এইসব কী রিলস পাঠাও আমাকে? কোনো মাথামুণ্ডু নেই, শুধু ডিপ্রেশন, মুড সুইং, অ্যাংজাইটি। সারাক্ষণ ঘরে বসে বসে এইসব চিন্তাভাবনা করো, আর রোগ বাঁধাও শরীরে। কোনো কিছুর খামতি তো রাখি নি, চাওয়ার আগেই সব এনে হাতে ধরিয়ে দিই, তবুও এইসব ভাবনা চিন্তা কেন? মোন খুব ধীর গলায় বললো, আমি শুধু তোমাকে বোঝাতে চাই, যে রিলস গুলো আমি তোমাকে পাঠাই, আমিই এইরকম ফিল করি, সব কিছু থেকেও আমি নিজেকে একা মনে করি, মাঝে মাঝে হাত পা কাঁপে, বড্ড অস্থির লাগে। জানো, কিছু কিছু সময় শ্বাস নিতেও অসুবিধা…. শেষের কথা গুলো শেষ হওয়ার আগেই মৈনাক উত্তেজিত হয়ে বললো, থামো তো, তোমার এই ঘ্যানঘ্যান আমার ভালো লাগছে না। অফিসে এত কাজের চাপ, আর বাড়ি ফিরে তোমার এই নাটক, জাস্ট অসহ্য লাগছে আমার। ইনস্পেকটর এসে বললেন, মৈনাক বাবু, একটু কথা ছিল। মৈনাকের সম্বিৎ ফিরলো, নিজেকে সামলে নিয়ে বললো, হ্যাঁ বলুন। ইনস্পেকটর তার পাশে বসলেন, কিছুক্ষণ নীরব থেকে বললেন, একটা মানুষের মনে কি চলছে, তা পাশাপাশি থেকেও বোঝা যায় না, সংসার বড্ড কঠিন তপস্যা। কিন্তু ভালোবাসা? ভালোবাসা থাকলে তো একজন একজনের চোখ দেখেই বুঝে যাবে, মনের মধ্যে কি চলছে। মৈনাক বিড়বিড় করে বললো, চোখ? হ্যাঁ চোখ…
বেশ ছোট একটা গল্প । কিন্তু কি যে সুন্দর করে গল্পটা সাজানো হয়েছে । পড়ে এতটা ভালো লাগলো । মনে হলো যেন কম কথায় কম শব্দে দারুণ ভাবে একটা অসাধারণ প্রেক্ষাপট লেখক দেখিয়ে ফেলেছেন নিজের লিখনশৈলী এবং স্বকীয়তার মাধ্যমে । কয়েকটা জায়গা এত দারুণ লেগেছে পড়ার সময়ে । যা ভালো লাগার মতো । লেখকের কোনো লেখা আগে না পড়া আমার এই লেখা গল্পটি হঠাৎ করে ভালো লেগে গেল খুব । লেখকের জন্য শুভকামনা রইলো ।
Read all reviews on the Boitoi app