আইচ্ছা নানা! এই যে আমি খাওয়ার সময় সেই জোরে পা নাড়াই (মুদ্রাদোষ!), চশমা পড়লে চোখ দুইখান কুচকাইতে থাকি (হেইটাও মুদ্রাদোষ নানা!), আপনে তো সহ্য করেন! আবার আমি যখন ভালো হালাল খানা মুখে দিয়াই 'এহ্হে, কি খারাপ খাইতে হইসে' কইয়া মুখেরে জন্তুর মুখ বানাই, মুখের খাদ্য গিলবার আগেই খাদ্যের পোস্টমর্টেম গিল্লা খাই- সেইটা তো মুদ্রাদোষ না নানা! সেইটা সহ্য করেন ক্যান্? জগতের সবাই আমার মতোন ভালো রান্দনের দরকার নাই, জগতের সবার খানা আমার মজা লাগনের কাম নাই! এই কথাটা আমারে কইষ্যা দুইটা লাগায় শিখায় দিলে তো আজকে এই দিগদারি হইতোনা নানা! খাওন নিয়া নারাজগি দেখাইতে যে আমার মুচকি হাসি ছাড়া আর কিছু করার জামিন নাই সেই কথা পিচ্চিকালে শিখায় দিলে কি হইতো? না শিখাইলেন ধর্ম, না শিখাইলেন কর্ম! আমার কি হইবো নানা! আমি তো আমারই দুনিয়া আখেরাত বরবাদ কইরা দিতেছি নানা!! মানুষ চালানোর একটা সিক্রেট রেসিপির খবর দিতে আসলাম আজকে আপনাদের। মানুষ চালানোর বা পাশের বন্ধু/সহকর্মীকে বিচার করার বা তাঁকে বোঝার একটা মজার আর উপকারী ধরন হচ্ছে তাঁকে বুঝতে যাওয়ার আগে তাঁর পুরোটা অস্তিত্বকে টুকরো টুকরো করে ভাঙতে পারা আর তারপর সেই একেকটা টুকরা বন্ধু/সহকর্মীকে ভালোবাসা! জ্বী, মানুষ চালাতে গেলে আগে সেই মানুষের আলাদা আলাদা অস্তিত্বকে আমাদের চিনতে হবে। সেই মানুষটার একটা টুকরায় হয়তো আমি গুরুচন্ডালী এক দোষ পেলাম! ব্যাস, ক্ষেপে গিয়ে তাঁর বাকি সবটা অস্তিত্বকে তুলাধুনা করে দিলাম! কোন কাজ হবে তাহলে? নাহ, হবেনা! আমি যদি এমন একজন লীডার হতে চাই যার কাছে তাঁর মানুষগুলো এসে আস্থা আর প্রশান্তি নিয়ে ফিরে যাবে, কাজের নতুন উদ্যম নিয়ে ফিরে যাবে তার জন্য কিন্তু আমাকে এমন হলে চলবেনা!