‘দরজার ওপাশে’ গল্পের কাহিনীর প্রবাহ জগত ও জীবনে জড়িয়ে থাকা নারীর আখ্যান- উপাখ্যান। নারীর নিজস্ব সংকট ও অনুভবের জগত চিত্রিত হয়েছে। অভাব এতটাই অসহায় করে তোলে মানুষকে। নারীর জীবন সংগ্রামের এক জীবন্ত ছবি ফুটে উঠেছে। এক কন্যার জননী নীলা স্বামীর সাথে ডিভোর্স হলে নিষ্ঠুর অতীতকে মুছে ফেলে শুরু করতে চেয়েছে একটা পরিপাটি জীবন, জয় করতে চেয়েছে নিজের ও কন্যা তুবার ভাগ্য। নীলার মা রাহেলা বানু প্রত্যাশায় চেয়ে থাকে তার মেয়ের সুখের সংসার দেখার, নিজে একদিনের জন্য হলেও নিশ্চিন্তে থাকার। এদের জীবনকাহিনী মূলত আমাদের সমাজের নারীদের জীবনকে প্রতিনিধিত্ব করে। এইসব মানুষের টানাপোড়নে তৈরি হয়েছে আরেক বিচিত্র জগত। পৃথিবীতে আজও কিছু মানুষ আছে যাদের ভালো না বেসে থাকাই যায় না। এমন একজন আসে নীলার জীবনে। সেই ফরিদকে পাওয়ার জন্য নীলা ব্যাকুল হয়ে পড়ে। নীলার মনে বয়ে আনে অনাবিল আনন্দের ফল্গুধারা। ‘দরজার ওপাশে’ বইটি পড়লে মনে হবে অন্ধকারেরও এক অপূর্ব আলো আছে। কখনো কখনো বিচ্ছেদ সুন্দর, ছেড়ে আসা শান্তির, উদযাপনের। আমাদের চারপাশের একটা পরিচিত সময়ের গল্প ‘দরজার ওপাশে’।