গাবতলী বাস ষ্টেশন। ভিড়ে ঠাসাঠাসি। ভিড়ের মাঝে সুজন একপাশে দাঁড়িয়ে বাঁশি বিক্রি করছে। সে মনের সুখে বাঁশিতে সুর তুলে। জীবনের গান। চারপাশে ঘিরে লোকজন। লোকজন নীরবে দাঁড়িয়ে শুনছে। সেই সকালে ঘর ছেড়েছে। ঘরে অসুস্থ মা। মায়ের মুখ চোখে। মায়ের ঔষধ নিয়ে যাবে। মনে মেঘলা আকাশের ওড়াওড়ি। সুজন ছোটোবেলায় বাবাকে হারিয়েছে। কমলাপুর রেলষ্টেশনে বাবা কুলির কাজ করতো। খুব ভোরে ছুটে আসতো বাবা। তাড়াতাড়ি; ট্রেন ধরার জন্যে। একদিন এই সুন্দর জীবনে ঝড় নেমে আসে। সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যায় বাবা। সেই থেকে পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া। মায়ের মায়া ও ছায়ায় বেড়ে ওঠে সে। মা বাসাবাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে। হাড়খাটুনি পরিশ্রম। পাঠশালার পড়ালেখায় ইতি ঘটে সুজনের। মায়ের সাথে সেও জীবনের মিছিলে হাঁটতে থাকে। মাকে ঘরে রেখে এসেছে জ্বর ও কাশি। পাশের ফার্মেসীর ডাক্তার বলেছেন, 'টাকা নিয়ে আয় ঔষধ দেবো।'