বর্ষণ এক হাতে ছোঁয়ার গলাটা চেপে ধরে ওকে দেয়ালের সঙ্গে মিশিয়ে নেয়। ছোঁয়া বাঁধা দিতে গেলে অন্য হাতে ছোঁয়ার বাঁধা দিতে চাওয়া হাতটা ধরে পিঠের কাছে মুড়ে নেয়। ছোঁয়ার চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে। অসম্ভব যন্ত্রণা হচ্ছে হাতে গলায়। নিশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে তার। তবে এসব কিছুকে উপেক্ষা করে বর্ষণ ছোঁয়ার গলা আরও জোরে চেপে ধরে, ছোঁয়ার নিশ্বাস এবার যায় যায় বলছে। " রোদ কেন এসেছিল ছোঁয়া? বল কেন এসেছিল? তোর কাছে ওই ছেলেটা কি করছিল?তুই ওর জন্য কেন সাজলি?বলনা কেন সেজেছিস? আমার জন্য কেন সাজলি না? ওর জন্য কেন সাজলি তুই?" বর্ষণের প্রশ্নের উত্তর দেবার মত অবস্থা ছোঁয়ার নেই। ছোঁয়ার চোখ বেয়ে শুধু নোনা পানি গড়িয়ে পরছে। বর্ষণ নিজের ঠোঁট দিয়ে ছোঁয়ার গালে জমে থাকা চোখের পানি মুছে দেয়। " তুই আমার জান। শুধুমাত্র আমার। কেন এত কষ্ট দিস আমাকে? বলনা জান কেন এত কষ্ট দিস? আমি যে আর পারছিনা তোর এই বেরায় পনা সহ্য করতে। আমার কষ্ট হচ্ছে জান। বুকের মাঝে জ্বলে পুড়ে যায়। " এবার ছোঁয়া নিশ্বাস একেবারে আঁটকে যাওয়ার উপক্রম। তা দেখে বর্ষণ ছোঁয়ার গলাটা ছেড়ে দেয়। ছোঁয়া জোরে জোরে নিশ্বাস নিচ্ছে। নিজের অন্য ফাঁকা হাতটা দিয়ে বর্ষণের সার্ট টা খামচে ধরে। তার নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। বর্ষণ ছোঁয়ার কোমড় আঁকড়ে ধরে। ছেড়ে দিলেই পরে যাবে মেয়েটা। ছোঁয়ার এই করুন অবস্থা দেখে ঠিক কার উপর রাগ হচ্ছে বর্ষণের তা বলে বোঝানো বেশ মুসকিল। তবে ছোঁয়া নিজেকে সামলে ওঠার আগেই বর্ষণের আরেক দফা আক্রমণের শিকার হয় সে। বর্ষণ ছোঁয়ার ঘাড় ধরে নিজের কাছে নিয়ে আসে। বর্ষণ উচ্চতায় লম্বা হওয়ায় ছোঁয়ার চুল গুলো পেছন দিকে টান দেয়। এতে ছোঁয়ার মুখ খানা উপরের দিকে হয়ে যায়। আর বর্ষণ ছোঁয়ার ঠোঁট জোড়া দখল করে নেয়। এই মুহুর্তে যত রাগ আছে তার শরীরে সব ওই নিষ্পাপ ঠোঁট জোড়ার উপরে বের করে বর্ষণ। কিছুক্ষণ এর মাঝেই গোলাপি ঠোঁট জোড়া কেটে রক্ত বের হয়ে যায়।
গল্পটি অনেক অনেক সুন্দর। আমার পরা বেস্ট গল্পে মধ্যে এই গল্পটা একটা। কাহিনী টা অনেক সুন্দর। বর্ষণ-ছোয়া জুটিটা বেস্ট ছিল। আাসা করি ভবিষ্যতে আমরা এমন আরো গল্প পাবো। লেখিকা আপুর সব গল্প সব ই-বুক আমার পরা শেষ। তার লেখা সব কয়টা গল্প অনেক সুন্দর। আমি তো আমার প্রিয়তমা গল্পটা ২ বার পরছি আমার এতো ভালো লাগছে।
Read all reviews on the Boitoi app