অমূল্য কিছু ফিরে পেতে চৌদ্দ বছরের অবনী চুক্তি করে বসে এক কালোশক্তির কাছে। কিন্তু মিথ্যা, প্রতারণা ছলচাতুরী যার ধর্ম সে কি কখনো শুভ কিছু ফিরিয়ে দেয়? সে তো আরও লুটে নিয়ে যেতে চায় অবনীর জীবনের সব আলো। এই কালো ছায়া থেকে বাঁচতে হলে প্রয়োজন এক রক্ষাকবচের। শ্রাবণী আর অবনী কি কখনো সেই কবচের সন্ধান পাবে?
"এক কথায় অসাধারণ আপু..বিশেষ করে ক্ষনিকের মোহ-মায়ার চাইতে যে ফ্যামিলি বন্ডিং কতো বেশি গুরুত্বপূর্ণ নিজের জন্য,নিজের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সেটা খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন..❤️❤️❤️"
এক কথায় অসাধারণ আপু..বিশেষ করে ক্ষনিকের মোহ-মায়ার চাইতে যে ফ্যামিলি বন্ডিং কতো বেশি গুরুত্বপূর্ণ নিজের জন্য,নিজের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সেটা খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন..❤️❤️❤️
Read all reviews on the Boitoi app
দুরুদুরু বুকে পড়া শুরু করে ছিলাম দুই বোনের কাহিনী শারমিন আঞ্জুমন রচিত কবচ ইবুক। তার পর অতি পরিচিত একটি নাম অবন্তী সামনে এলো। প্রথমে কনফিউশনে থাকলেও পরবর্তীতে তা কেটে যায় শাওন আফরিনের নাম দেখে তখন মনে বেজে ওঠে ছিলো শারমিন আঞ্জুমের লেখা বই " আমারে দেবো না ভুলিতে " এর শেষ পৃষ্ঠার কথা। গল্পের যত গভীরে যাচ্ছি ছিলাম তত হারিয়ে যাচ্ছিলাম। জড়িয়ে যাচ্ছিলাম রহস্যময় মায়া জালে। শেষে জাল কেটে বের করে আশফাকের সহধর্মিণী। এ বিষয়ে আশফাকের কন্যাও তার মাকে সাহায্য করে।কীভাবে করে তা জানতে হলে অবশ্যই ইবুক টা পড়তে হবে। একটা কথা না বললেই নয় ইবুক টা শ্রাবনী অবনীর কিন্তু আমি আবেগপ্রবণ হয়ে যাচ্ছিলাম অবন্তি আফরিন আর আশফাকের জন্য। আশফাক কে অনেক মিস করছি খনে খনে। তবে শান্তনা এটাই যে আশফাকের কন্যা ছিলো এতে।যার স্বভাব পুরোটাই বাবার মতো। আপু যে আপুর প্রত্যেকটা কই কি পরিমাণ যত্ন নিয়ে লেখে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।এত হেল্পফুল বার্তা এত এত ইনফরমেশন। সামাজিক মেসেজ, অলৌকিক শক্তি, সাইকোলজিক্যাল থিওরি, এক আল্লাহর উপর ইমান অটল রাখা। ধর্মীয় বিধিনিষেধ। সুন্দর ভাবে বর্ণনা করা আছে। অন্তিম কথা পড়ার পরে আমি পড়ার পর আমি আঁতকে উঠেছিলাম। কতবার যে তওবা করছি। অনেক মাফ চাইছি আল্লাহর কাছে আর মন থেকে দোয়া করছি শারমিন আঞ্জুম আপুর জন্য এত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনার বইয়ের মাধ্যমে আমাদেরকে (মুসলিম) জানানোর জন্য। আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন আমীন। তনিমা ইসলাম ০৫.০৯.২০২৫
অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল, এবার মেলায় কিনে ফেললাম।মুগ্ধ ও অভিভূত।
একটানা পড়লাম কবচ নামের এই অতিপ্রাকৃত ঘটনা তথা Unnatural Mystery thriller। পড়তে গিয়ে আবার হারিয়ে গিয়েছিলাম অন্য এক ভুবনে।আমারে দেব না ভুলিতে গল্পটা দিয়ে যেই রুদ্ধশ্বাস থ্রিলার লেখার সূচনা হয়েছিলো তা যেন পূর্ণতা পেলো কবচ গল্পে।যারা স্যাটানিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়ালেখা করেন বা যাদের বিভিন্ন সভ্যতার আঁড়ালের অন্ধকার জগৎ সম্পর্কে আইডিয়া আছে তারা দারুণ মজা পাবে।যারা প্রকৃত থ্রিলার প্রেমী তাদের পড়ন্ত নি:শ্বাস রুদ্ধ হবে,মনে হবে এক সেকেন্ড চোখটা গল্প থেকে সরালে কি যেন ছুটে যাবে।গল্পে দুটি বোনের কষ্ট, পরিবারের ভাঙণ আর সেই ভাঙনের মধ্যে দিয়ে লেখিকা যেন পৃথিবীতে শয়তানের তান্ডবকেই বারংবার নির্দেশ করেছেন।পৃথিবীতে শুভ্রতার মধ্যে এক ছটাক কালিমা মেখে দেয় নিজেদের স্বার্থপর চিন্তাচেতনায়।আমরা প্রতিনিয়ত নিজেকে নিয়ে ভাবতে গিয়ে এত টাই স্বার্থপর নিজের অস্তিত্ব বিকিয়ে দিয়েছি।স্রষ্টার শ্বাশত চিরায়ত কথা,নিজেকে সমর্পণের মধ্যে যে আত্বিক সুখ তা থেকে নিজেকে হারিয়েছি। গল্প পড়তে গিয়ে পুনরায় এক ক্ষুরধার বুদ্ধিসম্পন্ন লেখকের চিন্তা-চেতনার পরিচিত হলাম।লেখকের পুরাতন পাঠক হিসেবে আবিষ্কার করলাম নিজেকে প্রতিনিয়ত ছাড়িয়ে যাচ্ছেন নিজের চমৎকার লেখনী দ্বারা।তার জন্য দোয়া,ভালোবাসা,আর পজিটিভ চিন্তা ছাড়া দেয়ার কিছুই নেই এই অধম পাঠকের। যারা যারা বইটি পড়েননি অবশ্যই পড়ে ফেলুন।
শারমিন আঞ্জুমের কবচ পড়ে শেষ করলাম। চমৎকার। কী নিখুঁত গল্পের গাথুনি, রহস্য উন্মোচন- জটিল ব্যাপারগুলোর কি সাবলিল উপস্থাপনা! লেখকের প্রতিটা লেখায় থাকে যত্নের ছাপ, প্রচুর গবেষণা। আমি সত্যিই গর্ববোধ করি আমার দেশে এমন একজন লেখক আছেন। ভালোবাসা রইল।
একবসাতে শেষ করলাম "কবচ"। একটুও বিরক্তি আসে নি এতে।আপুর লেখা বরাবরই পছন্দের এবং লেখন শৈলী অসাধারণ যা পঠককে গল্পের ভেতর ধরে রাখতে কার্যকরী। আমি সাধারণ অতিপ্রাকৃত ঘটনাগুলো এড়িয়ে চলি,তবে শারমিন আপুর লেখা বলে রিলিজ হওয়ার দিনই ই-বুকটি সংগ্রহ করেছিলাম,তবে ব্যস্ততার জন্য দিনের বেলা পড়ার সুযোগ হচ্ছিল না,আজ সময় পেয়েই শুরু করে দিলাম এবং শেষ করলাম কেবল❤️ অসাধারণ লেখনী ছিলো আপু এটা।ধর্মীয় বিষয়েও আমার অনেক কিছু জানা ছিলো না যা এখানে জেনেছি, অতিপ্রাকৃত, থ্রিলার কিংবা তথ্যবহুল লেখনীতে আপনি ১০/ ১০ আপু,এখানে আপনার জুরি মেলা ভার🌸 আগামীর জন্য শুভকামনা আপু,ভবিষ্যতে আপনার আরো সব দারুন লেখনীর সাথে পরিচয় হতে অপেক্ষমাণ 🏵️
কিছু লেখকের লেখা আমি চোখ বন্ধ করে সংগ্রহ করি, কারণ জানি ভালো হবে। শারমিন আঞ্জুম আপু তেমনই একজন। সব্যসাচী লেখক হলেও, রহস্য লেখক হিসেবে আপুকে আমি বেশি মার্কস দেব। যারা পিওর হরর, রহস্য, অতিপ্রাকৃত পড়তে পছন্দ করেন। তাদের পছন্দ হবেই 'কবচ'
আপুর প্রথম বই পড়া বই হিসেবে সত্যি অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে ☺️
তেজস্বী দাপুটে সূর্যালোক খোলা পৃথিবী আলোকিত করলেও, আবদ্ধ স্থানে আলোর সঞ্চার করতে পারে না।তাই পরিষ্কার ঝকঝকে দিনেও দরজা জানালা বিহীন আবদ্ধ ঘরে দিন-রাতের তফাৎ ধরা যায় না। আবদ্ধস্থান সবসময়ই গভীর তমসায় ডুবে থাকে। কারণ, সেখানে সূর্যের আলো পৌঁছতে পারে না কখনো। পৃথিবীতে কিছু মানুষ থাকে তেমন, আবদ্ধ কোনো কামরা যেমন। আলোর জগতে বাস করেও তাদের বিচরণ আঁধার জগতে। আলোর দলে জন্ম নিয়েও তারা আঁধার মানব। তাদের আবদ্ধ হৃদ কুঠুরিতে আলোর প্রবেশ ঘটে না কখনো। অথচ তারা জানে না, আঁধার সবসময়ই তমসাচ্ছন্ন। ধ্বংসই যাদের রীতি, তারা কখনো কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। আলোর পথের প্রাপ্তি যখন চাওয়ার বিপরীত হয়, কিছু মানুষ তখন অষ্টসিদ্ধি লাভের আশায় পা বাড়ায় অন্ধকারের পথে। আর সেটাই হয় তাদের চরম ভুল। ক্ষণিকের মোহে পড়ে ভুলটাই প্রাপ্তি ভেবে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয় মনে। এরপরেই ধ্বস নামতে থেকে সাজানো গোছানো জীবনে। আর তা শুধু নিজের জীবনেই নয়। নিজেকে ঘিরে থাকা আরো কিছু জীবনও স্বাভাবিক ছন্দ হারায়। প্রিয় মানুষের জীবনের ধ্বস দেখে আর আঁধারের সাথে অবিরাম যুদ্ধ করতে করতে একসময় মনে হয়, আদতে সবই গোলকধাঁধা। কারণ, আঁধার নিজেই এক গভীর প্রহেলিকা। যার কেন্দ্রবিন্দু ঘুরেফিরে সে নিজেই। আর তার মাশুল দিতে হয় নিজেকেই। অবনী হয়তো একসময় সেই প্রহেলিকার সমাধান খুঁজে নিয়েছিলো। ঝিরিঝিরি বৃষ্টিধারা, আকাশের তর্জন গর্জনে নিজেকে হাওয়ায় বিলিয়ে দিয়ে যার মাশুল নিজেই দিয়েছিলো অবনী নামক আস্ত ধরিত্রী। অবনী জানতো, তার পেছনে রয়ে গেছে শারার। যে নিজে সূচনা করবে আরেকটি গল্পের, আরেকটি যুদ্ধের। শুধু সেই গল্পে অবনী নামের কোনো চরিত্র থাকবে না। আবার কে জানে, অবনী-ই হয়তো শারার। যেমনটা আশফাকের ছায়া হয়ে রয়ে গেছে আফরিন। পৃথিবী গল্প ভালোভাবে, রহস্যের জাল ছড়াতে ভালোবাসে। তাই পৃথিবীর রহস্য কখনোই শেষ হয় না। একের পর এক চলতেই থাকে যেকোনো ছন্দের তালে। তাই তো অবনীর পর রয়ে গেছে শারার। যেমনটা আশফাকের পর থেকে গেছে আফরিন। লেখা: নাজিফা খান
এক বসাতে, একটুও বিরক্ত না হয়ে শেষ করার মত একটি গল্প। কাহিনী এবং লিখনি দুটোই টপ নচ। প্যারানরমাল জনরায় এই মুহূর্তে শারমিন আনজুম আপুকে অন্য সবার থেকে এগিয়ে রাখবো নির্দ্বিধায়।