বিজ্ঞান একাডেমির মহাপরিচালকের নাম মিল্করাইচ। বয়স একাত্তর বছর। রাশভারী মানুষ। মাথাভরতি সাদা চুল। ঠোঁটের ওপর একজোড়া সাদা গোঁফ। নাকের ডগায় চশমা। বিরক্তি নিয়ে তাকিয়ে আছেন। তিনি চশমার ওপর দিয়ে তাকান। বিরক্তিতে তার ভুরু কুঁচকে আছে। কুক নামে ছাব্বিশ বছরের এক ছেলে প্রকল্প উপস্থাপন করছে। বিজ্ঞান একাডেমিতে অল্পদিনেই এই ছেলের বেশ নামডাক হয়েছে। অভিনব চিন্তায় তার ধারেকাছে কেউ আসতে পারে না। তার বেশিরভাগ সৃষ্টি ভয়ংকর আর অদ্ভুত। তাকে অনেকে বিশ্বকর্মা বলে ডাকে। একবার সে ফসিল থেকে নতুন প্রাণের সম্ভাবনার প্রকল্প বিজ্ঞান একাডেমি থেকে পাশ করিয়ে প্রমাণের কাছাকাছি চলে গেছে। সেটা নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে। মিল্করাইচ কপালে কয়েকটা ভাঁজ ফেলে বললেন, নিজেকে বুঝতে পারা খুব দরকার। আমি নিজেকে বুঝে গেছি। বিজ্ঞান একাডেমির কয়েকজন পরিচালক, গবেষক, বিজ্ঞানী সভায় উপস্থিত হয়েছেন। এটা বিশেষ জরুরি সভা। প্রাথমিক কয়েক ধাপ পার করে প্রকল্প অনুমোদন সভার আয়োজন করা হয়। সকলে ঘাড় ঘুরিয়ে মিল্করাইচের দিকে তাকালেন। তিনি চশমার ওপর দিয়ে ভুরু আর কপাল কুঁচকে তাকিয়ে আছেন। মিল্করাইচ কুকের দিকে তাকিয়ে বললেন, প্রকল্প প্রস্তাবনা পড়ে যতটুকু বুঝেছিলাম উপস্থাপনের পর তাও গুলিয়ে গেল। এখন কিছুই বুঝতে পারছি না। আমি বুঝে গেছি আমার বয়স বাড়ছে। আমাকে দিয়ে আর কিসসু হবে না। আমার অবসর নেওয়ার সময় হয়েছে। মিস্টার ডার্কব্রাউন গম্ভীর গলায় বললেন, অ্যাই কুক, তুমি কি দয়া করে তোমার প্রকল্পধারণাটি আরেকবার উপস্থাপন করবে?