। এটাই প্রথম। বইটা চমৎকার হয়েছে, একটা গল্পে বেশ কিছু শিখনীয় বিষয় উঠে এসেছে। বর্তমান যুব সমাজ এর একটা বিশেষ দিক তুলে ধরেছে। এক পাগল প্রেমিক এর প্রেমিকার জন্য পাগলামি এসেছে। সবশেষে মনে হয় শেষ হয়েও হইলো না শেষ 💕
❤❤❤❤
দারুণ একটা উপন্যাসিকা পড়ে শেষ করেছি। যদিও অনেক আগেই শেষ করেছি পড়া রিভিউ লিখতে লেট হলো। আপুর লেখা বরাবরই একদম স্বচ্ছ ও ঝরঝরা। এক বসায় পড়ে ফেলার মতো একটা গল্প। শেষের টুইস্ট টা জাস্ট আনপ্রেডিক্টেবল। আসলে মানুষ চেনা বড্ড দায়। বিয়ে আগে বা পরের জীবনের তফাত যেন আকাশ সম। কিন্তু আমাদের মন তা মানতে নারাজ। গল্পটি পড়াকালীন সময়ে বারবার কনফিউশান ঝেঁকে বসছিলো। যেমন এন্ডিং ভেবেছিলাম তার পুরোটাই ভুল। শেষ টুইস্ট টা জাস্ট মাথা ঘুরায়ে দিছে আর আমার সব প্রেডিকশনকে ভুল প্রমাণ করেছে। শ্রেয়াসের চিঠিটা পড়ে মনটা হুহু করে উঠছিলো বারবার। দারুণ উপভোগ করেছিলাম পড়তে পড়তে। রেটিং -৪.৫/৫
করে নে রাখলাম।সময় করে পড়বো।
ভালো লাগল গল্পটি। শেষ টুইস্টটা ভালো ছিল, অনুমানের বাইরে। আবিরের ঘটনাগুলো কেমন যেন লাগছে! অবিশ্বাস্য! নিছক গল্প বলেই এমন না কি বাস্তবেও এমন হয় কারো জীবন এ নিয়ে দ্বিধান্বিত! বাই দ্যা ওয়ে, হল্পে লেখনশৈলী ও ঘটনার পরিক্রমা সুন্দর ছিল। গল্পের শেষ পর্ব পড়ার প্রতি আগ্রহ ছিল। এক কথায় বললে ভালো লেগেছে গল্পটি। শুভকামনা রইল। ❤️