আপনি মোহ! আপনি মায়া! আপনি নাম না জানা এক মাদকতা! আপনি আসক্তি! আপনি আকর্ষী! প্রতিনিয়ত আমায় মধ্যাকর্ষ বলের মতো নিজের দিকে টানেন। আমি ডুব দেই আপনি নামক মাদকতায়। আপনাতে আসক্ত আমি। আপনি নামক নেশা আমি কাটাবো কোন রিহ্যাবে গেলে? আদতে সে নেশা কাটবে তো? না কাটুক সেই নেশা। আমি আপনাতে ডুবতে চাই। প্রতি সেকেন্ড। প্রতি মিনিট। আমৃত্যু। শুনছেন প্রণয়িনী? আপনি আমার অন্তরালে থাকা অলিখিত এক প্রণয়কাব্য। আপনি আমার যত্নে গড়া প্রেম গাঁথা। যার নামে প্রেমের মালা গাঁথি প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ।' শিরশিরিয়ে ওঠে তনুর সর্বাঙ্গে। শিরা উপশিরায় প্রবাহিত রক্ত হিম হয়ে এলো। চিরকুট খানা বুকে চেপে ধরে ধপ করে বিছানায় শুয়ে পড়ে সে। নিশ্বাসের গতি বাড়তে থাকে। ঠোঁটের কোণে লেগে থাকা লাজুক হাসিটা প্রকাশিত হতে গিয়েও হয় না।
ভাল লাগেনি। এই লেখিকার গল্প ফেসবুকে পড়েছি।আরোও ভালো লেখেন ফেসবুকে।
Read all reviews on the Boitoi app
#রিভিউ ইবুকঃ অন্তরালে প্রণয়কাব্য লেখিকাঃ রুপন্তী রহমান #নামকরণঃ অন্তরালে প্রণয়কাব্য নামটা এক রাশ আবেগে আচ্ছন্ন করা এক টুকরো মেঘ যেনো ছুয়ে যাচ্ছে দখিনা বাতাসের সাথে। #গল্পের_প্লটঃ তনুজা মিষ্টি চঞ্চলা মিশুক মেয়ে কোন এক প্রহরে বান্ধবীর দেওয়া ডেয়ারে ভেসে 101 খানা বইয়ের আবদার করেছিলো ফেসবুকের স্যাটাসে সেখান থেকেই শুরু হলো অন্তরালে প্রণয়কাব্যের আদান-প্রদান। বইয়ের ভাজে অজ্ঞাত পুরুষের চিরকুটের অপেক্ষায় থাকা তনুজাকে কখন কিভাবে প্রেম নামক আবেগ এসে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরলো তা বধহয় ধিরে ধিরে টের পেলো প্রণয়িনী। হ্যাঁ সে যে অজ্ঞাত পুরুষের প্রণয়িনী। আবেগ আর ভালোবাসার এই টানাপোড়নে শেষ পযর্ন্ত কি খুজে পেয়েছিলো না দেখা সেই অজ্ঞাত পুরুষকে নাকি ভালোবাসা হাওয়াই মিলিয়ে গিয়েছিলো বিচ্ছেদের এই শহরে। শেষে সুখের হাসি হাসতেই হবে অন্তরালে প্রণয়কাব্যের পাঠকদের। #প্রিয়_চরিত্রঃ অজ্ঞাত পুরুষঃ 100 খানা বইতে চিরকুট বিনিময় করেছিলো সে,প্রতিটি চিরকুটে ছিলো আবেগ আর প্রণয়িণীর প্রতি স্নিগ্ধ এক মায়া। এতো সুন্দর চিরকুট আর প্রণয়িণীর প্রতি স্নিগ্ধ ভালোবাসা অজ্ঞাত পুরুষকে পছন্দ করার জন্য হয়তো যথেষ্ট। প্রণয়িণীঃ তনুজা আবেগে ভাসা চঞ্চলা এক মেয়ে চিরকুট প্রেরক অজ্ঞাত পুরুষকে ভালোবেসে হেসেছে, আবেগ অনুভব করেছে, শেষ পযর্ন্ত চোখের পানিও ফেলেছে তবুও অতি আবেগে ভুল পথে পা বাড়ায়নি। রশিদঃ কাঠখোট্টা গম্ভীর পুরুষ রহস্যের আড়ালে লুকিয়ে আছে তার সত্তা, শেষপর্যন্ত পড়তে হবে যদি এই চরিত্রটী জানতে চান। প্রিতিঃ মিষ্টি চঞ্চলা মেয়ে যে বান্ধবীর জন্য সবটা হারতে রাজি শেষ পযর্ন্ত সে ও কি পেয়েছিলো তার ভালোবাসা? #প্রিয়_লাইনঃ গল্পের প্রতিটি চিরকুটের লাইনগুলি অনেক সুন্দর এবং আমার বেশ ভালো লেগেছে। "তুমি কি অনুভব করছো তোমার প্রিয় পুরুষের হৃদপিণ্ডের ধকধক শব্দ? তোমায় ছোয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ছিলো এতোদিন।" "প্রণয়িনী, আপনি আমার চোখের তৃষ্ণা মেটানো এক ফোটা জল,প্রখর উত্তাপে শান্ত শীতল পবন।" "পেয়েও না পাওয়ার বিরহ আমাদের না ছুয়ে দিক।" পরিশেষেঃ ইবুক টা পড়ে অন্ততপক্ষে আপনাদের টাকা নষ্ট হবেনা এইটুকু গ্যারেন্টি দিতেই পারি একেবারে টানা গল্পটি পড়ে শেষ করেই রিভিউ লেখা শুরু করলাম।
এককথায় বলতে গেলে দারুণ একটা গল্প পড়লাম, যার অনুভূতি বলে বোঝানো যাবে না। গল্পটা সাধারণ তবে লেখনী মাশাআল্লাহ অসাধারণ। গল্পটা যতক্ষণ পড়েছি ততক্ষণ মুগ্ধতার মোহজালে হারিয়ে গেছি। আসলে হালাল সম্পর্কগুলোই বেশি সুন্দর। লেখিকার জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল ❤️
প্রিয় পটভূমিতে গল্প এলে দুনিয়া কেমন হয় জানেন? উত্তরটা আমিই দেই বরং । মনে হয় এই দুনিয়া যেন ভেসে যাচ্ছে । কতশত বরফের মতো ঠাণ্ডার স্পর্শ শান্তিতে সবকিছু জড়িয়ে দিচ্ছে । কোথাও যেন একটুকরো আনন্দের রেশ ঘিরে ঘিরে আসে । মনে হয়, কোথাও এই শান্তিতে কেউই নেই । কেউই আলগোছে আবছায়ায় জড়িয়ে রাখতে জানছে না । কোথাও একটুকরো মায়ার আবছায়া আমি কাউকে বলছি না । এই প্রিয় পটভূমি যখন সফলতার সাথে একটা গল্পের মাধ্যমে পুরোপুরি শেষ হয়ে যায় তখন ভীষণ মায়ায় আমাকে ভালোলাগতে থাকে খুব । মনে হয় যেন, পৃথিবীজুড়ে শান্তি নেমে আসে । প্রিয় পটভূমিতে থাকা গল্পগুলোকে নিয়ে আমাতে মত্ত থাকা এই মনটা ভীষণ ভয়ে থাকে খুব! মনে হয় গল্পটা ভীষণ আদরে আমাকে শেষে গিয়ে জড়িয়ে ধরবে তো? আমাকে একটুকরো মায়া দিয়ে যাবে তো? যখন সেই মায়া আসলেই জড়িয়ে ধরে দিয়ে যায় তখন কী যে সংগোপনে আমার ভালো লাগা ছড়ায় কেউ বোধহয় টের পায় না । সম্পূর্ণ অচেনা একজন লেখকের পটভূমিতে এরকম ভালোলাগার ছোঁয়া যখন পাওয়া হয়, ভীষণ আলগোছে আদরে মনে হয় এই পাঠক মন যেন পুরো পৃথিবীতে জিতে নিয়েছে । এই পাঠকসত্তায় অচেনা একজন লেখকের থেকে পাওয়া প্রথম গল্পটি যখন প্রিয় হয়ে যায়, তখন মনে হয় এই আবিষ্কার ভীষণ আদুরে, আবেশিত আর সফলতায় তৈরি এক অদ্ভুত মায়া দিয়ে ঘেরা । এই গল্পে তাই আমার প্রিয় সব বিশেষণেরা আটকে বসে রইলো । প্রিয় পটভূমিতে থাকা এই গল্পটিতে যখন আমি হঠাৎ করে টের পেয়েছি বারেবারে মনে হয়েছে গল্পটা যেন সত্যি হয় । সত্যিই যেন একরাশ মায়া দিয়ে গল্পটা আমাকে জড়িয়ে ধরে দিয়ে যায় । এই গল্পে তাই যেন হয়েছে । পটভূমিটা এত সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে যে আমি খুব আবেগতাড়িত হয়ে অপেক্ষা করেছি । কী যে সুন্দর করে পটভূমিতে প্রেক্ষাপট এসেছে তা নিয়ে ভেবেছি । দৃশ্যপটগুলো দারুণ ভাবে সাজানো হয়েছে । তা অনুযায়ী আবহ এসেছে । এই আবহে পুরো রূপকথার মতো মিষ্টি রাজ্যে গল্পটা আমাকে এক মায়ার জগতে প্রবেশ করিয়েছে । প্রিয় এই গল্পে গল্পের পটভূমিতে চিরকুট এসেছে, এসেছে কিছু কবিতা । এসেছে চিরকুটে থাকা ভালোবাসায় অন্তরালে প্রেম নামক এক আখ্যান । এই আখ্যানে আমি বারবার তাই ভয়ে ছিলাম খুব । গল্পটা যেন ভালো হয় শেষ পর্যন্ত । লেখক যেন মিষ্টি করে হলেও ধারাবাহিকতা বজায় রাখে । তাই যেন আমাকে বারবার অপেক্ষা করিয়েছিল শেষটা পর্যন্ত পড়তে । চিরকুট, কবিতা তাতে প্রেম এই বিষয়টা আমাকে মায়া দেয় । বড্ড বেশি মায়া দেয় । মনে করায় এই ভালোবাসার গল্পগুলো ভীষণই অদ্ভুত হয়ে সাক্ষী দেয় আমাকে অদ্ভুত কিছুর । পটভূমির পরেই আসে গল্পের চরিত্র গঠনে । এখানেও দারুণ কিছু কাজ করা হয়েছে । প্রতিটি চরিত্র গঠনে দারুণ কিছু উপস্থিতির মাধ্যমে চেষ্টা করা হয়েছে । গল্পে এসেছে তনু নামক কেন্দ্রীয় চরিত্রের । যাকে এত সুন্দর করে উপস্থাপন করা হয়েছে পুরোটা গল্প জুড়ে যা বেশ ভালো লেগেছে । তনু বন্ধুত্বপূর্ণ স্বভাবের মিষ্টি মেয়েটি, যে তার বাবা মাকে ভীষণ ভালোবাসে । এছাড়াও দারুণ, বন্ধুত্বপূর্ণ স্বভাবের এক মিষ্টি চরিত্র আছে প্রীতি নামের এই গল্পে । গল্পে ভেসে এসেছে সাইম, রাশিদ নামের দুইটি চরিত্র । যারা গল্পের প্রয়োজনে প্রেক্ষাপট অনুযায়ী নিজেদের উপস্থিতি দিয়ে গিয়েছে । আবহ অনুযায়ী ভেসে এসেছে তাদের গঠন । এই আবহই যেন পুরো গল্পে এক মনকাড়া সুর নিয়ে এসেছে । এছাড়াও গল্পে ছিল দারুণ কিছু সম্পর্ক । বন্ধুত্বপূর্ণ, হাসিখুশি স্বভাবের মা-বাবা হয়ে থাকা পরিবারগুলো বড্ড বেশি কাছের হয়ে ধরা দেয় । তবে বইটইয়ের একটা সম্ভবত সমস্যা এখানে ধরা দেয় খুব । সেটি হলো দৃশ্যপট পরিবর্তন হলেও ফাঁকা স্থানের জায়গা না দেয়া । এই বিষয়টা এই গল্পতেও উঠে এসেছে যেন । কোথাও একটা আপেক্ষিকতা হয়ে ধরা দিয়েছে এটা মনে করিয়ে দিয়ে, যে ভালো লাগার রেশ থাকা গল্পগুলোতেও এই জায়গাগুলো আমাকে একটু হালকা কষ্ট দিবে । এখানে বইটইয়ের কাজ করার দরকার । প্রেক্ষাপট এবং দৃশ্যপট পরিবর্তনে একটু সামান্য দূরত্ব এবং ফাঁকা জায়গা রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় । পরিশেষে বলবো, লেখকের লিখনশৈলীর সাথে পরিচয় আমার এই গল্পটি দিয়েই । অদ্ভুত হলেও সত্যি, এই গল্পটা পড়ার শেষে আমি লেখকের নাম খেয়াল করে পড়েছি । তখন বারংবার মনে হয়েছে, এই পৃথিবীতে নিজের স্বকীয়তা বজায় রাখতে চেষ্টা করে নিজেরই কর্ম । তার লিখনশৈলী এভাবেই এগিয়ে যাক । যেন পড়ার শেষে মনে হয়, ইশ্ এত সুন্দর মিষ্টি গল্প কিংবা উপন্যাসটা কার দেখি তো! লেখকের লেখার জন্য শুভকামনা রইলো । রেটিংঃ ৪.৮/৫