কয়েক সেকেন্ড চুপ করে থাকল ওপাশ। তারপর খুব ধীরেধীরে, কাটা কাটা শব্দে উচ্চারণ করল, 'আপনেরে একখান মার্ডার করতে হইবো ম্যাডাম।' সঙ্গে সঙ্গে ঘাড় আর কাঁধের পেশি শক্ত হয়ে গেল কবিতার, গা গুলিয়ে বমি এলো, মুখে উঠে এলো পিত্তরস। স্তুপীকৃত ঘৃণা আর ক্রোধে ভরে উঠল মনটা। মৃদু কাতরানির মতো মুখ দিয়ে বেরিয়ে এলো, 'হোয়াট!' ওপরওয়ালার লীলা বোঝা ভার। কবিতা যখন স্বামীর মঙ্গলের জন্য নিজেকে পুলিশের কাছ থেকে দূরে রাখতে চাইছে, ঠিক তখনই দেখা হয়ে গেল পুরনো বন্ধু শফির সঙ্গে, বর্তমানে যে কি না একজন পুরোদস্তুর পুলিশ অফিসার!