‘জেন্টেলম্যান ক্যাটাগরি’র একেবারে প্রথম শ্রেণির বাসিন্দা রিহানের সাথে উড়নচণ্ডী মিতুলের বিয়ে ঠিক করেছেন তার মা, যে কিনা ওর দুই চোখের বিষ। ছেলেবেলা থেকে তারা একসাথে বেড়ে উঠেছে, স্কুল, কলেজও একই ছিল। তবুও দুজনের বন্ধুতা ঠিক গড়ে উঠেনি কোনোদিন। শত্রুতাও বলা যায় কি! নাকি শুধুই বিতৃষ্ণা! অদ্ভুত এক সমীকরণে দাঁড়ানো সম্পর্ককে বিয়েতে বেঁধে দিলেই কি সমীকরণ বদলে যায়! দুই বিপরীত মেরুর মানুষের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটে? দেখা যাক দুটোতে পরস্পরের মনের থৈ পায় কিনা! স্বপ্নময় কোনো রাতে পৃথিবীপ্লাবী জোছনার জলে তাদের হৃদয়ে অবগাহনের সাধ হয় কি-না!’
"জোছনার মতোই অপরূপ সুন্দর গল্প "জোছনার জল",,, পবিত্র সম্পর্ক গুলো যে আসলেই ভয়াবহ সুন্দর আর জীবন কে জোছনার স্নিগ্ধতায় রাঙিয়ে তুলে তা লেখিকা আরেকবার স্মরণ করিয়ে দিলেন,,, শুভকামনা ও ভালবাসা রইলো"
জোছনার মতোই অপরূপ সুন্দর গল্প "জোছনার জল",,, পবিত্র সম্পর্ক গুলো যে আসলেই ভয়াবহ সুন্দর আর জীবন কে জোছনার স্নিগ্ধতায় রাঙিয়ে তুলে তা লেখিকা আরেকবার স্মরণ করিয়ে দিলেন,,, শুভকামনা ও ভালবাসা রইলো
Read all reviews on the Boitoi app
ভীষণ ভীষণ সুন্দর একটা গল্প❤️❤️❤️❤️❤️
ভীষণ সুন্দর হয়েছে। একটানা শেষ করেছি। অনেক ভালো লেগেছে আমার।
"জোছনার জল" ভালো লেগেছে। খুব ছিমছাম প্লটের একটা গল্প। গল্পের প্রধান চরিত্রগুলো খুব unusual কিন্তু matured রোল প্লে করেছে।
ভালো লেগেছে, আরো গল্পের আশায় রইলাম। অনেক শুভ কামনা।
রিহান আর মিতুলের মিষ্টি গল্প।
নুসরাত জাহান লিজার ই-বুক বেরোনোর সঙ্গে সঙ্গেই কিনে ফেলি। লেখক সবার রিভিউয়ের জন্য অপেক্ষা করে জানি, কিন্তু দেশের চরম অস্থিরতা আর মেয়ের বিয়ের ব্যস্ততায় আমার পড়তে অনেক দেরী হলো এবার। পরিপাটি সুন্দর মিষ্টি গল্প! পাশের বাসার চেনা রিহান-মিতুল, একজন দস্যি মেয়ে, আরেকজন সবদিক থেকে গুডবয়, বিপরীত চরিত্রের দু'জন ঝগড়া-খুনসুটিতে বড় হলো, আপাত শত্রুতায় পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়ে তাদের কাছে আসার গল্প। পড়তে ভালো লেগেছে!❤️❤️
নামকরণ: জোছনার সাথে প্রণয়ের যেন এক অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক।দুইজন বিপরীত স্বভাবের নরনারীর এমনই এক জোছনাকে সাক্ষী রেখে হৃদয় বিনিময়ের গল্পে নামকরণটা যথার্থই হয়েছে। কাহিনী সংক্ষেপ: এককথায় ছোট থেকে বেড়ে উঠা দুই বিপরীত স্বভাবের মানব মানবীর শত্রু শত্রু বন্ধুত্ব থেকে পারিবারিকভাবে বিয়ে,আর বিয়ে থেকে ছোট্ট একটা টোনাটুনির সংসার গড়ে তোলার নির্ঝঞ্ঝাট,মন ভালো করা গল্প হলো জোছনার জল। চরিত্র বিশ্লেষণ: খুব বেশি চরিত্রের সমাহার নেই গল্পে ।মূল চরিত্র বলতে নায়ক নায়িকাই।তবুও গল্পটা যেন ভীষণ উপভোগ্য । মিতুল: এক প্রাণোচ্ছল, প্রাণবন্ত মেয়ে।ছোট থেকেই আর পাঁচটা মেয়ের চেয়ে ভিন্নতাই যাকে অনন্য করেছে।যেই বয়সে মেয়েরা ধীরে ধীরে চঞ্চল থেকে স্থিরতা ,ধীরতা লাভ করে,ঘরমুখো হয় সেই বয়সে মিতুল খেলার মাঠে ক্রিকেট খেলায় থাকতো ব্যস্ত।মেয়েটার এই চঞ্চলতা সময়ের সাথেও রয়েই গিয়েছিল যেন।সব কিছুকে পজিটিভলি নিয়ে সময় মতো আনন্দ উপভঝগ কযে এগিয়ে যাওয়া এই চরিত্রটি আসলেই ভালো লাগার। রিহান: গল্পের এই ব্রিলিয়ান্ট গাধা নায়ক সাহেবকে নিয়ে কি বলব বলুন তো?একজন স্টুডেন্ট,ছেলে,স্বামী,পিতা সব হিসেবে যেন পার্ফেক্ট একটা চরিত্র।রিহানকে নিয়ে ভবিষ্যত এক্সপেক্টেশন হয়তো যে কারোরই বেড়ে যাবে। তুলতুল:গল্পের ক্ষুদে সদস্য।যার উপস্থিতি মাত্র কিছুক্ষণের। কিন্তু গল্বাপে চ্চা প্রিয় হিসেবে তার নিশ্চুপ উপস্থিতির জন্যই যেন আমি গল্পটা পড়ে তৃপ্তি পেয়েছি। এছাড়াও মিতুল রিহান দুজনের মা-বাবাই অসাধারণ ছিল। ভালোবাসার সংজ্ঞা বুঝাতে আসা বাড়িওয়ালা আন্টিকেও ভালো লেগেছে গল্প নিয়ে কিছু কথা: সত্যি বলতে গল্পের প্রথম পর্ব পড়ে আমি এত খুশি হয়েছিলাম ।আমি অনেক অনেক দিন ধরে এমন একটা গল্প খুঁজছিলাম যেখানে নায়িকা চটপটে আর ধায়ক ধীরস্থির,ভালো স্টুডেন্ট হবে।এমন গল্পের সন্ধান না পেয়ে নিজেও একবার এক পর্বও লিখেছিলাম দূবছর আগে।সে যাই হোক।হুট করে এই গল্পটা পেয়ে মনটা ভালো হয়ে গিয়েছে। স্পেশালী পজিটিভ ওয়েতে নায়িকার ড্যাম কেয়ার মনোভাব , কথাবার্তা,রিহানের উপস্থাপন সব মুগ্ধ করেছে আমাকে।তার উপর গল্পে ছিল না কোনো ন্যাকামি কিংবা গতানুগতিক উচ্যবাচ্চ্য। আর সহজ,সাবলীল লেখনীর জন্য গল্পটা আরো সুন্দর হয়ে উঠেছে। গল্প নিয়ে খারাপ লাগা: গল্প নিয়ে খারাপ লাগা নেই। তবে সময়ের সাথে সাথে মিতুল চরিত্রটার প্রাণবন্ত,মনে মনে কথা বলা,রিহানকে মনে মনে গালি দিয়ে তুই তোকারি করা এই ব্যাপারগুলো চলে যাওয়ায় কিছুটা মন খারাপ হয়েছে।তাকে ভালোই লেগেছে এসবের জন্য। ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্টের সাথে ক্যারেক্টারিস্টিক্স চেঞ্জ না হলেও হতো।তবুও ব্যাপারটা খারাপ লাগেনি।সব মিলিয়ে ভালো সময় কেটেছে। ⚠️ বিয়ে পরবর্তী,প্রতিবেশী, শত্রু শত্রু বন্ধুত্ব, বাচ্চাকাচ্চা, সুন্দর লেখনী সব চাহিদার জিনিসগুলো এক গল্পে পেয়ে এই দুঃসময়ের একটা ভোরের কিছুটা সময় আমি সত্যিই সুন্দর কাটিয়েছি। ধন্যবাদ লেখিকা আপুকে রেটিং-৮/১০
লিজা আপুর লেখার প্রতি আমার অন্যরকম এক টান। আপনার যতগুলো লেখা পড়েছি সবগুলো লেখায় ভিন্ন ভিন্ন ধারার। ভিন্ন স্বাদ উপলব্ধি করেছি। "জোছনার জল "নামক এই গল্পে উড়নচণ্ডী মিতুল ও জেন্টলম্যান রিহানের প্রণয়বন্ধি দারুণ উপভোগ্য ছিলো। আপনার লেখা পড়তে পড়তে তার গভীরতায় ডুবে যায়। কখন শেষ হয়েছে টেরই পাইনা। মুগ্ধতার রেশ থেকে যায় শেষ হওয়ার পরেও। রেহান আর মিতুলের সম্পর্কটা যেভাবে বাঘে মহিশে দেখানো হয়েছে পড়তে পড়তে রিহানের সুপ্ত অনুভূতির কথা জানতে পারাটা বিস্ময় ও মুগ্ধ করেছে। যদিওবা আমাদের মিতুল সিংহী হলেও রিহান বরাবরই জেন্টলম্যান ছিলো। একপাক্ষিক ঝগড়া! তাও সেটা মিতুলের মনস্তাত্ত্বিক হতাশার ফলাফল। এই দিকটা খুবই শিক্ষণীয়। আমরা ভাবি ভালো কারো ছেলের সাথে তুলনা করলেই আমাদের বাচ্চা ওইরকম হবে। তবে এটা বেশিরভাগ নেগেটিভ ইফেক্টই করে। তাই আমাদের উচিত যার যার ক্যাপাসিটি অনুযায়ী তার পটেনশিয়ালিটি বৃদ্ধি করা। আপনার লেখার এইদিকগুলোই আমাকে সবথেকে বেশি মুগ্ধ করে। সব লেখায় একটা শিক্ষণীয় দিক থাকে। সবশেষে বলবো, অসাধারণ হয়েছে আপু😍😍 তাই আপু একটা রিকুয়েস্ট সামনের বার থেকে কষ্ট হলেও ই-বুকগুলো আরো একটু বড় করবেন 😭