উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়ে জেবা। অর্থ বিত্ত প্রভাব প্রতিপত্তি কোনটারই কমতি নেই। অভাব নেই ভালবাসারও। প্রতিনিয়তই তা ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে একবার করে ছুঁয়ে যায় জেবাকে কিন্তু সে আশ্বস্ত হতে পারেনা। নিজেকে আড়াল করার সবক হিসেবে ধর্মীয় কিছু মূল্যবোধ আঁকড়ে ধরে কিন্তু তাতেও নানা খামতি৷ খামতির জেরে বিপত্তি। জেবা মুখে না বললেও বুঝতে পারে তার আসলে এক খন্ড আশ্রয় দরকার। প্রয়োজন একজন প্রকৃত অভিভাবকের। মুশকিল হলো, এত নকলের ভীড়ে জেবা কী তাকে চিনে নিতে পারবে! জানতে হলে পড়ুন, সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি জীবন জাগানিয়া গল্প।
বই পড়ে অনুভূতি অবশ্যই ইতিবাচক।ব্যাক্তিগতভাবে আমি লেখিকার অনেক পুরোনো একজন পাঠিকা,অনলাইন এবং অফলাইনে।ওনার অধিকাংশ বই,ই-বুক,অনলাইন লিখা আমি পড়েছি সেক্ষেত্রে আমার একটি বড় অভিযেগ হচ্ছে নায়ক নায়িকা তাদের জীবনে অনেক কষ্ট করে, হারাম জীবনযাপন করে যখন হালাল সম্পর্ক হয়,বৈধ পরিণতি পায় তখনই উপন্যাস শেষ।হালাল নিয়েও তো একটু বেশি লিখা উচিত।তাতে ইতিবাচক মেসেজ আরও পাবে মানুষ।এক্ষেত্রে আমি দাবি করব তাদের হালাল জীবন নিয়েও কিছুটা লিখতে।
Read all reviews on the Boitoi app
মাশাআল্লাহ অসাধারন গল্পটা।মালিহা চরিত্রটা ভীষণ ভালো লেগেছে।এক বসায় শেষ করার মত গল্পটা।বরাবরের মতই ভীষণ সুন্দর হয়েছে।
গল্পটা সুন্দর। অসমাপ্ত মনে হচ্ছে। মালিহা শেষের দিকে খুব শক্ত চরিত্র দেখানো হলেও তার চরিত্র টা অসম্পূর্ণ লাগছে। তার বাবার টাকায় স্বামী প্রতিষ্ঠিত হয়ে তাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে চরম লুইচ্চামী করে যাচ্ছে এবং সেটা মা ছেলের কাছে পরিষ্কার। ছেলে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সত্বেও এরকম চরম লুইচ্চা ব্যাটার সাথে থাকাটা বেমানান। আর এই পরিবারে ভবিষ্যতে এবার থাকাটা অনিরাপদ। ফারিহার ক্ষেত্রেও তাই। সে মিডিয়া জগতের পতিতা আর জেবার বাবা তার সম্পর্কে না জেনেই মেয়ে কে তার উপর ভরসা করার কথা না। আর জেবার বাবার তো বিয়ে ই করার কথা না এই পতিতাকে। ফারিহা ও পুলকের বাবার শাস্তি না দেখানো হলে অসম্পূর্ণ লাগছে।
"জেবা" গল্প টা পড়ার পরে যে কথাটাই সর্বপ্রথম মাথায় এসেছে। "মা" সন্তানের প্রথম শিক্ষক, প্রথম বিদ্যালয়।।সর্বপ্রথম যাঁর হাত ধরেই সন্তানের ভুল কে ভুল আর ঠিককে ঠিক শেখা। স্বপ্নের দুনিয়া ''মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি"।যে আলোর ঝলকানিতে মানুষ ছুটে যায় উদভ্রান্ত কীটের মতো।আর এই মিডিয়া পরিবারেই জন্ম এবং বেড়ে উঠা জেবা এবং পুলক এর।যারা নিজেদের জগত নিয়ে ব্যস্ত কিন্তু তাদের চারপাশের মানুষ /পরিবার ব্যস্ত তাদেরকে টেনেহিঁচড়ে সেই জগতে প্রবেশ করানোর জন্য। সিনে জগতের নীল আলোর অভিশপ্ত কারখানার ভিতর থেকে নম্র ভদ্র বোকা জেবা এবং খেলা পাগল পুলককে বাঁচিয়ে তোলার গল্পে মালিহা একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র।।। তিনি পুলকের মা এবং জেবার হবু শ্বাশুড়ি।যার উপস্থিত বুদ্ধিমত্তার দরুন বেঁচে গেছে জেবা ফারিহা এবং রাজিবের হাত থেকে। সাথে পুলকও পেয়েছে জেবার মতো স্বচ্ছ,কোমল একজন নারীকে।সবমিলিয়ে অসাধারণ একটি গল্প যা পাঠককে শুরু থেকে একটানে শেষ করে উঠতে বাধ্য করবে।। তবে একটু আফসোস রয়েই গেলো পুলক জেবার বিয়ে টা দেখার।।
আপু তোমার বই সব সময় আমার কাছে খুব ভালো লাগে
এক নিশ্বাসে পড়ে ফেলেছি।
এক বসাতে শেষ করা, ওদের দুজন কে আরো পড়তে ইচ্ছে করছে কিন্তু এতো দ্রুত শেষ হবে বুঝতে পারিনি। জেবা কে অসাধারণ একটা মেয়ে লেগেছে, ভেবে ছিলাম ফারিহার শেষ একটা পরিণতি দেখবো এটা আর দেখা হলো না। সব মিলিয়ে অসাধারণ একটি গল্প।
মাশাআল্লাহ! মাশাআল্লাহ! জেবা গল্প টা এক কথায় জাস্ট মাইন্ড ব্লোয়িং। গল্পের ছোট ছোট নসিহা গুলো মনে গেঁথে থাকার মতো।মালিহা চরিত্র টা ভিষণ ভালো লেগেছে 💙 ছোট গল্প হিসেবে লেখিকা আপু শতভাগ সফল। গল্পের মেসেজটাও স্পষ্ট 💙 অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো।❤ আল্লাহ আপনার লেখনীতে আরও বারাকাহ্ দান করুক। আমিন❤
পুলক এবং তার জেবা কে আরও পড়তে ইচ্ছে করছে আপু লেখিকা আপু 🥹 অনেক ভালো লাগছে তাদের কিন্তু মন ভরে নাই। আবার তাদের চাই আপু🥹
আলহামদুলিল্লাহ একদমে শেষ করলাম। বরাবরের মতোই অসাধারন অসম্ভব রকমের ভালো-লাগা। পরার সময় চোখের সামনে প্রতিটা চিত্র ফুটে উঠছিলো, মনে হচ্ছিল টিবি দেখছি।🫣🫣🫣 প্রতিটা গল্পে ই একটা মেসেজ থাকে, দূরদৃষ্টি সম্পন্ন একজন ব্যাকতি থাকেন জিনি রক্ষনীয়ার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। আমাদের সমাজের এরা চোখের সামনেই ঘুরে বেড়ায়, আমার বুঝেও বুঝিনা, দেখেও দেখিনা😢 কিন্তু সবাই যদি মালি হার মতে সচেতন হতো তা হলে ঐ ফারিয়া রাজিবের মতো সুবিধা ভোগিলোকগুলো এভাবে সমাজে দাপটে চলতে পারতোনা। এখানে গালিবের মতো বাবাদেরও দোষ আছে। তার জেনেশুনেই তাদের সন্তানদেকে বিপদে ঠেলে দেয়। তার ঐ জগতের মানুষ হয়েও কি করে পারে এভাবে ছেরে দিতে🤔🤔🤔 এর জন্য দ্বায়ী সমাজের বিবেকবান মানুষেরাই।