উপন্যাস চরিত্র ইনায়াত রহমান এ্যানি সম্পর্কে অধিকাংশ পাঠকের অজানা কিছুই তো নেই। একটা ষোল বছরের ষোড়শী যে কিনা বুদ্ধি হবার আগে থেকেই একটাই মাত্র স্বপ্নময় নায়ক দেখে বড় হচ্ছিল - সে শিশির রহমান। প্রপোজ করার চব্বিশ ঘন্টাও পেরোয়নি দু'জনের রিলেশনশীপ শুরুর। তারমধ্যেই ব্রেকআপ। কেন? নিত্যকে ঘনিষ্ঠভাবে ছুঁয়েছিল শিশির। হোক তা রাগ বা জেদের বশে। ষোড়শী এ্যানি বুঝবে কেন?? তবু চুপ ছিল সাতটি বছর। শিশিরের মা (ছোটচাচী) আর নিত্যের কূটচালের কারণে সে চায়নি শিশিরের ক্ষতি হোক। অতটূকুন একটা মেয়ে কতটা পরিপক্কতা দেখিয়েছিল তার শিশির ভাইয়ার জন্য। এরপর জীবনের আসে অনিম আহমেদ। যে তাকে নতুন করে ভালোবাসা-প্রেম শিখিয়েছিল। এবং যথারীতি ভাইয়ের স্নেহের কাছে পরাজিত হয়ে ধুঁকে ধুঁকে নীরবে শেষ হয়ে গেল অনিম। একটা বার ভাবেনি ও না থাকলে এ্যানির কী হবে। বিনা চিকিৎসায় অবহেলায় গোপনেই মরে গেল অনিম। যাবার আগে নোটবুক লিখে গেল ইনামকে এ্যানি সঁপে দিয়ে। অবশ্য তার আগেই ইনাম জোর করে এ্যানিকে নিজের করে নিয়ে ছিল। কুয়াশা মানবকে চিনতে পেরে এ্যানি তৃতীয় বারের মত প্রেমে পড়লো স্বামী ইনাম আহমেদের। যাকে সে পরবর্তীতে পাগলের মত উথালপাথাল ভালোবেসেছিল। এবং সেও শিশির, অনিমের মত ভুল করে বসলো। একটি বার এ্যানির কথা ভাবেনি ইনামও। মৃত্যুপথযাত্রী কাজিন একাধারে প্রাক্তন নীরার প্রতি মমতা দেখাতে যেয়ে গুরুত্ব দেয়নি ব্যক্তি এ্যানির যন্ত্রণাকে। ইনাম কী জানত না শিশিরের সাথে এ্যানির ব্রেক আপের কারণ?? ইনাম কী জানত না ভাইয়ের প্রতি গুরুত্ব দেখাতে যেয়ে প্রেগন্যান্ট এ্যানিকে বিধবা বানিয়ে অনিমের অন্তর্ধানের কারণ?? তবে কেন সে ঐ একই পথে গোপনে পা বাড়ালো এ্যানিকে অন্য বুঝ দিয়ে?? সে কী ভুলে গিয়েছিল কদিন আগেই তার ওয়াইফ মৃত সন্তান প্রসব করেছে?? প্রসবকালীন পরবর্তী টার্মগুলো কী ইনাম জানত না?? ভাতিজী অনিমার জন্মের কথা কীভাবে ভুলে গেল সে?? আর এধরণের সত্য গোপন থাকে?? থাকে নাতো। ফলাফল, এ্যানি আবার একলা। এবার ডিভোর্সি তকমা নিয়ে গ্রামের সমস্ত মানুষের রোষানলে আক্রান্ত হলো। গায়ে পড়ে কে বাঁচাতে এসেছিল তখন? এ্যানি কী কাউকে ডেকেছিল? না কাউকে বলেছিল আমাকে সাহায্য করো? কিছুই তো বলেনি সে। তবু আরো একটি ব্যথাময় ফাল্গুন চলে এল এ্যানির জীবনে। যে জীবনে বলতে গেলে ওর কেউই ছিল না। অদৃষ্ট এবার যেন স্বয়ং হাত বাড়ালো জীবন থেকে ছুটে পালানো দুঃখী মেয়েটির দিকে। কঠিন কঠোরে মেশানো এক দানবীয় পাষাণ পুরুষ আলাদীনের দৈত্য রূপে হাজির হলো খেলাঘরের লাস্ট জেনারেশনের সব'চে আদুরে অথচ কষ্টের ভারে ছিন্নবিচ্ছিন্ন ছোট্ট মেয়ে এ্যানির---সব ইচ্ছে পূরণের স্বইচ্ছার দায় নিয়ে। কে সেই পুরুষ - কী নাম তার? "প্রেম অপ্রেমের খেলাঘর" উপন্যাস চষে "তাকে" খুঁজে বের করার কাজটি সম্পূর্ণভাবে প্রিয় পাঠকদের উপর রইলো।
Samajik ghoranar sundor Ekta uponnash
Read all reviews on the Boitoi app
অসাধারণ ভালো লাগছে। ২য় খন্ডের অপেক্ষায়.. কিছু জায়গায় লাইন মিসিং,কিছু ঘটনা পুরোটা নাই। ছোট নোট এ পড়েছিলাম। কিন্তু e book এ খুজে পেলাম না।
এই সময়ের একজন শক্তিশালী লেখিকা মাহমুদা সুলতানা একা। যতক্ষণ আপনি এই বইটা না পড়ছেন ততক্ষণ আপনি উপলব্ধি করতে পারবেন না কি মিস করছেন আপনি। অসাধারণ মিষ্টি একটা মেয়ে এ্যানি আর চারপাশে ঘিরে থাকা তার পরিবার, তার ভাই বোনেরা আর তার ভালোবাসার মানুষ। প্রিয় একা গল্প পড়তে পড়তে পাঠক যখন কখনও কাঁদে, কখনও ভালোবাসায় আপ্লুত হয়ে যায় আবার গল্পের চরিত্রের উপর তীব্র রাগে ফেটে পড়ে তখনই বোধহয় লেখকের সফলতা অর্জিত হয়।আপনি তা করে ফেলেছেন প্রিয় একা। আল্লাহ আপনাকে অনেক সফলতা দান করুন। অনেক ভালোবাসা ছোট্ট বনু।
আমার পড়া সবথেকে প্রিয় উপন্যাস। একাপুকে অনেক ধন্যবাদ ই-বুক প্রকাশ করার জন্য। নিজের কাছে রাখতে পারবো এখন যখন ইচ্ছে হবে পড়তে পারবো।
চমৎকার মনোমুগ্ধকর হৃদয় স্পর্শী
অসাধারণ একটা গল্প .প্রতিটা পর্ব মন ছুয়ে গেসে .প্রতিটা চরিত্র মনে স্থান করে নিয়েছে .আমি হেসেছি ,কান্না করেছি ,ভালোবাসা অনুভব করছি ,দূরত্ব কষ্টের তা ফিল করছি .গল্পের মাঝে ডুবে ছিলাম .শিশির ,অনিম এই 2 টা চরিত্র আমি মুগ্ধ হয়ছি আর ইনাম এ আমি পুরোপুরি ডুবে গেছি .এক ভালোবাসা আর ভালোলাগা ,মুগ্ধতা ডুবে ছিলাম .ভালোবাসার মানে বুঝছি . পরের পার্ট তাড়াতাড়ি দিও .i can't wait
প্রেম অপ্রেমের খেলাঘর উপন্যাসের প্রতি আবেগের প্রকাশ সম্ভব নয়।এ উপন্যাস এবং লেখিকা দুটোই আমার ভালোবাসা। ফেসবুকে এই উপন্যাসের সাথেই আমার প্রথম যাত্রা শুরু।এই উপন্যাসের আমার প্রিয় চরিত্র মিষ্টি মেয়ে এ্যানি।এতে লেখিকা একটি সন্তানের মা বাবা ছাড়া বাস্তব পৃথিবী তুলে ধরেছেন।কি করে সদ্য মা বাবা হারা এ্যানি নিজের প্রিয় কাছের মানুষদের অবহেলার শিকার হয়।জেদি শিশির তার ভুলের জন্য তার অস্থিত্ব এ্যানি কে হারায়। এ্যানি আর শিশিরের আত্মিক বন্ধনের কথা আর নাই বা বলি। তার পর এ্যানি নামক মেয়েটার জীবনে অনিম এলো।সেতো নরম মনের এ্যানি কে ভালোবাসলো। তাকে স্বপ্ন দেখতে শিখালো। কিন্তু অধিষ্টের পরিহাসে মাঝপথে সেও চলে গেল না ফেরার দেশে। ভাইয়ের স্ত্রীর প্রতি নিজের নিষিদ্ধ অনুভূতি লুকাতে পালিয়ে যাওয়া অনিমের ভাই ইনাম আহমেদ স্বামী বিয়োগে ভেঙে পড়া এ্যানি কে আগলে নেয় নিজের প্রখর অনুভূতিতে। এ্যানির জীবনে ইনাম নামক বসন্ত কি চিরদিন থাকবে নাকি তার ভাঙ্গা গুড়া জীবনে নতুন কোনো বসন্তের আগমন ঘটবে। অসাধারণ এই উপন্যাসের প্রথম খন্ডের পর দ্বিতীয় খন্ডের অপেক্ষায় অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রইলাম। অসংখ্য ভালোবাসা রইলো একুবিবি এবং তার অসাধারণ লেখনীর জন্য।
ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয় কী এক ঘোরের মধ্যে আছি। দ্বিতীয় খন্ডের অপেক্ষায়! অনেক অনেক শুভকামনা লেখিকার জন্যে!!
অনলাইনে পড়া একাপার প্রথম উপন্যাস ছিলো আমার। এতটাই বুদ হয়েছিলাম প্রতিদিন অপেক্ষা করতাম কখন লেখাটা আসবে। আজ বই আকারে পেয়ে অনেক ভালো লাগছে। ইচ্ছামত পড়া।যাবে। একাপা লেখা চালিয়ে যান। ❤️❤️
আসলে বইটা নিয়ে কি বলবো, না পড়লে বোঝা যাবেনা কত্তো সুন্দর 😍😍😍