বর্তমান বিশ্ব আজ চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যে নিমজ্জিত—রাজনৈতিক উত্তেজনা, ধর্মীয় সহিংসতা এবং অর্থনৈতিক অচলাবস্থার কারণে মানবসমাজ যেন দিশেহারা। এই সংকট থেকে উত্তরণে যেকোনো কৌশল বা মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হোক না কেন, যুবসমাজকে উপেক্ষা করলে তা কার্যকর হওয়া অসম্ভব। কারণ, যেকোনো সংকটের সৃষ্টি কিংবা তা নিরসনে যুবকদের ভূমিকা সবসময়ই প্রধান। এই প্রেক্ষাপটে, একটি চরমপন্থি গোষ্ঠী অত্যন্ত কৌশলে মুসলিম যুবকদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তারা প্রচার করছে যে, ইসলামের প্রতিষ্ঠা তরবারি ছাড়া সম্ভব নয়, এবং এ জন্য এখনই তাদের পথে নামতে হবে। অপরদিকে, আরেকটি গোষ্ঠীর ধারণা—ইসলাম কেবল মসজিদের চার দেওয়াল, কুরআনের পৃষ্ঠা, এবং তসবির দানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। বাস্তব জীবনে ইসলামের ভূমিকা নেই বা থাকলেও এই যুগে তার প্রয়োগ অসম্ভব। তাই ঘরে আবদ্ধ থাকাই উত্তম। তাত্ত্বিক দিক থেকে দেখলে, এই দুই গোষ্ঠীরই অবস্থান চরমপন্থা ও অবহেলার মধ্যে আটকে আছে। ফলে ইসলামের জাগরণ আজ নিজ ঘরেই শৃঙ্খলিত। এই শৃঙ্খল ভেঙে ইসলামের জাগরণকে ভারসাম্যপূর্ণ পথে এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজন একটি সমন্বিত ও গঠনমূলক রূপরেখা। এই বিষয়েই বিশদ আলোচনা করা হয়েছে ইসলামি জাগরণ : অবহেলা ও বাড়াবাড়ি বইয়ে।