কলেজের মাঠে বড়সড় গণ্ডগোল বেঁধেছে। কলেজের সুনামধন্য ইংরেজি শিক্ষক ইফতিয়ার চৌধুরী খান বাহাদুর কলেজের এক ছাত্রনেতাকে পেটাচ্ছেন। ইতোমধ্যেই ছাত্রনেতা রক্তাক্ত হয়ে পড়েছে। নাক-মুখ ফেটে রক্ত গড়াচ্ছে। কলেজের প্রিন্সিপালসহ অন্য শিক্ষকরা তাকে থামানোর চেষ্টা করছেন, কিন্তু থামাতে পারছেন না। শরীরে যেন তার দ্বিগুণ শক্তি ভর করেছে। একের পর এক হকিস্টিকের বাড়ি পড়তেই ছেলেটি আর্তনাদ করে উঠছে। ছেলেটির আর্তনাদে ভয়ে সিঁটিয়ে যাচ্ছে সবাই। "শু***য়ের বাচ্চা! তোর সাহস হলো কী করে আমার মিষ্টির দিকে তাকানোর? বাস্টার্ড, তোকে জানে মেরে ফেলব আজ!" সেই মুহূর্তে সেখানে উপস্থিত হয় ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারের কমার্স বিভাগের স্টুডেন্ট মিষ্টি। ইফতিয়ারের এমন ভয়ংকর রূপ দেখে রীতিমতো ভয়ে থরথর করে কেঁপে ওঠে মিষ্টি। মাটিতে পড়ে থাকা ছেলেটি ছটফট করছে। আর কিছু আঘাত করলেই যেন মারা যাবে। বিস্মিত মিষ্টি থেমে থেমে পা ফেলে ইফতিয়ারের পাশে দাঁড়ায়। কাঁপা গলায় বলে, "স্যার, ছেড়ে দিন। মরে যাবে তো।" মিষ্টির কথা ইফতিয়ারের কর্ণকুহরে প্রবেশ করে না। সে তার মতো মারতে ব্যস্ত। ইতোমধ্যেই ঘামে তার সাদা রঙের শার্ট ভিজে গেছে। একটু সাহস করে মিষ্টি ইফতিয়ারের হাত ধরে এবং কাঁদতে কাঁদতে বলে, "ছেড়ে দিন, স্যার, প্লিজ!" ইফতিয়ার মিষ্টির হাত ঝাড়া মেরে ছাড়িয়ে দিতে চাইলে মিষ্টি ছাড়ে না। উল্টে হাত জড়িয়ে বুকে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে ফেলে। মুহূর্তেই ইফতিয়ার থেমে যায়। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকা বুকটা শান্ত হয়ে আসে। প্রশান্তি বয়ে যায় হৃদয়ের মাঝে। রক্তিম রঙের ভয়ংকর চোখজোড়া বন্ধ করে ফেলে ইফতিয়ার। মিষ্টি বিড়বিড় করে বলতে থাকে, "শান্ত হয়ে যান, চৌধুরী সাহেব। ভয় করছে আমার।" কাঁপছে মিষ্টি। মারামারি দেখে সে বরাবরই ভীষণ ভয় পায়। মিষ্টির কাঁপুনি অনুভব করে ইফতিয়ার। হাতে থাকা হকিস্টিকটি ফেলে দেয়।
এর ২য় পাট চাই ✊✊✊
Read all reviews on the Boitoi app
কি আর বলবো এক কথায় অসাধারণ একটা গল্প।আমার খুব ভালো লাগছে। পূর্ণত গল্পে মিষ্টির মিত্যুতে খারাপ লাগছে। আর মিষ্টির ভালোবাসাও অপূর্ণ ছিল। কিন্তু এখানে মিষ্টির ভালোবাসার পূর্ণতা পাইছে এটা দেখে আরো ভালো লাগছে। পরি ইফতিয়ার মিষ্টি ওদের তিন জনের ভালোবাসা আর একসাথে দেখে ভালোগাছে। কি আর বলবো বুঝতাছি না হয়তো গুছিয়ে লিখতে পারিনাই। আবারো বলছি দারুণ একটা গল্প ছিল। ভালোবাসা নিও লিখনি আপু, তুমি খুব ভালো গল্প লিখ❤️❤️
প্লট টা সুন্দর ছিলো কিন্তু সত্যি বলতে লেখনী খুবই দূর্বল মনে হয়েছে। গল্পের অনেক অংশই গোজামিল দিয়ে শেষ করার চেষ্টা করা হয়েছে। এটা একান্তই নিজেস্ব মতামত। শেষটাও খুব একটা ক্লিয়ার ছিলো না বলা যায়। পূর্ণতা যেন হুট করে আসলো,আর ফুট করে সমাপ্তি হলো। মিষ্টি আর ইফতিয়ারের ক্যামিস্ট্রি কিছু জায়গায় খুব সুন্দর হয়েছে আর কিছু জায়গায় কেমন খাপ ছাড়া। পরীকে ভালো লেগেছে। লেখককে সম্পাদনায় আরও মনোযোগ দেয়ার অনুরোধ রইলো।
গল্পটি ভীষ্ণ সুন্দর তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু আপু আপনিতো এবারও মিষ্টিকে একদিক থেকে অপূর্ণ রেখেই দিলেন। ইফতিয়ার আর মিষ্টির কোনো অস্তিত্ব পৃথিবীতে আসবে না এর চেয়ে বড় অপূর্ণতা একটা মেউএর জন্য আর কি থাকতে পারে। এটা না করলে গল্পটা আরো সুন্দর হতো
এই আপু একটা সত্যি কথা বলবা তুমিই এতো সুন্দর করে কিভাবে লিখ,একবার পরলেও মন ভরে না, আর গল্পটা দুটি চরিত্র কাল্পনিক কিন্তু মনে হয় আমি অনুভব করি,,,, ""Just owsome"""❤️🥰❤️
প্রিয় তানিশা আপু তোমার গল্প আমার সবসময় ভালো লাগে। মিষ্টির সংসার গল্পটা পড়ে খুব ভালোলেগেছে। মিষ্টির ভালোবাসা পূর্ণতা পেয়েছে। প্রিয় পূর্ণতা তে মিষ্টির মৃত্যু মেনে নিতে পারিনি, ঐ পর্বটা পড়ে খুব কষ্ট পেয়েছি। এখানে মিষ্টির প্রতি ইফতিয়ারের কেয়ার ভালোবাসা দিয়ে ভরে দিয়েছো। আরও আরও সুন্দর গল্প উপহার দিও, ভালোবাসা নিও, ভালো থেকো।
গল্পটা ছোট তারপরও পূর্ণ। ছোট গল্প আমি খুব একটা পছন্দ করি না তাই কেনাও হয় না কিন্তু এই গল্পের একটু পড়েই কেন জানি পুরাটা পড়ার খুব আগ্রহ হলো আর কিনেও ফেললাম বিশ্বাস করো লেখিকা আপাই গল্পটা চমৎকার ছিলো। শুরু থেকে শেষ একটা পরিপূর্ণ প্যাকেজ। শুভকামনা রইলো
অসম্ভব সুন্দর একটা গল্প! একটানা তিনবার পড়েছি তারপরেও মজা নষ্ট হয়নি। একদম যেনো চোখের সামনে ভাসছিলো মিষ্টির সংসার! প্রিয় লেখিকার প্রিয় লেখার মধ্যে মিষ্টির সংসার অন্যতম গল্প।
অসাধারণ ❤️❤️❤️❤️
তানিশা সুলতানা#মিষ্টির সংসার# ইফতিয়ার আর মিষ্টির সুন্দর প্রেম কাহিনী দেখে মনটা খুশিতে ভরে গেল। এইভাবে যে মিষ্টি ইফতিয়ারের মনে জায়গা করে নেবে ভাবতে পারিনি। শখের পুরুষের উত্তাল প্রেম দেখে যেমন মিষ্টি আপ্লুত হয়ে গেছে ঠিক তেমনি ওদেরকে দেখে পাঠিকা হিসেবে আমি আপ্লুত হয়ে গেছি। এত সুখে থাকতে দেখে ওদেরকে ভীষণ ভালো লাগল ।খুব ভালো হয়েছে গল্পটি।।