সময়টা সাম্প্রতিক সময়কাল হতে অনেকটাই পেছনে৷ বিংশ শতাব্দীর ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দ, অর্থাৎ নব্বইয়ের দশক। হিজলতলী গ্রামের মানুষের জীবন-যাত্রার মান অদ্ভুত এক সীমাবদ্ধতায় বাঁধা। এখানে নানান বৈচিত্র্যময় ছোট-বড় মানুষের ভিড়ে বেড়ে ওঠা এক চপলমতী এতিম কিশোরীর গল্প রয়েছে। রয়েছে বিহঙ্গামী কিশোরীর দুনিয়ার ভিন্ন খেয়ালের গল্প। শৈশবেই সমাজ তাকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে চাইলেও সে ভাঙেনি। তাকে জনম দুঃখী তকমা পরানোর চেষ্টা করলেও সে তাতে রাজি হয়নি। অন্তরে পোষা বেদনাকে সে চঞ্চলতায় বেঁধে রেখে বড় হওয়ার সপ্নে বিভোর হয়। দুনিয়ার নিয়মকে তোয়াক্কা না করে সে হয়ে ওঠে চঞ্চলাময়। পিতার দেওয়া নাম হিজল। ষোড়শ বয়স অবধি সে জানত, তার নাম শুধুই হিজল। কিন্তু সে এক বিশেষ নামে সম্বোধিত হয়। শহর থেকে আগত এক কৃষি গবেষক সাহেব নাম দেয় 'জ্যৈষ্ঠের হিজলফুল'। কৃষি গবেষকের নাম 'সৈয়দ অন্ত'। সম্পর্কে হিজলের ফুপাতো ভাই। এরপর কী হয়েছিল? কীভাবে এগিয়েছিল সেই চঞ্চলার জীবন? হিজলের এতিম ও দুঃখময় জীবনের গল্পে কি কেউ অন্ত হয়ে এসেছিল? বাংলাদেশের ১৯৮৮ ও ১৯৯৮ সালের ভয়াবহ দুটি বন্যার পটভূমি নিয়ে লেখা সামাজিক ও রোমান্টিক উপন্যাস ‘জ্যৈষ্ঠের হিজলফুল’। কল্পনায় নির্মিত হিজলতলী গ্রামকে কেন্দ্র করে এ উপন্যাসে বন্যার ভয়াবহতা এবং গ্রামের মানুষের জীবন-সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
আপু ৯০ দশক আর গ্রাম কেন্দ্রিক আরো গল্প চাই এমন😍
Read all reviews on the Boitoi app