দূর থেকে ভাগ্যহত বিপর্যস্ত কাউকে বিচার করা সহজ; কিন্তু তার অনুভব কী হয় যার ওপর সত্যিকার নিয়তির ঝড় বয়ে যায়? তরু যার ছিল একটা শক্ত সামাজিক অবস্থান, নিরাপদ আশ্রয়, প্রিয়তম স্বামী ; নিজের একটা অসম্পূর্ণতায় সব কিছু ত্যাগ করে আপন করে নেয় এক সংগ্রামের জীবন। ক্রমে তার চেনা পৃথিবীটা হয়ে যায় অচেনা। পরিচিত মুখগুলোর মুখোশ খুলে দেখতে পায় কিছু কুৎসিত কদাকার চেহারা। তরু জানতে পারে এক ভিন্ন কঠিন বাস্তবকে।
শারমিন আঞ্জুম আমার অন্যতম প্রিয় একজন লেখিকা। উনার যতগুলো লেখা পড়েছি সবগুলোই অসম্ভব গুছানো লেখা। মোহমেঘ পড়ার পর প্রথম দিকে মনে হচ্ছিলো তরু হয়তো একটু বেশি করছে তবুও মনে একটা কিন্তু ছিলো যা বাকিটা পড়তে পড়তে পরিষ্কার হয়েছে। অনেক মানসিক টানাপোড়েনের পর শেষের দিকে তরুর নেওয়া সিদ্ধান্ত আমার খুব খুব পরিপক্ব মানসিকতার মনে হয়েছে। সম্পর্ক শেষ হয়ে গেলে আমরা বেশিরভাগ মানুষই সম্মানটা ধরে রাখতে পারিনা, কিন্তু একে অন্যের প্রতি সম্মান দেখানোটা খুব জরুরি। সর্বোপরি অসাধারণ গভীর ভাবনার জীবনবোধের উপন্যাস মোহমেঘ💟
Read all reviews on the Boitoi app
অসাধারন প্রতিটি উপন্যাসেই😍।প্রতিবারের মতো উপন্যাস পড়ার পরেই এত বিষিন্নতা কাজ করে মনে।খালি মনে হয় এমনটা না করলেই তো কত সুন্দর হতে পারতো জীবনটা সবার।অনেকগুলা বিষয় নিয়ে ম্যাসেজ দিয়েছেন পাঠকদের।তার মধ্যে প্রথমটাই বিশ্বাস ও ভালোবাসা।বিশ্বাস-ভালোবাসা থাকলে তরুর প্রতি ফেরদৌস এত বড় অন্যায় করতো না ওকে খুলে সব বলতো এবং ওর মাকেও।দ্বিতীয়টা বিষয়টা হলো অন্ধ বিশ্বাস।যার জন্য তরুর এত জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ছিল।প্রথমে তো তরুর উপর এত রাগ লাগতিছিল।পড়তে পড়তে বোকা দিয়েছি😅।যাইহোক কিছু মনে করবেন না আপু আগোছালো মতামত দেওয়ার জন্য। সব মিলিয়ে অতুলনীয়❤❤
আপনার গল্প মানেই একরাশ ভালোবাসা ও ভালো লাগার নাম।মোহমেঘ পড়তে গিয়ে একটানা ডুবেছিলাম। বাচ্চারা বিরক্ত হয়ে বলেছিলো কি পড়ো মা।উত্তরে বলছিলাম..... চুপ থাক তোরা।তরু কতোটা সম্মানের সাথে ভালোবাসার মোহমেঘের সমাপ্তি ঘটালো। প্রকৃত ভালোবাসাগুলো বুঝি এমনই হয়?