ছোটি বিরঙ্গলতা হলো কন্যা বিরঙ্গলতার পরবর্তী অধ্যায়। যেখানে উঠে এসেছে, কন্যা বিরঙ্গলতার রাজ্যের কিছু অন্যায়। অন্যদিকে লক্ষীপুর রাজ্যের পরিবর্তন।এই পরিবর্তন এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এক নারী হয়ে ওঠে ছোটি বিরঙ্গলতা। এই প্রজন্মের বিরঙ্গলতা। যার আদর্শ কন্যা বিরঙ্গলতার স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখা। যেখানে উঠে এসেছে, প্রেম, ভালোবাসা, লোভ, হিংসা, ক্ষমতার অপব্যবহার। যার বিরুদ্ধে লড়াই করতে নিজের মধ্যে জন্ম নেওয়া এক বিরঙ্গলতার গল্প।ছোটি বিরঙ্গলতা কে এই বিরঙ্গলতা? সে কি পেরেছিলো কন্যা বিরঙ্গলতার আদর্শে নিজেকে গড়ে তুলতে? এই প্রজন্মের বিরঙ্গলতা হয়ে উঠতে পেরেছে? এই সবকিছু ফুটে উঠেছে নুসরাতের অগোছালো লেখনীতে ছোটি বিরঙ্গলতা উপন্যাসে। এখানে নারীর অসম্মান, সমাজে প্রচলিত পুরুষ এবং নারীর বৈষম্য দূর ফুটে উঠেছে। সেই সাথে নারীর অধিক সুযোগ পাওয়ার বিনিময়ে, তার স্বামীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো খুব সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। যে উপন্যাস আপনাকে শেখাবে, “একজন সঠিক জীবনসঙ্গী পারে তার ভুল পথে যাওয়া জীবনসঙ্গীকে সঠিক পথ দেখাতে।” যেখানে নারীর সম্মানের লড়াইয়ের অর্থ, পুরুষকে অত্যাচার করা নয়। এই উপন্যাসে আপনি এক সুখী দম্পতির করনীয় সম্পর্ক জানতে পারবেন। যেখানে প্রেম রয়েছে, রহস্য রয়েছে। লেখনী কিছুটা অগোছালো, এই বিষয়টি মাথায় রেখে আপনারা ছোটি বিরঙ্গলতার রাজ্যে ভ্রমন করতে পারেন। তবে দেড়ি কেন, চলুন ঘুরে আসি বিরঙ্গলতার রাজ্যে। এই প্রজন্মের বিরঙ্গলতার রাজ্যে।
কন্যা বিরঙ্গলতা! গল্পটা মূলত কন্যা বিরঙ্গলতার আদর্শ নিয়ে। কন্যা বিরঙ্গলতা কে বাঁচিয়ে রাখতে সৃষ্টি হয় ছোটি বিরঙ্গলতা। ছোটি বিরঙ্গলতা নারীর ন্যায্য অধিকারের, কন্যা বিরঙ্গলতার আদর্শকে বাঁচিয়ে রাখতে, নিপীড়ন নারীদের পাশে দাড়াতে, ঘরে ঘরে প্রতিটি নারী কে বিরঙ্গলতা বাননোর জন্য সৃষ্টি হয়। নারী কোনো ভোগের বস্তু নয়,নারী হয় ভালোবাসার মানুষ, নারীর স্থান পুরুষের পায়েন নিচে না পুরুষের বক্ষপিঞ্জিরায়। একটা নারী যেমন মাতা, তেমনই স্ত্রী এবং কন্যা, প্রতিটি ক্ষেত্র থেকে সবাইকে তার সমান অধিকার, সম্মান টুকুই নিশ্চিত করাই এ গল্পে ফুটে উঠেছে। বাস্তব জীবনে এমন অনেক নিপীড়িত নারী আছে যাদের স্ত্রী মর্যাদা ত দূরের কথা একটা দাষীর মর্যাদাও দেওয়া হয় না। তাদের জন্য প্রয়োজন বিরঙ্গলতার মতো একজনকে, সেটা শুরু করতে হবে নিজেকে দিয়েই, নিজের ভিতরের সত্তাকে বিরঙ্গলতা বানাতে হবে। ন্যায় কে ন্যায় এবং অন্যায় কে অন্যায় বলে তার প্রতিবাদ করতে হবে। একটা ন্যায়-পরায়ণ রাজ্যের পরিচালনা করার জন্য দরকার একজন ন্যায্য শাসক। বিরঙ্গলতাদের ভালোবাসা যায়, সম্মান করা যায় অপরদিকে সমাজ কুলশীত কারীদের প্রতি ঘৃণা ব্যতিত আর কিছুই আসবে না। সমাজকে কুলশীল করতে, মানুষের অন্ধ ভালোবাসার সুযোগ নিয়ে নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে তৈরি হয় স্বার্থচরিতার্থ কারীরা আর সেটাকে বৈশম্য মুক্ত করতে, প্রতিটি অন্ততে ভালোবাসার আলো ছিটিয়ে দিতে তৈরি হয় বিরঙ্গলতার মতো নারীরা। আমি বলবো লেখক স্বার্থক, একদম সুনিপুণ ভাবে তার গল্পটিকে মানুষের অন্তরে পৌছে দিতে পেরেছে। রেটিং ১০/১০
Read all reviews on the Boitoi app
এই সময় অর্থাৎ ২০২৪ সালে এসে এমন একটি বই পড়তে পারব আমি ভাবতে পারনি। চমৎকার একটি গল্প। লেখিকার লেখা ভিন্নধরনের। গল্পে কোন অশ্লীলতার যায়গা নেই। অনেক আগে নারীদের ওপর এইরকম অত্যাচার হতো তাদের কোন মূল্য ছিলো না। পুরুষ এর ভগের বস্তু ছিলো নারীরা। এখনো অনেক ভাবেই এর রেশ কাটেনি এই গল্পের মতোই পত্যেক নারীকে এভভাবেই প্রতিবাদ করতে হবে। আবার যোগ্য পুরুষ কে করতে হবে সম্মান। কিছু কিছু মুহুর্তে চখের পানিও চলে এসেছে। লেখিকাকে অনেক অনেক ধধন্যবাদ জানাই। আর শুভকামনা রইলো। পরবর্তীতে আরও এমন গল্প দিবেন আশা করি। (নুশরাত জাহান মিষ্টি)নামের মতই মিষ্টি করে লিখেছেন গল্পটা ধন্যবাদ আপু
কন্যা বিরঙ্গলতার পর ছোটি বিরঙ্গলতাও খুব ভালো লেগেছে। কিছুটা শিক্ষা ছিলো, কিছুটা...। কিছুটা গোছালো কিছুটা অগোছালো ছিলো। সব মিলিয়ে সুন্দর। নারীর স্বাধীনতা মানে যে পুরুষকে পরাধীন ভাবা তেমন নয়। সেই সাথে স্বামীর ঘরে তার আয়ত্বে থাকাও নারীর জন্য গর্ভের। এটাও খুব ভালোভাবে বুঝিয়েছেন লেখিকা। সব মিলিয়ে অসাধারণ ছিলো। রেটিং ১০
আমার পড়া সবচেয়ে সুন্দর গল্প