অন্ধকার ছাড়া আলো যেমন গুরুত্বহীন, তেমনি খলনায়ক ছাড়া ঈশ্বরেরই বা ভূমিকা কী? খ্রিষ্টপূর্ব ৩৪০০ অব্দ, ভারতবর্ষ। চরম বিশৃঙ্খলা, দারিদ্রতা ও অরাজকতায় পূর্ণ এক ভূমি। অধিবাসীদের অধিকাংশই নীরবে সহ্য করে চলেছে সব অন্যায়। কিছু বিদ্রোহীও রয়েছে। এদের কেউ লড়াই করছে চলমান অবস্থার উন্নতি ঘটিয়ে সুন্দর এক পৃথিবী প্রতিষ্ঠায়, কেউ কেবল নিজের জন্য। কারো কারো আবার এসব নিয়ে কোনো ধরনের ক্ষোভ নেই। রাবণ। তৎকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ঋষির পুত্র। ঈশ্বরের আশীর্বাদ ধন্য। সর্বপ্রকার প্রতিভার অধিকারী। একই সাথে নিয়তির দ্বারা চরমভাবে পরীক্ষিত; দূর্ভাগ্য যার জন্মসঙ্গী। নিজের কাজে দক্ষ ভয়ঙ্কর এক কিশোর দস্যু। একাধারে সে সাহসিকতা, নিষ্ঠুরতা ও ভয়ানক সংকল্পে পূর্ণ। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তিতে পরিণত হওয়ার সংকল্প থেকেই মহত্ত্বকে জয়, লুণ্ঠন ও দখল করে নেওয়াকে নিজের অধিকার বলে মনে করে। অকল্পনীয় হিংস্রতা, অগাধ জ্ঞান আর খামখেয়ালীতে পূর্ণ এক মানুষ, যার রয়েছে কাউকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসতে পারার ক্ষমতা, আবার যে পরিণত হতে পারে অনুশোচনাহীন এক নিষ্ঠুর হন্তারকে। রামচন্দ্র সিরিজের তৃতীয় গ্রন্থ ‘রাবণ: এনিমি অব আর্যাবর্ত’-এ লঙ্কেশ রাবণের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে। আর সেই আলো উন্মোচিত করেছে অন্ধকারের গভীরতম অধ্যায়। সে কি ইতিহাসের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ খলনায়ক, নাকি শুধু অন্ধকার জগতের একজন মানুষ? সর্বকালের সবচেয়ে জটিল, হিংস্র, আবেগময় ও দক্ষ মানুষদের একজনকে নিয়ে রচিত মহাকাব্যটি পাঠ যাক...