সে ছিলো অগোছালো এক পুরুষ, যেন রঙ মাখানো ক্যানভাস। মনকাড়া তার মুগ্ধ হাসির দোলায় উদাসী মেয়ের পড়লো গলায় ফাঁস। মানুষটা বুঝি বাচ্চা ভীষণ, অদ্ভুত যতো কাজ। উদাসী মেয়ে মিষ্টি হাসে, নয়নে ভাসে লাজ। ঝড় এলো হঠাৎ দোরগোড়াতে, করলো বুঝি সব গ্রাস, জোয়ার ভাটার এই খেলা শেষে জিতল দীর্ঘশ্বাস। পুরুষটিও আজ সংসারী হলো চিলেকোঠায় সাজে তার গল্প, উদাসী মেয়ের মনের কোনায় প্রেম জাগলো কি অল্প?
চমৎকার লিখেছেন আপু।
Read all reviews on the Boitoi app
একদম ছিমছাম সাধারণ একটা প্লট কিন্তু লেখিকা তা অসাধারণ ভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। আর চরিত্র গুলো-.. ওদের যত পড়ছিলাম ততই ভালো লাগছিল। আরশি-আবির দু'টো মিষ্টি চরিত্র। ছন্নছাড়া, বেখেয়ালি, অগোছালো আবিরের সন্ধি হলো গোছানো, বুদ্ধিমতি আর দায়িত্বশীল আরশির সাথে। ওদের একসাথে পথচলার শুরুটা সুন্দর হলেও হঠাৎ ঝড় আসে সব এলোমেলো করে দিতে। কিন্তু দু'জন ছিল দু'জনের পরিপূরক হয়ে। আর ওদের পাশে ঢাল হয়ে ছিল আরশির পরিবার আর দু'জনের বন্ধুমহল। যে-ই বিষয়টা আমার বেশি ভালো লেগেছে। "পথে-শপথে" ই-বুকটির নামকরণ যথাযথ যা পড়তে গেলেই বোঝা যায়। 'অবনী' আর 'বিহান' এই দুই চরিত্রের প্রতি মুগ্ধ না হয়ে পারিনি। অবনীর মতো একজন ভাবী থাকা ভাগ্যের ব্যাপার এতো সাপোর্টিভ! আর বিহান বয়স কম হলেও খুবই দায়িত্ববান ও ম্যাচিউর। সারাক্ষণ মজা-মাস্তি করলেও অনেক বুদ্ধিমান। খুব একটা গুছিয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে পারিনা তবুও লিখছি... কারণ একটাই লেখিকা আমার প্রিয় আর তার লেখনীতে আমি আসক্ত। সব লেখার মতই এটাও অনেক সুন্দর ছিল আমার সময় ভালো কেটেছে ওদের সাথে। নাফিপুর জন্য অনেক দোয়া রইল।🤍
অসাধারণ একটা গল্প ছিল..খুব সাধারণের মধ্যেই অসাধারণ কিছু..মধ্যবিত্ত একটা পরিবারের শূন্য থেকে সফল হওয়া..যাইহোক খুব গুছিয়ে বলতে পারিনা আমি তাই অল্পই থাক..আর আপুর গল্প আমার কাছে সবসময়ই সেরা
Bhalo golpo...
Khubi sundor ekta golpo...
সাধারণ প্লটের একটি মনোমুগ্ধকর গল্প। যে গল্প অল্পতেই মন ভালো করে , হৃদয়ে ভালোলাগার আবির মাখায়, মনের কোণে প্রশান্তির টেউ তুলে। ছন্নছাড়া, অগোছালো, বেখেয়ালি আবির আর গোছালো, বুদ্ধিমতি, মিষ্টি মেয়ে আরশির এক সাথে পথ চলার গল্পটা সুন্দর! শুভ্র কুয়াশার চাঁদড়ে মোড়ানো স্নিগ্ধ ভোরের মতো। এই ভোরের স্থায়ীত্ব খুব বেশি সময় না কিন্তু ভালোলাগার আবেশ? ওটা থেকে যায় বহুক্ষণ, বহুদিন, বহুকাল! বিয়ে একটা পবিত্র বন্ধন। পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, যত্ন, ভালোলাগা, ভালোবাসা, বন্ধুত্ব; কখনো একে অপরের দুর্বলতা আবার কখনো শক্তি হয়ে ওঠা, মতামতের প্রতি সম্মান, বিপদে ঢাল হয়ে পাশে থাকা, দায়িত্ব-কর্তব্যবোধ এগুলো যেনো পবিত্র বন্ধন টাকে আরো মজবুত করে। বিয়ে হলো অমি তুমি থেকে আমরা হয়ে দীর্ঘ একটা পথ পারি দেওয়ার সূচনা। এই পথটা কখনো মসৃণ আবার কখনো কাটায় বিছানো, কখনো পথিকের অনুকূলে থাকে আবার হঠাৎ করেই প্রতিকূলে চলে যায়। জীবনের ভাঁজে ভাঁজে সরল রৈখিক পথটাও মাঝে মাঝে এঁকে বেঁকে চলে। তবে সব পরিস্থিতে পাশে থাকার শপথ করে, শপথ গুলো অক্ষরে অক্ষরে পূর্ণ করে উত্থান পতনের দীর্ঘ এই পথ চলা পথিকের জন্য একটু কষ্টকর হলেও সুখ, সফলতা নামক নির্দিষ্ট গন্তব্যে তারা ঠিকই পৌছে যায়। বিবাহিত জীবন সুন্দর, এরেঞ্জ ম্যারেজ তেমন ভীতিকর কিছু না যদি পাশাপাশি হাত রেখে পথ চলার মানুষটা তার শপথ গুলো নিষ্ঠার সাথে পালন করে। -পথে শপথে গল্পের মূল পটভূমিই যেনো ছিলো এটা যা লেখিকা আবির আরশির মাধ্যমে খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন। আরশির প্রতুমুখে দাড়িয়ে আবির মেখে পথে শপথে হারানোর ব্যাপার টা খুব একটা খারাপ হবে না। বাবা মা হীন বোনকে সন্তানের মতো মানুষ করা, ভালোবাসা না দেখিয়েও সব সময় ভালোবাসায় মুড়িয়ে রাখা আরশির ভাই-ভাবী (বাশার-অবনি), মিষ্টি অহনা, দুষ্টু আবার ভীষণ বুদ্ধিমান বিহান, বিচক্ষণ ও অমায়িক ফারহানা আজিম, আরশি আবিরের ভরসাযোগ্য বন্ধু মহল আর আবিরের স্বার্থপর ভাই ভাবী পথে শপথে গল্পটাকে পরিপূর্ণতা দান করেছে। কেউ বিপদে ফেলেছে আবার কেউ বিপদে উঠে দাঁড়াতে সাহায্য করেছে। আমার পড়া লেখিকার প্রথম গল্প এক ম্লান রক্তসন্ধ্যার গান।আমার মনে হয় গল্পটায় নেশাক্ত কিছু মেশানো ছিলো। লেখিকার লেখার প্রতি ভালোলাগা সৃষ্টি করার মতো নেশাক্ত কিছু। এই গল্পটা পড়ার পর আমি একটানা লেখিকার সব গুলো গল্প পড়ে শেষ করেছি। ফ্যান্টাসি জনরার গল্প আমি পড়ি না অথচ মহাপ্রয়াণ আমি ভীষণ আগ্রহ নিয়ে পড়েছি। আমার পড়া প্রথম এবং একমাত্র ভ্যাম্পায়ার, নেকড়ে রিলেটেড গল্প। এতো কিছু বলার একটাই কারণ আমি তার লেখার প্রতি আসক্ত, ভীষণ! তার লেখনশৈলী "মাশাআল্লাহ"।
সন্ধ্যা ৭টার দিকে পড়তে শুরু করেছিলাম ১২টা:৪০মিনিটে পড়ে শেষ করলাম। ই-বুক খুব কম পড়া হয়,বলতে গেলে ঠেলায় পড়লে পড়ি। কিন্তু যখনই দেখলাম আপুর ই-বুক এসেছে, তখন আর কেনার লোভ সামলে রাখতে পারলাম না। পুরোটা বই জুড়ে ছিল, হাসি, কান্না, আনন্দ, বেদনায় ভরপুর। বাস্তব জীবন কেমন হয় সেটা আমরা নিজ চোখে দেখলেও পড়ে অনুভব করার মতো সুযোগ কয়জন পাই? সব লেখা তো বাস্তববাদী হয় না। দাম্পত্য জীবনে স্ত্রী-এর প্রতি একজন স্বামীর ও একজন স্বামীর প্রতি স্ত্রীর কর্তব্য কেমন হওয়া উচিত, আপু সেটা অবলীলায় পাঠকের সম্মুখে তুলে ধরেছেন। এক কথায় অসাধারণ একটা ই-বই।
অসাধারণ হয়েছে আপু। শুরু থেকে শেষ টা।
ট্যানট্যানা আমি অনভিজ্ঞ ভাবে রিভিউ দিতে এলাম।এতো সুন্দর গল্পের রিভিউ না দিলে লেখিকা এবং গল্প দুটোর প্রতিই অসম্মান।জাস্ট অসাধারণ একটা গল্প।চমৎকার লেখনী।নাফিসা আপুকে চিনি রক্তসন্ধ্যা থেকে।সেই থেকে আপুর লেখার ফ্যান।আমি সাধারণত স্ট্রং ক্যারেক্টর এর মেয়ে জোস লাগে।সেই হিসেবে আরশি একেবারেই বাস্তবিক টাইপের মেয়ে।যা আমার খুবই পছন্দের। এক্সট্রা ন্যাকামি নেই। আবির চরিত্রটাও দারূণ।আরশির ফ্যামিলির মতো সাপোর্টিভ ফ্যামিলি সবাই পাক। এরকম ভাই ভাবি থাকা কপাল।যেটা গল্পের মাধ্যমে খুব সুন্দর ভাবে উপস্হাপন করার জন্য ধন্যবাদ আপিকে।এভাবেই লিখে যাও।❤️ক্যারি অন। পথে বিপথে -নামকরণ একেবারে ফাস্ট ক্লাস। আবির-অসম্ভব কিউট একটা চরিত্র। আরশি-প্রতিবাদী সুন্দর মানসিকতার একজন নারী। এন্ড অবনীকে নিয়ে না বললেই নয়।#বেস্টভাবি
অসম্ভব সুন্দর একটা উপন্যাস। শুভ কামনা এবং দোয়া রইলো।