মনের সাথে দ্বন্ধ শেষে কয়েকবার কল দিয়েও রিং না বাজতেই কেটে দেয় মেরিন। কোন মুখে কল করবে, শেষবারের রিয়্যাক্টের ভার এতটাই বেশী ছিলো যে ফোনটা দিতেও লজ্জা লাগে মেরিনের। সেসব করার একটাই কারন যাতে ওর জীবন থেকে চলে যায় রেদওয়ান। আজ তাই তো হতে চলেছে। তবে এত কষ্ট কিসের। তবুও হারানোর ভয় পেয়ে বসে ওকে। সব জড়তা ভেঙ্গে কল দেয় ঐ নম্বর টায়। ফোন দিয়ে দেখে নম্বরটা সুইচ অফ। কষ্টে কান্না চলে আসে ওর। জীবনে চলার পথে প্রতিটি বার কোন কিছুতে ও যখন এক কদম এগিয়েছে তো ভাগ্য ওকে দশ কদম পিছিয়ে দিয়েছে। এবারও তাই হলো, মেরিন ওর ইগো ভেঙে কল করলো কিন্তু সে জানতেই পারবেনা ইগোর সেই পাহাড় ভেঙ্গে তাকে কেও একজন ফোন করেছে। ভাবনার জগৎ থেকে মর্তে আসে ফোনের শব্দে, মা ফোন করেছেন। তার সাথে কথা বলে ডিপার্টমেন্টের হেডের থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরে ও। এদিকে ফোন এয়ারপ্লেন মুড অন করার আগে রেদওয়ান ওর মাকে কল করতে ফোনটা বের করে দেখে বন্ধ হয়ে আছে। নিজের উপর বিরক্তি লাগে রেদওয়ানের, দ্রুত ফোনটা খুলতেই মিস কল এলার্টের মেসেজ পায় ও। ওপেন করতেই দেখে মেরিন কল করেছিল ২৯ মিনিট আগে, খুশিতে হয়ে আত্মহারা যায় রেদওয়ান। মায়ের সাথে কথা বলে কল ব্যাক করে মেরিনকে। কলটা রিসিভ করে নিশ্চুপ মেরিন- : ভাল আছেন মেরিন? : কোথায় যাচ্ছেন আপনি? : এইতো দুরে কোথাও। : কোথাও যাবেন না আপনি.. : এখন বলে আর লাভ নেই, অনেক ভেবে দেখলাম এটাই একমাত্র সমাধান। : আমাকে কি একটা সুযোগ ও দিবেন না আপনি? : পুরোটা জীবন দিতে চেয়েছি আর 'সুযোগ' সে তো একটা শব্দ মাত্র। মেরিন কি পেরেছিলো রেদওয়ানকে আটকাতে? জানতে হলে পড়তে হবে ইবুক #সোলমেট
Valo lagse golpota
Read all reviews on the Boitoi app