একটা বাস্তব দুর্ঘটনা থেকে ইন্সপায়ারড হয়ে লেখা এই উপন্যাস। যদিও দুর্ঘটনা বাদে এই উপন্যাসের আর কোনো কিছুই বাস্তব নয়। সম্পূর্ণ কাল্পনিক। দুর্ঘটনাটা কেবল আমাকে ট্রিগার করেছে উপন্যাসের প্লট সাজাতে। বাংলাদেশের বিমান চলাচলের ইতিহাসে সবথেকে ভয়াবহ যে বিমান দুর্ঘটনা বলে আমরা জানি, তা হলো ১৯৮৪ সালের ৫ই আগস্ট পতেঙ্গা থেকে আগত বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বর্তমান শাহজালাল বিমানবন্দরের কাছাকাছি একটা জলাভূমিতে বিধ্বস্ত হয়। আবহাওয়া বেশ খারাপ ছিল সেদিন। এই দুর্ঘটনায় বিমানের পাইলট ও ক্রুসহ প্রতিটা যাত্রী না ফেরার দেশে চলে যান। কোনো এক ভাবে বহু বছর বাদে এই ঘটনার খবর আমার সামনে চলে আসে। আমি মন দিয়ে পড়ি। বিমান দুর্ঘটনাটা কেন জানি আমার মাথায় ক্লিক করে যায়। পরের কয়েকদিন আমি শুধু ভেবেছি, মৃত মানুষগুলোর চারপাশে থাকা আপনজনদের কথা। প্রিয়জন হারিয়ে তারা কে কেমন ছিলেন বা আছেন, কীভাবে তখন নিজেদের সামলে নিয়েছেন, খুব জানতে ইচ্ছে করছিল। এই জানার চেষ্টা করতে গিয়ে আরও একটা খবর পেলাম! যাত্রীদের মধ্যে একজনের স্ত্রী সন্তানসম্ভবা ছিলেন! খবরটা অথেনটিক কি না জানা যায়নি। তবে বিষয়টা কতখানি মর্মান্তিক ছিল, সেটা আমার মস্তিষ্ক নিজেই কল্পনা করে নিতে শুরু করল। এক পর্যায়ে আমার সহ্যসীমা পার হবার মতো অবস্থা তৈরি হলো। আমি পাগলের মতো আপনমনে কীসব ভাবি, নিজেই কষ্ট পাই, কাঁদি! আচানক মনে হলো, লিখি। উপন্যাসের শুরুটা ছিল খুব সাধারণ একটা পারিবারিক ঘটনা দিয়ে, যেটা বাংলাদেশের প্রায় বেশিরভাগ সংসারে খুব পরিচিত। শাশুড়ি বউয়ের কোন্দল। আমার চেষ্টা ছিল একটা চকমকে শুরুর, যেটা পাঠককে চুম্বকের মতো টেনে ধরবে। পরবর্তীতে উপন্যাস এগিয়েছে আপন ধারায়। আমিই লিখেছি। কিন্তু তাতে আমার কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। আমি কেবল চেষ্টা করেছিলাম সন্তানসম্ভবা একজন মহিলার আচানক বিধবা হবার প্রতিক্রিয়াটাকে সুন্দরভাবে তুলে ধরতে। এক পর্যায়ে শেষও হয়েছে উপন্যাস আপনাতেই! আমি শেষ করিনি!
চমৎকার গল্প ❤️
Read all reviews on the Boitoi app
গল্পটা এত ভালো লেগেছে!! পড়ার দুই দিন পর ও গল্পের মুগ্ধতার রেশ টা মাথা থেকে যাচ্ছে না...
Oshadhaor ekta golpo..
অনেক সুন্দর একটা গল্প। আপুর সবগুলো লেখাই অসাধারণ।