চোখের ওপর থেকে হাত সরিয়ে স্ত্রীর দিকে সরাসরি দৃষ্টি ফেলল তাহরীম। টকটকে লাল চোখ দেখে আঁৎকে উঠল নীহারিকা। আলগোছে কপালে হাত রেখে বুঝতে চাইল শরীর খারাপ কি না। সব ঠিক আছে বুঝতে পেয়ে বলল, 'ওভাবে তাকিয়ে আছেন কেন?' তাহরীম শক্তকণ্ঠে বলল, 'ছ'টায় এসেছি। এখন দশটা। চারঘণ্টা লাগল আমার সামনে আসতে?' 'আমি তো রান্নাঘরে ছিলাম।' 'ওহ... রান্নাটাই ইম্পর্ট্যান্ট! আমি না?' এই ঠাণ্ডা মেজাজের মানুষটার সামনে দাঁড়িয়ে থাকলে নীহারিকার ভয় হয়। মানুষটা রাগী নয়, কিন্তু যখন রেগে যায় ভয়ানক আচরণ করে। পনেরোদিনের অভিজ্ঞতা দিয়ে সেই রাগ সম্পর্কেও জেনে গিয়েছিল সে। তর্কে যেতে চাইল না, তাই কথা এড়াতে বলল, 'জলদি আসুন। সবাই বসে আছে।' রুমের বাইরে যেতে চাইল নীহারিকা। পিছন থেকে তাহরীম বলল, 'তোমার সাথে জরুরী কিছু কথা ছিল। একটু বসবে?' 'এখন?' তাহরীম মাথা নাড়লে পাশে গিয়ে বসে নীহারিকা বলল, 'বলুন, কী আপনার জরুরী কথা।' 'সুনাইরার ব্যাপারে।' 'বলেছেন ও আপনার ভালো বন্ধু। আর কী বলতে চান?' 'শুধু বন্ধু নয়, তারচেয়েও বেশিকিছু।' শান্তস্বরে এটুকুই বলল তাহরীম। নীহারিকার পুরো দুনিয়া বুঝি ওলট-পালট হয়ে গেল। কষ্টগুলো গলার কাছে এসে অসহ্যকর যন্ত্রণা হয়ে বিঁধে গেল তৎক্ষণাৎ। ঠোঁট কামড়ে জানতে চাইল, 'সেটা কী?' 'তুমি যা, সে-ও তা-ই।' সঙ্গে সঙ্গে তাহরীমের চোখের দিকে তাকাল নীহারিকা। অবিশ্বাস্য কণ্ঠে বলল, 'কী বললেন?' 'যা বুঝেছ, সেটাই।' নীহারিকার খুব রাগ হলো। কষ্ট হলো। দু'হাতে তাহরীমের টি'শার্টের কলার টেনে ধরে বলল, 'আমার দিকে তাকিয়ে বলুন, ওই মেয়েটা কে হয় আপনার?' 'আমার স্ত্রী, নীহার।'
অনেকদিনের ইচ্ছে ছিলো বইটা পড়ার, অবশেষে আজকে পড়তে পারলান। ধন্যবাদ লেখিকাকে, এমন সুন্দর একটি গল্প উপহার দেওয়ার জন্য।
Read all reviews on the Boitoi app
ভালো লেগেছে
অসাধারণ
দারুন সুন্দর একটি গল্প অনেক ভালো লেগেছে
প্রথমে ফেসবুকে তাহরীমকে পড়ে আমার তো মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেছে। আমি আসলে ২য় বিয়ে চিটিং এগুলো খুবই ঘৃনা করি।তাই এখনো সিংগেলই রয়ে গেছি।সে যাক,তো তাহরীমের এই কাহিনি দেখে জেদ করে বইটা কিনে পড়তে শুরু করলাম যে কি কারণে সে নিহার কে ঠকালো। পরে অবশ্য গল্পটা পড়ার সাথে সাথে এই ধারণাটা ভেংগেছে।কারণ তাহরীম আসলে পরিস্থিতির স্বীকার।তাও আমার ওকে কিছুটা অপরাধী মনে হয় সত্যিটা লুকানোর জন্য।এই গল্পে আমার সবথেকে প্রিয় চরিত্র নীহারিকা।কি দারুণ ধৈর্যশীলা নারী। এতকিছুর পরেও সে তাহরীমকে তো ছাড়েইনি উল্টো সুনেহরাকেও মেনে নিয়েছে,সম্মানের সাথে যত্নও নিয়েছে। আর সুনেহরার বিষয়ে কিছু বলতে মন চাচ্ছেনা।ও বরাবরই স্বার্থপরের মতো কাজ করেছে।আর এজন্যই ওর শেষ পরিনতিটা কষ্টের হয়েছে। এখান থেকে আসলে একটি শিক্ষা রয়েছে।তা হচ্ছে একটি সংসার টিকে যেমন মেয়েদের জন্য আবার একটি সংসার ভাংগেও মেয়েদের জন্য।এটা আমাদের মেয়েদের উপরই ডিপেন্ডেট।আশা করি আমি সংসার গড়তে পারা নারীদের মধ্যেই থাকব ইনশাআল্লাহ।।
অসাধারণ একটা গল্প কি বলবো এতো সুন্দর হবো ভাবি নাই দুদিন চিন্তা করে গল্প কিনলাম যে পরবো কিনা ভালো হবো কিনা কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আগে কেনো কিনলাম না লিখিকাকে ধন্যবাদ এতো সুন্দর গল্প দেওয়ার জন্য 🥰
এক কথায় অসাধারণ। নীহারিকা মেয়েটি অনেক ধৈর্য্যশীল।
ভিষণ সুন্দর একটা গল্প খুব ভালো লেগেছে, ইন্ডিং টা খুব ভাল হয়েছে খুব, বই টা পড়ার জন্য অনেক কষ্ট করেছি কষ্ট টা সার্থক হয়েছে।
আজকে পড়েই শেষ করলাম, আজকে ফেইসবুক দেখে কিনলাম,, খুব ভালো লাগলো, শেষে সুন্দর একটা জীবন হলো নিহার আর তাহরিম এর, আসলে কেউ কাউকে জেনে ঠকালে ভালো থাকেনা। সেটাই বুঝতে পেরে সুইসাইড করেছে,, সব মিলে তামান্না কে অনেক ধন্যবাদ, এতো সুন্দর একটা গল্প উপহার দেওয়ার জন্য,,,
সুন্দর