"তুই আমার বউ হতে চাস ওয়াও! তাই কেমনে বউ হতে চাস তাও একটু বল। কী যোগ্যতা আছে তোর হুম! না আছে চেহারা, না আছে রুপ। তোকে বউ করার চেয়েও বেটার হবে রাস্তায় ভিখারির মত ফেলে রেখে আসা। আয় আজ তোর বউ হওয়ার শখ মিটিয়ে দেই।" কলেজ থেকে আংশিক দূরত্বে বটগাছের পাশে ইফদিয়ারকে বালির উপর ছুঁড়ে ফেলে তুখোড় এক যুবক। আক্রোশে মেয়েটার থুতনী উচ্চ করে ধরে রাগান্বিত গলায় বলল, "তোর তেজ ইদানিং বেড়ে যাচ্ছে। সারাদিন থৈথৈ করে পেছনে পড়ে থাকিস কেন-রে? তোকে আমার ভালো লাগে না, অসহ্য লাগে বুঝিস না। নেক্সট টাইম সামনে পড়বি কসম পর্চা ডোবার পানিতে চুবাবো। মাই ফাস্ট এন্ড লাস্ট ওয়ার্নি টু ইউ।" ইফদিয়ার থুতনীর ঝামটা মেরে ছেড়ে দিল। কলেজের গেটে চোখ রেখে দ্রতবেগে নিঃশ্বাস ছাড়ছে যুবকটি। দম আঁটকে সজোরে ধাক্কা দিল রমণীকে। পুনরায় পড়ে যায় বালির উপর। যার ফলপ্রসু হাতের কনুই এ আঁচড় কাটে। ছলছল চোখে সুদর্শন যুবকের মুখপানে চেয়ে আকুতিভরা কণ্ঠে বলল, "যাবিয়াজ ভাইয়া কেনো তুমি আমায় ভালোবাসো না? প্রতিবার বেহায়ার মত তোমার কাছে এই দিনটিতে চলে আসি। তাও তুমি আমায় তাড়িয়ে দাও!" যাবিয়াজ নিজের দৃষ্টিকোণ তীক্ষ্ম করে বাঁকা দাঁতের হাসি বলল, "ইউ নো হোয়াট! ইউ সাজ এ ননসেন্স গার্ল। তোকে আমি কখনো পছন্দ করিনি বুঝলি! জাস্ট এ্যা ফর্মাল টকিং।" ইফদিয়ার টনক নড়ল। আসলেই যাবিয়াজ ভাই তার সাথে কখনো প্রণয় কণ্ঠে কথা বলেনি। নজর নামিয়ে বালির দিকে দৃষ্টি ফেলে। যাবিয়াজ নিজের ওষ্ঠের উপর দাঁত চেপে হাত মুঠো করে চেঁচিয়ে বলল, "গেট লস্ট ফর্ম হেয়ার। যদি থাকিস তাহলে ছেলেদের কোমর দেখিয়ে ঘুরিস।" এদের মত দুই চরিত্রের ভাবনার মানুষের কী আদৌ মিলবন্ধন হবে কভু! এ কেমন প্রণয় বার্তা? যেখানে একদিকে প্রণয় কণ্ঠে বলেও ব্যথিত হয়ে যায় অন্যদিকে ঈর্ষান্বিত রূপ ভরপুর। তবে কী এটার নাম ভালোবাসা না মোহ!