শাদাদ দেখলো পলিন এগিয়ে আসতে আসতে কখন যেন রেলিং ঘেঁষে দাঁড়িয়েছে৷ অল্প সময়ের মাঝেই দেখা গেল কয়েকটা ইট এনে তার ওপর দাঁড়াচ্ছে মেয়েটা। শাদাদ আতঙ্কিত গলায় জানতে চাইলো, কি করছো? প্রশ্ন শেষ হওয়ার আগেই পলিন এ পাশের ছাদে এসে নামলো। পলিনের পা উঠিয়ে রেলিংয়ে বসে তারপর এপাশে নামার দৃশ্যটা দারুণ কিছু মনে হলো শাদাদের কাছে। -জিতে গেলেন তো! -হুম -মিষ্টি মুখ করাবেন না? -মিষ্টি.... হু দাঁড়াও আনছি। শাদাদ চিলেকোঠার দিকে পা বাড়াতে গেলে পলিন হাত ধরে ফেলল। শাদাদ প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে তাকায়। -আমাকে কেমন লাগছে? -ভালো। -কেমন ভালো? শাদাদ এবার মনোযোগ দিয়ে দেখার চেষ্টা করে৷ আজ প্রথমবারের মত খুব কাছ থেকে দেখে নিয়ে জবাব দেয়, "ছোট্ট একটা টিপের কমতি।" -পরেরবার দেব। -আচ্ছা। -আজ তো আপনার ভীষণ আনন্দের দিন। আজকের এই দিনে আপনার কি উচিত না অন্যদেরও আনন্দের কারণ হওয়া! -উচিত না। -মিথ্যুক লোক। মন থেকে জবাব দিন। -মুখেরটাই আসল কথা। -আমি মানি না। -না মানলে নাই। -আমি কি দেখতে অসুন্দর? -আয়না দেখো। -আপনার চোখে দেখতে চাই। -তাহলে কখনো দেখা হলো না তোমার, আফসোস! -ভালোবাসি আপনাকে, আপনার সঙ্গী হতে চাই। এত অকপট স্বীকারোক্তি বোধহয় আশা করেনি শাদাদ। অনেকগুলো বছর ধরেই এই মেয়েটা তাকে চায়। মেয়েটির কৈশোরের শুরুর পছন্দই হয়তো শাদাদ এখনো কি তাই! শাদাদের মন যে কখনো মেয়েটির দিকে মনোযোগ দেয়নি তা না বরং বহুবার এই চপলা,চঞ্চলা মেয়েটিকে নিয়ে ভাবুক হয়েছে ভীষণ। তার সেই ভাবনাগুলো দুমড়ে মুচড়ে আবার নরম কাঁদার মত আদলহীন হয়ে গেছে পলাশের মুখটা মনে পড়তেই। পলাশের বন্ধুত্ব, নিজের বয়স দুটোই তাকে সতর্ক করেছে পলিনের সাথে দূরত্ব রাখতে। আজ এই মুহূর্তে মেয়েটা তার হাত ধরতেই মন বলছিলো ভুল হয়ে যাবে খুব। পলিন আবারও মুখ তুলে শাদাদকে দেখে, ধীরে ধীরে বলে দেয়, " আপনাকে ভালোবাসি খুউব সঙ্গী করবেন আমায়?"
রুবাইবা মেহউইশ আপুর লেখা প্রথম পড়া আমার এই ই-বুক দিয়েই। এক বসায় শেষ করেছি, ভীষণ ভালো লেগেছে। যদিও কিছু জায়গায় বানানে সমস্যা ছিল, তবুও সব মিলিয়ে দারুণ উপভোগ্য ছিল লেখাটা❤️
Read all reviews on the Boitoi app
আমার পড়া বেস্ট ই-বুক প্রণয় পূর্ণিমা রিভিউ দিতে ভুলে গেছিলাম তাই আবার আসলাম, তোমার লেখা বরাবরই অন্যরকম হয়। পড়তে পড়তে বারবার গল্পের মধ্যে হারিয়ে যাচ্ছিলাম। শাদাদের প্রতি পলিনের ভালোবাসা আমায় মুদ্ধ করেছে। গল্পটা পড়তে সত্যিই অসাধারণ লাগলো। এত্তগুলা ভালোবাসা আপু তোমার জন্য❤️❤️
তোমার লেখনি বরাবরই দারুণ। প্রণয় পূর্নিমা গল্পটি তার ব্যাতিকক্রম নয়। গল্পটা পড়ার সময় এতোটাই বিমোহিত ছিলাম যে গল্পটা কখন শেষ হয়ে গিয়েছিলো বুঝতেই পারি নি। তবে শেষটা মনে হয় একটু তাড়াহুড়ো করে শেষ করেছো। যাই হোক গল্পটা ভিষণ রকম ভালো হয়েছে। আমার পলিন চরিত্র টা বেশ ভালো লেগেছে । এবার নেক্টস ই-বুকের অপেক্ষায় রইলাম।
খুবই সাধারণ একটা গল্প ছিল কিন্তু পড়তে পড়তে মুগ্ধতা ছড়িয়ে যায়, সাবলীলভাবে এই লেখা গল্পটা এককথায় দারুণ ছিল!
ই-বুক আসবে শুনে প্রচুর খুশি হয়েছিলাম। এখন পড়া শেষ করে আরও বেশি ভাল্লাগছে। মিষ্টি একটা প্রেমের গল্প। পারিবারিক সামাজিক বিষয়ক বর্ণনাগুলো সাবলীলভাবে লিখো এজন্য বেশিই ভাল্লাগে আমার। গল্পের প্রত্যেকটা চরিত্র যার যার অবস্থান অনুযায়ী দারুণ পারফর্ম করসে। [শাদাদ&পলিনের দাদীদের বেশি ভাল্লগছে]🤭 কোথাও কমতি নেই, নেই বাড়তি সংলাপ। সব মিলিয়ে শাদাদ পলিনের জুটিটা চমৎকার লাগছে বরাবরই তোমার লেখা অত্যন্ত ভালো লাগে আমার কাছে। তোমার লেখায় অভ্যস্ত হয়ে গেছি। সামনে আরও ই-বুক প্রত্যাশা করিয়া বিদায় নিচ্ছি 🤍
গল্পটা পড়া শুরু করে একবসায় শেষ করতে বাধ্য হয়েছি।এই গল্পের প্রতিটা চরিত্রই ছিলো চমৎকার।পলিনের মতো আমিও শাদাদ সীমান্তের প্রেমে পড়ে গেছি।পুরো গল্পটা সত্যি বলতে দারুন উপভোগ্য ছিলো। মনেই হয়নি এটা তোমার প্রথম ই-বুক।তবে শেষ দিকে এসে মনে হয়েছে একটু তাড়াহুড়ো লাগিয়ে ফেলেছো।পলাশ আর শাদাদের মান অভিমান মিটানো টা আরেকটু খোলাশা করে বর্ননা করা উচিত ছিলো। যাই হোক এসব ছাপিয়ে ও গল্পটা আমার খুব খুব ভালো লেগেছে।ছোট্ট পলিনের প্রণয় পূর্ণতা পেলো।গম্ভীর শাদাদ না চাইতেই ফেসে গেলো পলিনের মিষ্টি ভালোবাসায়। এরকম সম্পর্কের মারপ্যাঁচযুক্ত গল্প পড়তে ভালোই লাগে।এ যেনো আশেপাশের বাস্তব চিত্র। সবশেষে লেখিকাকে ভালোবাসা এমন সুন্দর গল্প আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য🤍🤍
গল্পটা অন্যরকম ভীষন সুন্দর । আমাদের সমাজের কিছু চিত্র দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলন লেখিকা আপু। একদম পরিপূর্ণ একটি ই বুক। পড়ে মনে হবেনা যে কোথাও ঘাটতি রয়েছে । প্রয়োজন এ সবথেকে আপনজন ও স্বার্থপর । লেখিকা আপুর জন্য অনেক শুভকামনা আরও সুন্দর সুন্দর লেখনী যেন উপহার পাই।
তোমার লেখা বরাবরই সুন্দর। কিন্তু প্রথম ই বুক হিসেবে প্রণয় পূর্ণিমা অসাধারণ হয়েছে। গল্পের সবগুলো চরিত্র একেবারে পারফেক্ট ভাবে এগিয়েছে। কোথাও কোনো অতিরিক্ত মনে হয় নি। প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ্য ছিলো। তোমার লেখা উপন্যাস এর মধ্যে মন গহীনের গল্প আমার সবচেয়ে প্রিয়। এখন সেটার জায়গা ছুঁয়ে গেলো এই গল্পটি। অনেক শুভকামনা রইলো
পলিন নামটা আমার অনেক অনেক প্রিয়। ডিয়ার মেবিশ এত চমৎকার সাবলীল মায়াকাড়া গল্পে পলিনকে নিয়ে আসার জন্য ভালোবাসা এতগুলো।
প্রণয় পূর্ণিমা “ কি মিষ্টি নাম! শুরুতেই ই-বুক আশার কথা কি পরিমাণের সার্প্রাইজড ও আনন্দিত হয়েছিলাম তা বলে বুঝাতে পারবো না। পলিন ও শাদাদ দুজনের অসমবয়সী এক প্রণয়ের গল্প। পলিনের কিশোরী বয়সের আবেগ ও পাগলামি যে দৃঢ় পুরুষকে এতো লাগামহীন করে তুলবে সত্যিই আমার ভাবনাতীত ছিলো। পলিনের ব্যক্তিজীবনের টানাপোড়নের যন্ত্রণা কমিয়ে আনতে মামার ভূমিকা অনস্বীকার্য। গল্পে প্রতিটা পরদে পলিনের শাদাদের প্রতি অনুভূতি সুস্পষ্ট হলেও শাদাদের অনুভূতির প্রকাশটা একেবারেই ছিলোনা। আরম্ভ, গল্পের গতিশীলতা খুবই উপভোগ্য ছিলো। কিন্তু একরাতের অনাকাঙ্ক্ষিত এক ঘটনা যেমন ওদের বিয়েটা হলো, অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবেই যেন শেষ হলো। বিয়ের পর ওদের যোগাযোগহীন কাটানো, আবার হুট করেই দাদীর মৃত্যুতে বাড়িতে নেওয়ার পরপর শাদাদের অনুভূতির অস্পষ্টতা রেখে শেষ করাটা একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত ছিলো। গল্পের বর্ণনা, চরিত্রের সংলাপ ও দৃশ্যপটের উপযুক্ততা ছিলো ও ঘটনা প্রবাহ ছিলো ঝামেলাহীন ও মাধুর্যময়। বানানের নির্ভুলতা উল্লেখ্য। শেষদিকের সমাপ্তিটায় কেবল তাড়াহুড়ো লেগেছে। সর্বোপরি ই-বুকটা পড়ে এঞ্জয় করেছি আপু। প্রথম ই-বুক হিসেবে খুবই ভালো হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। পরবর্তী ই-বুক তাড়াতাড়ি চাই😍