ঘড়িতে রাত ২.১৬ বাজে। ডায়েরিটা টেবিলের কোণায় এখনো এলোমেলো অবস্থায় পরে আছে! বাতাসে ডায়েরির কয়েকটা পৃষ্ঠা এলোমেলো উড়ছে। রুপালী ধীর পায়ে, জানালার কাছে গিয়ে, চেয়ার টেনে বসল। লাইটের আলোটা একটু বাড়িয়ে দিয়ে, ডায়েরির প্রথম পৃষ্ঠা উল্টাতেই দেখল, গোটা গোটা অক্ষরে লেখা, “প্রিয় মানুষগুলো নিখুঁত ভাবে কষ্ট দিলে, তিলে তিলে হৃদয়ে গভীর ক্ষত হয়। সেই ক্ষত হৃদয়ের উপরের অংশ ভেদ করে হৃদয়ের গভীরে, একদম হৃদপিণ্ডে মিশে গিয়ে, বিশাল ঘা তৈরী করে। সেই ঘা একটু একটু করে ছড়িয়ে পরে, শিরা-উপশিরা থেকে শুরু করে শরীরের প্রতিটা রন্ধ্রে, রন্ধ্রে! আর একেই বুঝি বলে, হৃদয়ের রক্তক্ষরণ।”
বইতো পড়তেই পারছি না
Read all reviews on the Boitoi app
গল্পটা পড়ে মনে হয় লেখিকা কোন না কোন ভাবে এই ধরনের ঘটনার কথা শুনেছেন। হয়তো সত্যি করে এই রকম হয়ে থাকে। হয়তো এই ঘটনা বিরল তবু ঘটে এটাই সত্যি। গল্পটা পড়ে এটা বলতে পারি কোন কিছু চেপে রাখা, উচিত না। কারো যদি বক্তব্য কিছু থাকে স্পষ্ট ভাবে বলা উচিত। অনেক সময় আমরা পরিস্থিতি দেখে কিছু বলি না কিন্তু সেটা সবথেকে বড় ভুল করি। কতখানি ক্ষতি করে সেই মুহূর্তে আমরা বুঝে উঠতে পারি না। পরবর্তী সময়ে তার প্রভাব কিন্তু প্রত্যেকের জীবনে পড়ে। পরিষ্কার করে স্পষ্ট কথা বলে নেওয়া সবথেকে শ্রেয়। শুধুমাত্র নিজের ধারণাবশত সবকিছু নিজের মতো করে ভেবে নেওয়া এটা কিন্তু ঠিক নয়।সব থেকে বড় বিপদে ফেলে এমনকি একটা মানুষের জীবনেও শেষ হয়ে যেতে পারে এই গল্পে সোনালীর পরিস্থিতি সেটা আজ বলে দিল। রুপালি আর প্লাবনের মত অভিনয় হয়তো এইরকম বহুজন করে থাকে। শুধু তারা প্রকাশ করে না। খুব সুন্দর হয়েছে গল্পটা।