"কম্ফোর্টারে শীত মানে না, বুঝলা।" "হাতে-পায়ে মোজা পরে শোও।" "তাতেও হবে না। তোমার কম্ফোর্টারটা দিয়ে দাও।" "তাহলে আমি কী দিয়ে শোবো?" নন্দিনী বুকের সঙ্গে লেগে থেকেই ঘাড় ঘোরাল। এক ভ্রু উঁচিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করল, "কেন? আমাকে পর্যাপ্ত মনে হচ্ছে না?" দিগন্ত টের পাচ্ছে বুকের বাঁ পাশটা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে কম্পিত হচ্ছে। নিজের অভিব্যক্তি গোপন না করেই বলল, "ভূতের মুখে কলেমা শুনছি মনে হচ্ছে। জ্বর আসল নাকি?" "মেপে দেখো।" নন্দিনী দিগন্তের হাত টেনে ধরে প্রথমে কপালে, এরপর গলায় ঠেকাল। দিগন্ত ফিসফিস করে উচ্চারণ করল, "জ্বর মনে হয় আমার আসছে।" "কই দেখি!" নন্দিনী ঠোঁট টিপে হাসতে হাসতে দিগন্তের কপালে ও গলায় ঠোঁট ঠেকিয়ে জ্বর মাপল। দিগন্ত আবারও ফিসফিস করল, "তোমার ঠোঁট যদি থার্মোমিটার হয়, আমি প্রতিদিন জ্বরে ভুগতে চাই।" ই-বুক: ইলশেগুঁড়ি
"এই গল্প টা আমি ফেইসবুকে প্রথম পড়ি। প্রতিটা চরিত্র আমায় ভঈষন ভাবে আকৃষ্ট করে। নন্দিনি কে জানার এক অদম্য ইচ্ছেতেই ইবুক টা কেনা। ভঈষন সুন্দর এবং সাবলীল লেখনী। মধুসখা পরেই আপুর বিরাট ফ্রেন্ড আমি। #নাবিলা"
এক কথায় অসাধারণ!
Read all reviews on the Boitoi app
এই গল্প টা আমি ফেইসবুকে প্রথম পড়ি। প্রতিটা চরিত্র আমায় ভঈষন ভাবে আকৃষ্ট করে। নন্দিনি কে জানার এক অদম্য ইচ্ছেতেই ইবুক টা কেনা। ভঈষন সুন্দর এবং সাবলীল লেখনী। মধুসখা পরেই আপুর বিরাট ফ্রেন্ড আমি। #নাবিলা
Khub khub shundor EKTA boi
সত্যি অসাধারণ একটি গল্প💕💕
Best Best Best
ফেসবুকে হঠাৎ করেই একটা গল্পের কিছুটা পড়েই ভালো লেগেছিলো। এখানে এসে এটা পড়তে শুরু করলাম। চমৎকার একটা গল্প। লেখার হাত চমৎকার। অনেক শুভকামনা রইল।
অসাধারণ সুন্দর চমৎকার একটা লেখা পড়লাম আপু।আপনার সকল লেখাই মনোমুগ্ধকর ও বাস্তবমুখী হয়।চারজন বন্ধুর জীবনের একে অপরের প্রতি ভালোবাসা,দায়িত্ব কর্তব্যর পাশাপাশি তাদের সকলে জীবনের সুখ দুঃখ পাওয়া না পাওয়াগুলো দারুন নিখুঁত বর্ননায় তুলে ধরেছেল লেখিকা ইলশেগুঁড়ি ই বুকটায়। মন ছুয়ে গেছে খুব সত্যি এ কথাটা "জীবন সমুদ্রের মতো সমুদ্র স্থলভাগ থেকে যা যা নেয় তা একসময় ঠিকই ফিরিয়ে দেয়।হয়ত ভিন্ন কোন সময়ে,ভিন্ন ভূখণ্ডে। তেমনই মানুষ জীবনে যা যা ভালো বা মন্দ কাজ করে সেসব কর্মফলে ফিরে পায়।হয়ত ভিন্ন কোন সময়ে,ভিন্ন কোন পন্থায়।🥰
♦ইদানিং আমার নিজেকে পড়া হয় না । মনে হয় না যে নিজেকে নিয়ে একটু হাসি । নিজেকে নতুন করে নিয়ে গড়ে তুলি । কিন্তু করা হয় না । যখনই মনে হয় নিজেকে পড়া হয় না, তখনই মনে হয় আমার তো অনুভবও করা হয় না । যে পৃথিবীতে কোনো জীবনের গল্প পড়ার আখ্যান নেই সেই জীবনে নিজেকে ভীষণ ভবঘুরে বলে মনে হয় । মনে হয় যেন নিজেকে চিনতে পারছি না । পড়তে পারছি না একটুও । তাই কখনও কখনও রাতের নিস্তব্ধতায় নিজেকে চিনতে ইচ্ছে করে খুব । নিজেকে ভাসিয়ে দিয়ে এলোমেলো করে বলতে ইচ্ছে করে, আমিও একদিন আবার পড়বো । নিজেকে নিজের ভালো লাগার বন্দরে আটকে রাখবো । ♦সবকিছু লেখার আগেই আমি বলবো, আমার অনুভূতি হঠাৎ করে আটকে আছে । অনেক কিছুই বলতে ইচ্ছে করছে, কিন্তু বলতে পারছি না । লিখতে গিয়ে মনে হচ্ছে যেন হাতের আঙুল শব্দগুলোর উপরে নিজেকে মেলে দিতে চাচ্ছে না । তবুও ইচ্ছে করে অনুভূতিকে ভাসিয়ে দিতে । যে অনুভূতিরা শব্দের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে সেই অনুভূতিকে জাঁকিয়ে ধরতে আমার তৃপ্তি হয় । এটাই আমার প্রাপ্তি মনে হয় যেন । ইলশেগুঁড়ি গল্পটি এক প্রাপ্তির গল্প । এই প্রাপ্তি জীবনের অলিগলিতে প্রতিটি বিশেষণে নিজেকে আখ্যায়িত করার! নিজেকে মনে করিয়ে দেয়ার, সবগুলো বিশেষণ যেন ছিটকে ছিটকে দিয়ে দেয়া হয়েছে পুরো পৃথিবী জুড়ে । বন্ধুত্বের গল্পে নিজেদের হাসি আর কষ্টকে এক করে দেয়ার এই গল্পে যেন সবটাই আছে নিখুঁত হয়ে । কোথাও কোথাও যে খুঁতগুলো রয়ে যায় তা যেন চাঁদের কলঙ্কের মতো তিলক হয়ে এঁকে দিয়ে যায় নিজের সৌভাগ্য রাশি । ♦অনেকদিন পরে কোনো গল্পের পটভূমি পড়ার পরে আমি মন থেকে তুষ্ট হয়েছি । এই প্রাপ্তি হওয়ার ছাপ আমাকে বারবার বলে, কোনো গল্প মনের কাছাকাছি যাওয়ার জন্য অনেক কিছু লাগে না । শুধু পরিমিত কিছু হাতছানি এবং উপস্থিতি যেন নিজেকে দিয়ে যায় আরো কাছাকাছি দাগ টানার জন্য । অদ্ভুত সুন্দর এক পটভূমিতে গল্পটা যেন বয়ে চলেছে নিজের ভাষায়, যেন মনে হয় জলরাশিতে কোনো পানি নিজের টানে যেভাবে বয়ে যায় সেভাবেই যেন গল্পটি বয়ে গিয়েছে । কোথাও কোনো তাড়াহুড়ো নেই, কোনো আলগোছে পথের ছুঁয়ে যাওয়া বন্য ফুলে হাত বুলিয়ে দিতে আলসেমি নেই । নিজের সুরে এক অব্যর্থ ধাঁচে গল্পটি নিজস্ব স্বকীয়তায় বিরাজমান হয়েছে যেন । এই গল্পের প্রতিটি প্রেক্ষাপটেও যেন অদ্ভুত এক মায়া । আমার মন বলে, মায়া নিয়ে কাজ করা সবকিছুই খুব পছন্দের হয় । প্রতিটি প্রেক্ষাপট যেভাবে নিজস্ব ঢঙে সময় দিয়ে দিয়ে গল্পে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তা অসাধারণ ছিল । কিছু কিছু জায়গায় যেন মনে হয়েছে এটি এত অসাধারণ কেনো ছিল! কেনো বারবার মুগ্ধ হয়ে ফিরে আসতে হবে! এই গল্পের দৃশ্যপটেও যেন আন্তরিকতার ছাপ । প্রতিটি ছোট ছোট দৃশ্যেও যেন এক মনকাড়া মায়ারাজ্যের সুর নিজস্ব আবরণ দিয়ে যায় । এতটা হৃদয় আঙ্গিকে তো কোনো দৃশ্যপট ভালো না লাগলেও পারতো । ♦সাধারণত কোনো গল্পের প্রেক্ষাপটে যখন সময় দিয়ে দিয়ে গল্পের গাঁথুনি বন্ধন দিয়ে আটকে রেখে দিতে হয়, তখন সেই গল্পে যা আসে তা হলো, গভীরতা । এই গল্পে গভীরতা আমাকে মুগ্ধ করেছে । গল্পের গভীরতার জন্যেই বোধহয় গল্পে ব্যবহৃত আবহও আমাকে এতটা ভালো লাগায় বারবার মনে করিয়েছে এই গল্পে এতকিছু কেনো থাকতে হয়! কেনো ভালো লাগায় মন ভরে যায়! গল্পে গভীরতা এবং আবহের যথাযথ প্রকাশ যখন অসাধারণ ভাবে মেলবন্ধন হয় তখন সেই গল্পের মাঝে যা ফুটে আসে তা হলো পাঠকদের এক মোহময় দৃষ্টি । আমি যেন এক মোহমায়া নিয়ে তাকিয়ে আছি অনিমিখ দৃষ্টিতে । ♦কোনো গল্পে সুস্পষ্টভাবে গভীরতাসম্পন্ন হলে সে গল্পের চরিত্র গঠনে অদ্ভুত এক আবেশ কাজ করে । যে আবেশে চরিত্র গঠনগুলো যেন খুব ভারসাম্যপূর্ণ মনে হয় । মনে হয় যেন যাকে দেখে মনের কোণে খারাপ লাগায় অস্থির হতে হয় তার চরিত্রে গঠনও এতটা তীব্রতা নিয়েছে বলেই বোধহয় তা আরো ভালো লেগেছে । তা নিয়ে ভাবতেও যেন বসে যেতে হয় খুব । •নন্দিনীঃ আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন নিজের স্বকীয়তা বজায় রেখে, অদ্ভুত এক অনাঘ্রাত মায়া নিয়ে এই সিসিমপুরের আখ্যানে ‘ইকরি’ হয়ে বসে থাকা চরিত্রটি নন্দিনী । যার চরিত্রের বাঁকে বাঁকে যেন অদ্ভুত এক রহস্য । যে রহস্য গল্পটিকে আঁকড়ে ধরে রাখে পুরোটা জুড়ে । ভালোবাসার ভয়ে ভীত থাকা নারীটির জীবনে প্রেম করার নেই বারণ, তবে প্রেমে পড়ার জীবনে যার আপত্তি সেই নারীটির জীবনে অদ্ভুত এক মানসিকতা যা তাকে সবকিছু থেকে আলাদা করে রাখে জীবনবোধে । নিঃসঙ্গ, কোথাও যেন কাউকে পাওয়ার অপেক্ষায় তার মন অজানায় বসে থাকে । এই আখ্যানের গল্পে তাই নন্দিনী যেন সত্যিই জীবনের নন্দিনী হয়ে উঠে । •অনুভবঃ ভালোবাসায় পড়তে ইচ্ছে করে খুব, জানো? তবুও আমার ভালোবাসার মানুষটিকে খুঁজে পাওয়ার খুব তাড়া । কিন্তু ভালোবাসা যে বলে কয়ে আসে না জীবনে, হুট করে হয়ে যায় । অনুভব যেন তার নামের মতোই জীবনে প্রবাহমান হয়ে বিরাজ করে । তার জীবনের প্রতিটি অনুভব তার মতোই হুট করে আসে । সুদর্শন, বন্ধুত্বপূর্ণ স্বভাবের পুরুষটির জীবনে ভালোবাসা যেন সবকিছু ভেঙেচুরে নিয়ে আসে । এই ভেঙেচুরে যেন পৃথিবীকে জানান দেয় ভালোবাসায় পড়ার । অদ্ভুত এক আলস্য জন্মে ভালোবাসাকে পাওয়ার । ‘শিকু’ এর মতোই পরিস্থিতির খেয়ালে বুদ্ধি নিয়ে ভাবতে থাকে যেন খুব । •দিগন্তঃ ভোজনরসিক, বন্ধুত্বপূর্ণ, নিঃসঙ্গতা করে রাখা মানুষটির জীবনে প্রিয় মানুষদের একটু সাহচর্য পাওয়ার খুব ইচ্ছে । ভোজনরসিক স্বভাবটিই যেন ‘হালুম’ নামের সাথে সম্পৃক্ত । হাসিখুশি স্বভাবের মানুষটি সহসাই যেন কখনও বলে দিয়ে যায় এই পৃথিবীতে আমার ভালোবাসাও জিতবে । আমার ভালোবাসা যেন অদ্ভুত এক সৌন্দর্য । জীবনে বন্ধুত্বের বাইরে কাউকে নিয়ে না ভাবতে চাওয়া মানুষটি হঠাৎ করে ভালোবাসায় পড়ে যেন কোথাও একটা ভেঙেচুরে যাওয়ার শব্দ হয় । সেই শব্দটি মনের কোণে দাঁড়িয়ে দেখতে পায় তার মনবদলের দিনগুলি । •টুকটুকিঃ হুটহাট পরিস্থিতিতে পড়ে কেঁদে ফেলা নারীটি সম্পর্কের রসায়নগুলো বুঝতে পারে খুব । প্রতিটি সম্পর্ককে অনুধাবন করা নারীটি যেন ছেঁচে ফেলা সেই কাদামাটির মতো । যাকে গড়ে নেয়া যায় নিজের মতো করে অদৃশ্যে, আলগোছে । ভালোবেসে ভালোবাসাকে নিয়ে বুঝে ফেলার যে এক অদ্ভুত টান তা যেন বুঝে যায় খুব । কোথাও একটা হাস্যোজ্জ্বল মুহূর্তগুলো যেন নিজেকে ছাড়িয়ে ছাপিয়ে দিয়ে যায় এই পৃথিবী জুড়ে । •রিতা মাহমুদঃ জীবনের মধ্যগগনে থাকা এতটা বন্ধুত্বপূর্ণ, হাস্যোজ্জ্বল স্বভাবের মিষ্টি এক নারী যেন নিজের উপস্থিতি দিয়ে পুরো গল্পে যেন এক অদ্ভুত আবেশ নির্ধারিত করে দিয়ে যান । প্রতিটি সম্পর্ককে অদ্ভুত এক মূল্যবোধে ধরে রাখতে জানেন তিনি । সম্পর্কে চারা গাছের মতো করে পানি দিয়ে যত্ন নেয়ার মতো করে সম্পর্কগুলোকে বন্ধনে আঁকড়ে ধরার যে তীব্র চেষ্টা তা বেশ মুগ্ধ করায় । •নিশীথঃ গম্ভীর স্বভাবের একটু আত্মকেন্দ্রিক হওয়া পুরুষটি বর্তমান সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে জীবনের কোথাও একটা যেন নিজের উপস্থিতিকে হারিয়ে ফেলতে বসে খুব । এরপর যখন অনেকগুলো দিন পরে খেয়াল হয়, তখন কোথাও যেন মনে হয় বর্ষণ রাজা হয়ে তার জীবনে এক মেঘ কুমারীর বড্ড প্রয়োজন । যে তার জীবনে মেঘ কুমারী হয়ে বড্ড বিশেষণগুলো ব্যবহার করে এক ভালোবাসার সৃষ্টি করবে । •প্রিয়াঃ খুবই ছোট বয়সে সমাজের এক কঠিন বাস্তবের সাথে মুখোমুখি হওয়া মেয়েটির নারী হয়ে ওঠার এক আখ্যান এটি । জীবনের সংগ্রাম করার লক্ষ্যে নিজেকে ভাসিয়ে দিতে চেয়েও যেন নিজের হাতগুলো নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখেই মেলে দিতে চায় সবটা জুড়ে । কষ্টগুলো কখনও পৃথিবী জুড়ে যখন ভেসে বেড়ায় তখন নিজেকে নিয়ে ধৈর্য ধারণ করার ইচ্ছা জন্মায় খুব । ••এছাড়াও এই গল্পে আছে আরো কিছু চরিত্র । যারা গল্পের ভারসাম্য গঠনে এবং গল্পের প্রেক্ষাপটে নিজেকে মেলে দিয়ে যায় । আছে দুষ্টু এবং হাস্যোজ্জ্বল স্বভাবের ঝুমঝুমি । এছাড়াও আছেন আমিন সাহেবদের মতো বন্ধুত্বপূর্ণ এক সাহায্য মানসিকতা নিয়ে থাকা ব্যক্তি । এছাড়াও গল্পে আছেন নিজের ব্যক্তিত্ব পুরোপুরি শেষ করে দেয়া এক বাবা কাদির, আছেন এক অসুস্থ মানসিকতার সাবেরা, এছাড়াও গল্পে আছেন নিজেকে নিয়ে যুদ্ধ করে যাওয়া দুই মা হয়ে ওঠা মুনিরা এবং ফাতেমা, এছাড়াও আছেন সমাজের কাছে এক আলোচিত সাহায্য করার মানসিকতা নিয়ে থাকা রঞ্জু । এরকমই করে গল্পে ভেসে আসে নাজমুল নামের এক চরিত্র স্খলন করা এক পুরুষের, আসে জয়নব নামের কুটিল বুদ্ধিসম্পন্না একজন নারীর জীবনের গল্প । গল্পে ভেসে আসে ভালোবাসাকে ভালোবেসেও ভালোবাসা নিয়ে অপেক্ষা করা ফারহান । এভাবেই জীবনেই বয়ে যায় কত গল্প আর কত চরিত্র । •এই গল্পের প্রতিটি চরিত্র গঠন এবং তার উপস্থিতি বেশ ভালো ভাবে ছিল । যখন যে চরিত্রটির প্রয়োজন তা যেন ঠিক সেরকম ভাবেই এসেছে । কোথাও যেন কোনো আপেক্ষিকতা নেই । গল্পের ভারসাম্য যেন অদ্ভুত সুন্দর ভাবে তৈরি করা দেয়া হয়েছে নিজস্ব এক ধাঁচে । কোথাও যেন এক অদ্ভুত আবেশিত করে দেয়া অনুভূতি বাড়িয়ে দেয় । ♦এই পৃথিবীতে বৃষ্টি কিভাবে আসে জানো? কান্নার মতো করে । কান্না যেভাবে সময়ে অসময়ে সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে গিয়ে পৃথিবীতে এক অদ্ভুত রাজ্যের সৃষ্টি করে । ঠিক সেভাবেই যেন বৃষ্টিও আসে । কখনও ঝমঝমিয়ে কখনও ঝিরঝিরে অনুভূতি নিয়ে । ইলশেগুঁড়ি, যেন সম্পর্কের আখ্যান । সেই বন্ধুত্বেরই এক রূপ যা বৃষ্টির মতো হয়ে এসে পরিমিত ভাবে সবকিছু দিয়ে যায় । এই পৃথিবীতে কখন কোন বিশেষণের খুব দরকার তা যেন ইলশেগুঁড়ি হয়ে পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিতে বুঝে খুব । এটাই আমার এই গল্পের সবথেকে প্রিয় বিষয় । এছাড়াও এই গল্পের আরো অনেক কিছু প্রিয় আছে আমার । এই গল্পটি যেভাবে ফুটিয়ে তুলে বর্ণনা করা হয়েছে তা বেশ প্রিয় আমার । যেভাবে প্রকাশ করা হয়েছে তা অসাধারণ ছিল । শব্দচয়ন কিংবা সংলাপ ধারণ অথবা বর্ণনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি এই গল্পে অদ্ভুত সুন্দর এক মায়া দিয়েছে যা ঘোরের সৃষ্টি করেছে খুব । এছাড়াও সম্পর্কের রসায়নে ভালোবাসা বিভিন্ন আসে । এই পৃথিবীতে আসলে এক মানুষের প্রতি আরেক মানুষের যে মায়া তা টান আর ভালোবাসা হয়েই বন্ধন করেই আঁকড়ে ধরে রাখে । তাই কিছু কিছু দৃশ্যপটে যেভাবে সংলাপ এবং ভালোবাসার ব্যাখ্যা করা হয়েছে তা অসাধারণ ছিল । মুহূর্তগুলো এত প্রিয় হয়ে ছিল আমার । ♦এই পৃথিবী কি জানে, আমার একটা সময়ে নিজের সাথে নিজের প্রবল অভিমানে মন খারাপ চলছিল খুব! যে লেখকের একটা উপন্যাস, মধুসখা পড়ে আমার মনে প্রবল ভালোলাগায় আন্দোলিত হয়ে গিয়েছিল খুব । সেই লেখকের পরবর্তীতে আর কোনো লেখা সেভাবে পড়া হয়নি বলে কখনও কখনও আমি নিজেই নিজের উপরে অদ্ভুত ভাবে যেন তাকিয়ে থাকি মনে হয় । মনে হয় এই পৃথিবীতে আসলেও অদ্ভুত কিছু ঘটে! সত্যিই কী এই যে ভালো লাগা তা কেনো হঠাৎ আমার পড়া হয় না? তখন যেন মনের কোথাও থেকে বলে উঠে, হয়তো মধুসখা নামক এক মায়াজাল এমন ভাবে আবদ্ধ করে রেখেছে যা কোথাও যেন ধারাবাহিকতা শেষ না হয়ে তার ভয় পেয়েছিল খুব । কিন্তু আমার মন জানে, আমি খুব আমার যুক্তিতর্ক নিজেই উপস্থাপন করে বিতর্ক শুরু করে দেই । লেখক প্রভা আফরিন এর অদ্ভুত এক সুন্দর লিখনশৈলীর ধাঁচ । পটভূমিতে দারুণ ভাবে কাজ করা হয় । গল্পে গভীরতা রেখে যেভাবে সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম ভাবে বর্ণনা করে থাকে তা বেশ ভালো ছিল । এছাড়াও সংলাপ ধারণ এবং শব্দচয়ন এর দিকেও দারুণ এক মুগ্ধতা যেন ছাপ তৈরি করে দিয়ে যায় । সাধারণত ইবুক মানেই পৃষ্ঠার মাঝে কোথাও একটা লুকোচুরি খেলা । সেদিক থেকেও যেভাবে বইয়ের মতো করেই পৃষ্ঠাগুলো সাজানো হয়েছে বা প্রেক্ষাপট এবং দৃশ্যপটে জলছাপ এনে গল্পে এক সৌন্দর্য তা বেশ ভালো ছিল । তবে গল্পে বেশ অনেকগুলো টাইপিং মিস্টেক এবং বানান ভুলের জায়গা রয়েছে । যদিও তা প্রথমদিকে তা বেশ থাকলেও শেষের দিকে গিয়ে খানিকটা কমেছে । লেখক প্রভা আফরিন এর লিখনশৈলীর সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি পাক, তার জন্য শুভকামনা রইলো । ♦রেটিংঃ ৫/৫ হঠাৎ যেন কেউ কোথাও বলে দেয় এই পৃথিবী! বৃষ্টি তোমার হোক । যে বৃষ্টিতে সৌন্দর্য নামে, যে সৌন্দর্য হয় সম্পর্কের । হয় ভালোবাসার । হয় বন্ধুত্বের । আর হয় নাম না জানা এক প্রবল মায়ার । যে মায়া কোথাও আটকে রাখে, ছিটকে দেয় কিন্তু বন্ধন ছাড়ে না । মেঘ কুমারী তার বর্ষণ রাজার হোক, অথবা কোনো হাসু তার অভিমান দেখানোর এক রাজ্যগড়ুক সুদর্শন ব্যক্তিটির সন্ধানে । পৃথিবীতে আসুক ইলশেগুঁড়ি, আসুক এক রূপকথা!
চমৎকার একটা গল্প। বন্ধুত্বকে ঘিরে জীবনের সকল দৃশ্যপট ব্যাখ্যা করে লেখক চমৎকার রূপে উপস্থাপন করেছেন। সিসিমপুরের চার সদস্যকে অনেক অনেক ভালো লাগলো। সবমিলিয়ে শেষটা ছিলো দুর্দান্ত। বিশাল বড় একটা গল্প পড়তে এতটুকু বোরিং লাগেনি।
আলহামদুলিল্লাহ অনেক সুন্দর একটি বই পড়লাম। এতো সুন্দর করে প্রতিটি চরিত্র ও তাদের সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি।