সুইজারল্যান্ডের জুরিখ শহর। একটি বিলাসবহুল কক্ষে ক্রমাগত ফোন বেজে চলেছে। ফোনের মালিক নিদ্রাচ্ছন্ন কিন্তু ফোন ভাইব্রেটের পিষ্টতায় তার নিদ্রা তন্দ্রাচ্ছন্নয় পরিণত হয়েছে। বিরক্তি এসে জমা হয়েছে দু'ভ্রুর অগ্রভাগে। উপর হয়ে শয়নরত অবস্থায় মুখ থেকে একটু শব্দ উচ্চারণ করল। যা বিরক্তিরই বহিঃপ্রকাশ। বেডসাইড থেকে ফোন হাতরিয়ে নিয়ে ফোনের স্কিনে নজর ফেলল। জ্বলজ্বল করে উঠল ইংরেজি অক্ষরে লিখা 'মা' লেখাটি। পরক্ষণে স্কিনের উপরে নজর বুলিয়ে সময়সূচিটা দেখে নিল। চোখ এড়াল না ভোর চারটা। এমন সময়ে মায়ের জরুরীবিভাগে তলব বোধে এলো না তার। সচারাচর আর্জেন্ট কল ছাড়া এসময়ে কল করার হেতু খুঁজতেও বিরক্তবোধ হলো তার। মা অবগত বাংলাদেশে এখন রোদ উঠে চতুষ্কোণে ঝলমল করলেও সুইজারল্যান্ডে তা নয়। সময়ের হিসেব মস্তিষ্ক নাড়িয়ে করলে বাংলাদেশে এখন রোদ ঝলমলে সকাল আটটা। অথচ জুরিখে এখন ভোর চারটা। ভাবনা সরিয়ে ফোন রিসিভ করল সে। ঘুমাচ্ছন্ন, জড়ানো লঘু কণ্ঠে বলল, " এখন আমি ঘুমোচ্ছি আম্মু। রাত দুটো অবধি কাজ করে শুয়েছি। তোমার মেয়ের ঘুম প্রয়োজন এখন। আই উইল কল ইউ লেটার, বা..বাই। " " তাউরীদ বিয়ের জন্য সম্মতি দিয়েছে শুনেছিস? " শ্রবণেন্দ্রিয়তে পৌঁছতেই চমকাল, থমকাল মেয়েটি। ঘুম ছুটল বিদ্যুৎ গতিতে। কতক্ষণ মতিভ্রমের ন্যায় নেত্রপল্লব তাবড়-তাবড় করে রইল ইয়ত্তা নেই। বোধ করল, বক্ষমাঝে নিদারুণ তোলপাড় শুরু হয়েছে। উতালপাতাল ঢেউ তাকে অতল গহ্বরে নিয়ে যাচ্ছে। অন্তঃকরণ আন্দোলন চালিয়ে স্বগতোক্তি করল, " রীদ বিয়ে করছে!" মস্তিষ্ক যখন ফাঁকা হতে তোড়জোড় চালাচ্ছে তখন ওপাশ থেকে লিরা আলম পুনরায় বললেন, " তন্দ্রা! তন্দ্রা! শুনতেছিস তুই আমাকে?" নিউজিল্যান্ডের বৃহত্তম অকল্যান্ড শহরে একটি বিল্ডিংয়ে তাউরীদ খোন্দকার অবস্থানরত৷ ট্যারেসে দাঁড়িয়ে রাতের আকাশে তাকিয়ে কোথাও ডুবিয়েছে নিজেকে। শীতল বাতাবরণ ছুঁয়ে দিচ্ছে কায়া। কানে কানে বলছে যেন, " খুঁজছ কি কাউকে? "
এক কথায় অসাধারণ একটি গল্প। এর সৌন্দর্যের বর্ণনা করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। রীদ তন্দ্রার জুটি ছিল দারুন তাদের সৌন্দর্য আরও বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে অরিও।শব্দ চয়ন বরাবরের মতোই অসাধারণ।
Read all reviews on the Boitoi app
Nice and Attractive রোজা আপু 🥹😍😍🫡
Next😂😂😂
আহা!শুরুতেই বলি গল্পের নাম টা ভীষণ সুন্দর হয়েছে। রিদ,তন্দ্রা আমার কাছে এমনিও স্পেশাল। কি ছিলো না এই গল্পে ভালোবাসা,অভিমান,দুরত্ব।তবে সব কিছু ছাপিয়ে ভালোবাসা ই জীবন্ত। রিদ এর তার প্রজাপতির প্রতি ভালোবাসাটা মুগ্ধ করেছে। আর শেষ এ দরিয়া কূলে ওদের চন্দ্রশোভা, ওদের ভালোবাসার চিহ্ন তাশবীহ্। শব্দ চয়ন থেকে প্রতিটি মূহুর্ত ওয়াও ছিলো। সব মিলিয়ে আমি অনেক খুশি। এভাবেই এগিয়ে যাও।আরো অনেক অনেক দারুণ গল্প উপহার দাও আমাদের।অল দ্যা বেস্ট।
প্রথমেই লেখিকার প্রথম ই-বুকের জন্য জানাই অনেক অভিনন্দন ও শুভকামনা ❤️ ★নামের যথার্থতাঃ ই-বুকটির নাম ❝দরিয়াকূলে চন্দ্রশোভা❞। মানে সমুদ্র পাড়ে চন্দ্র বিলাস এমন কিছু। গল্পটির এই নাম শেষ মুহূর্তের দিকে যেয়ে নিজের মান ধরে রেখেছে। শেষের দিকটা পড়লে বোঝা যায় কেন লেখিকা গল্পটার নাম এটা রেখেছে। ★রিভিউঃ রিভিউঃ ই-বুকটির প্রধান চরিত্রে রয়েছে তন্দ্রা আর তাউরীদ। ভালোবাসার এক যুগল। কোনো এক কারণে নিয়তি দুজনকে আলাদা করে দেয়। দুজন পারী জমায় দূর দেশে। ভালোবাসা আছে তবুও ছয় বছর পর তাউরীদ জানায় বিয়ে করবে। নায়িকা তন্দ্রার সাথে কী এমন ঘটেছিল যে এমন একটা সিদ্ধান্ত নেয়? কি এমন কারণ ছিল ওদের মধ্যে দূরত্বের? অতঃপর ভালোবাসার টানে হোক বা অন্য কিছু দুজন বুকে স্মৃতি পুষে দেশে আসে। এর পর কী ঘটেছিল? গল্পের শেষের দিকটা এতটা মনোমুগ্ধকর ছিল! ভীনদেশের কোনো এক সমুদ্র পাড়ে দরিয়া কূলে চন্দ্রশোভার বিষয় টা। এতটা চমৎকার লেগেছে আমার এই ব্যাপারটা! গল্পে আরও অনেক চরিত্র আছে। রয়েছে তন্দ্রার আদরের অরিও। ম্যাও ম্যাও! গল্পের ফ্যামিলি বন্ডিং, বন্ধুত্ব, ভাই-বোনদের খুনসুটি। কিছু কিছু কাপলের ভালোবাসার মুহূর্ত। সব মিলিয়ে ই-বুকটি চমৎকার ছিল। ★মতামতঃ ই-বুকটি পড়ে অনেক তৃপ্তি পেয়েছি। ই-বুকটি কিনে কোনো আফসোস লাগেনি। মনে হয়েছে পয়সা উসুল। সুন্দর একটা ই-বুক লেখা উপহার দেওয়ার জন্য লেখিকাকে জানাই অনেক অনেক ভালোবাসা। লেখিকার লেখার দরুনই চমৎকার। লেখার মাঝে কোনো বিরক্তি কাজ করে না। এমন ভাবেই লিখে যাও। আরও এগিয়ে যাও দূর দূরান্তে। সবার মন জয় করো তার জন্য শুভকামনা রইল।
অবশেষে পূর্ণতা পেল তাওরীদ আর তন্দ্রা। আমি অনেক অপেক্ষায় ছিলাম কবে ওদের পূর্ণতা পড়তে পারব। অবশেষে পারলাম। অসম্ভব সুন্দর ছিল গল্পটা আপু।
রীদ-তন্দ্রা জুটি আমার কাছে অনেক ভালো লাগে অবশেষে রীদ ও তার প্রজাপতিকে পেলাম🌸 অসম্ভব সুন্দর হয়ছে আপু। তমসায় নীল দরিয়া গল্প টা পরে যতটা হতাশ হয়েছি দরিয়া কূলে চন্দ্রশোভা পড়ে তার চেয়ে বেশি খুশি হয়েছি🌸 তাউরিদ ও তন্দ্রার পূর্ণতা তাশবীহকে পেয়েও ভালো লাগলো। আপু তোমার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা এভাবেই এগিয়ে যাও 💜🌸
অবশেষে শেষ করলাম।তাউরীদ আর তন্দ্রা আমার পছন্দের তালিকায় ছিলো আছে বরাবরের মতো থাকবেই।তাঁদের জন্য যেমন কেঁদেছি তেমন আবার মুগ্ধ হয়ে হেসেছি।"দরিয়া কূলে চন্দ্রশোভা"আহা নামটা কি অসাধারণ।মনে হচ্ছে এই তো আমি চন্দ্রবিলাসের সাথে সাথে তাউরীদ আর তন্দ্রার চন্দ্রশোভা অবলোকন করছি। প্রিয় জুটিদেরও বর্ণনাঃ তাউরীদঃ নীল মণির পুরুষ তোমার ঐ মণিতে তন্দ্রার সাথে সাথে আমিও যে ঢুব দিয়েছি।তুমি এত অসাধারণ কেন নীল মণির পুরুষ।কি তোমার ব্যক্তিত্ব।আমিতো ক্ষনে ক্ষনে তোমাতে মুগ্ধ হয়েছি।তোমার প্রজাপতির মতোই আমিও তোমার ঐ অসভ্য ঠোঁটকাটা কথায় বার বার মুচকি হেসেছি।সবশেষে দূরত্ব গুছিয়ে প্রজাপতিকে তোমার করেই নিলে।তুমি নামক কল্পচোখের চরিত্রটা আমার বরাবরেরই পছন্দ। তন্দ্রাঃ ওহে বোকা মেয়ে তুমি এত বোকা কেন?তোমার নীল মণির পুরুষ তোমাকে বার বার হিন্টস দিয়েছে কিন্তু তুমি বোকা মেয়ে বুঝোনি।কি হলো দুজনেই কষ্ট পেলে।তোমার ভালোবাসা তোমারই ছিলো।যা তোমার তাতে অন্যকেউর বিস্তার ঘটবে তুমি ভাবলে কি করে।তুমি যে তার প্রজাতি।নীল মণির সুদর্শন পুরুষ তোমার... শুধুই তোমার। আফিকাঃ মা হও তো তার মতো হও।কি সুন্দর সন্তানদের মনের কথা বুঝে গেছে।সন্তানের সাথে কত ফ্রী মন খুলে সব বলা যায় তাকে।এক কথায় ওনার চরিত্র আমার বেশ লেগেছে। লিরা-তৌকির সাহবেঃ ইশশশ ওনার জন্য আমার চোখে পানি চলে এসেছিলো।কিন্তু ওনাকেও আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।তৌকির সাহেবের কিপ্টামিও উপভোগ করলাম।আজ থেকে আমিও কিপ্টে ওপপস্ সাশ্রয়ী হয়ে যাবো। কাজিন মহলঃএখানে রোহানের কান্ডটা আমার একটুও ভালোলাগেনি।সে যদি তুরফাকে এতই ভালোবাসে তাহলে অন্য মেয়ের সাথে ঘনিষ্ঠ হয় কিভাবে।ওকে আমার এই জায়গাটাতে অনেক রাগ লাগছে।তাউরীদের বন্ধুদের ব্যক্তিত্বও অনেক সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে এক কথায় অসাধারণ। তাশবীহঃ আমাদের চন্দ্রশোভার চাঁদের টুকরা।এই অনুভূতিটা আমি উপলব্ধি করেছি।ফেইসবুকে #তমসায়_নীল দরিয়া-ই কি নিদারুণ কষ্ট পেয়েছিলাম।অবশেষে হ্যাপি ফ্যামিলি হয়েই গেলো তবে।আমার এতটুকু পড়ে মনে ভরেনি।আমার আরো পড়তে ইচ্ছে হচ্ছে। সবশেষে লেখিকাকে নিয়ে কিছু কথাঃ রোজা রহমান নাঈমা আমার পছন্দের একজন লেখিকা।যখন শুনি তার ফেইসবুক বাদে নতুন কোনো প্লাটফর্মে প্রিয় চরিত্র নতুন রূপে আসছে তখন থেকেই ব্যাকুল হয়ে ছিলাম কবে পাবলিশ হবে আর কবে পড়বো।রোজা আপাইয়ের লেখা সবসময় আমার মন কাড়ে।কি সুন্দর তার লেখনি আর কি মার্জিত তার শব্দচয়ন।শুনো রোজা আপু আমার এটুকুতে মন ভরেনি।আমার ইচ্ছে হচ্ছে আরো পড়ি।নীল মণির পুরুষ ও তার প্রজাপতির বৃদ্ধ হওয়া দেখতে ইচ্ছে করছে।কিন্তু সেটাটো সম্ভব না।সবশেষে বলবো অনেক অনেক সুন্দর হইছে।তোমাকে জানাই মনের গভীর থেকেও ভালোবাসা।নিরাশ করোনি তুমি আমাকে।