স্কুলছাত্রী তমা এক সন্ধ্যায় নৃশংসভাবে খুন হয়। এ হত্যাকাণ্ডের প্রথম কিছুদিন পুরো দেশে বেশ হৈ চৈ পড়ে গিয়েছিল পুরো দেশে। স্কুলছাত্রীকে এত নৃশংসভাবে কে খুন করতে পারল, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনাও কম হয়নি। ‘বিচার চাই’ স্লোগানে রাজপথ মুখরিত ছিল, এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোও সরগরম হয়ে উঠেছিল। এর মধ্যে কয়েকটি পক্ষ তৈরি হয়। এরা একে অপরের সাথে বাস্তব এবং ভার্চুয়াল জগতে তর্কযুদ্ধে লিপ্ত হয়। একপক্ষ দাবি করে, তমার হত্যাকারীকে খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। অন্যপক্ষ বলে, নিশ্চয়ই তমা প্রেম করতো, প্রেমিককে ধোঁকা দিয়েছে, তাই প্রেমিক প্রতিশোধ নিয়েছে—এটা একদম উচিত হয়েছে। তমার চরিত্রে দাগ লাগানোর জন্য আরো এক ধাপ এগিয়ে যায় আরেক পক্ষ। কিছু সুযোগসন্ধানী লোক সরকারী দলের ব্যর্থতা এবং বিরোধী দলের ষড়যন্ত্রকে টেনে এনে রাজনৈতিক ইস্যু বানায়। তমার বেপর্দা চালচলনকে দায়ী করে হত্যাকাণ্ডকে যৌক্তিক হিসেবে সার্টিফিকেট দিতেও পিছপা হয়নি ইসলামকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করা কিছু ভণ্ড হুজুর। কিন্তু এরপর কী হলো? তমার খুনি কি ধরা পড়ল? নাকি রয়ে গেল সকলের আড়ালে?
সুপার্ব! যে অপরাধগুলো সমাজে ভাইরাল হয়ে যায়, সেগুলো একসময় আবার মানুষ ভুলেও যায়। কারণ আমাদের এতদাঞ্চলের বিচারব্যবস্থা দীর্ঘসূত্রী। লেখকের বিভিন্ন লেখার অংশবিশেষ বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন সময় পড়ার সুযোগ হলেও পুরো একটি আখ্যান এই প্রথম পড়লাম। চমকে যাওয়ার মতো সুন্দর গদ্যশৈলী লেখকের। কিছু টাইপো পেয়েছি। 'অন্ধকারের পিশাচ' যখন আলোয় এলো, তার স্বীকারোক্তিতে উইপনের ইতিবৃত্তটা সংক্ষেপে হলেও আশা করেছিলাম। এই একটাই প্লটহোল মনে হয়েছে সমগ্র লেখায়। লেখাটা একটানা পড়ে শেষ করতে হলো। এটা লেখকের বড়ো ক্রেডিট।
Read all reviews on the Boitoi app
চমৎকার একটা বই পড়ে শেষ করলাম।