তৌহিদ হঠাৎ বলে উঠল, ‘গতকাল সবার মধ্যে থেকে হাত কেন তুলেছিলে? তুমি আদৌও বুঝেছিলে আমার কথা? আমাকে সমর্থন করেছিলে কেন?’ কনক আরো কিছুটা টেনে নিলো বোরকার পিচ্ছিল হিজাবটা, জবাব দিতে অস্বস্তি হলেও থেমে থেমে দিলো, ‘আমার মনে হয়েছে আপনি ঠিকই বলেছেন। আসমা আপার জীবন বাঁচেনি বরং সারাজীবনের জন্য অসম্মানিত হলেন। চরিত্র হননের চেষ্টাকারী কখনো স্ত্রীর হেফাজতকারী হতে পারে না!’ প্রথম দেখার পর থেকে জানা হয়নি মেয়েটাকে, এখন ঐ মুখে এত ভারি ভারি কথা শুনে তৌহিদ বলে উঠলো, ‘পড়াশোনা কতদূর?’ ‘জি, ম্যাট্রিক দিয়েছি গত বছর। আর পড়ছি না।’ ‘রেজাল্ট?’ ‘কোনো মতে সেকেন্ড ডিভিশন।’ আর কথা বাড়ায় না তৌহিদ। নিজের ভালো লাগাকে খুব সুক্ষ্মভাবে লুকিয়ে রেখে অন্যদিকে ফিরে বসে থাকে। একটি সুশ্রী, পড়াশোনা জানা, নম্র, ভদ্র আর বিনয়ী মেয়ে। প্রথম দর্শনেই যেকোনো পুরুষের বক্ষপটে বসন্ত এনে দেওয়ার মতো উপযুক্ত। ক্যাপ্টেন তৌহিদ কায়সার কোনো উচ্চ চাহিদা সম্পন্ন পুরুষ নয়, সে খুবই সাধারণ চাহিদার একজন সৈনিক। যার শেকড় এই গ্রামেই। সেদিন বাড়িতে যেতে যেতে নিজের ভালো লাগা সম্পর্কে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হয়েই তবে ভ্যান থেকে নেমেছে। সগীরকে ভাড়া মিটিয়ে দিয়ে বাড়ির দরজায় কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে ছোট ছোট করে ছাটা চুলের ঘাড়ের কাছটায় হাত বুলিয়ে অদ্ভুত ভঙ্গিতে হাসলো। পরপর মুখটা গম্ভীর করে লম্বা কদমে ঢুকলো বাড়ির ভেতর। দাওয়ায় হারিকেন জ্বেলে বসে ছিল বাড়ির সকলে, সে রাতেই তৌহিদ গিয়ে সরাসরি তার ভাবীকে জানায়, ‘সালাম মাস্টারের ভাগ্নি কনককে ভীষণ মনে ধরেছে ভাবী। আপনারা সবাই কথা বাড়ান। আমি তাকে বিয়ে করতে আগ্রহী।’
"বাস্তব যেনো সবকিছু চোখের সামনেই দেখলাম সবকিছু ।এতো গোছালো এতো নিখুঁত ই-বুক হয়? এই প্রথম একটি ই-বুক পড়ে পুরো পুরি সন্তষ্ট হলাম 😊 মনে হচ্ছে আমি একটি মলাট বই পড়ে শেষ করলাম।অসাধারণ ছিলো আপু।💝"
ইসরাত ইতির লেখা বরাবরই খুব সুন্দর। এক্ষেত্রেও ব্যাতিক্রম হয় নি। ভীষণ ভালো লেগেছে। লেখিকার জন্য শুভ কামনা রইলো।
Read all reviews on the Boitoi app
Darun sundor golpo
আমার প্রিয় লেখিকা ইতিপুর প্রত্যেকটি গল্পই সুন্দর। জাস্ট অসাধারণ ❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️
যতো যায় বলি কম হয়ে যাবে শুধু এইটুকু বলবো মনে হয়েছে কনকের কাহিনিগুলো চোখের সামনে দেখছি,, তবে একটাই কষ্ট তৌহিদ কায়সারের মতো স্বামী বাস্তবে ০.১%আছে।। এমন খুজে পাওয়া খুবই টাফ
গ্রামে গঞ্জে কনকের মতো অনেককে খুঁজে পাওয়া যাবে৷ তবে তৌহিদকে বোধহয় হারিকেন দিয়ে খুঁজলেও পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ। পুরো গল্পটা পড়ার সময় আমার মেজাজ ভীষণ খারাপ ছিল। সাংসারিক এসকল রাজনীতি আমি একদম সহ্য করতে পারি না। আমাদের আশেপাশে প্রতিনিয়ত এভাবেই সংসার করে যাচ্ছে অনেকে। জায়া ও পতি গল্পটা সেইসব সংসারের প্রতিফলন মাত্র৷ লেখকের লেখা জাদুতে আরও একবার মুগ্ধ হলাম।
প্রথমত বলতে চাই অমায়িক একটা বই।জায়া ও পতি ফেসবুকের টা পড়েই ভালো লেগেছিল।লেখিকা ভালো লেখে ভেবেই বইটা কেনা।কিন্তু এতোটা ভালো হয়তো আমি কল্পনাও করি নাই!এতোটা বাস্তব,এতো সাবলীল,এতো সুন্দর গল্প!বইটা পড়ে সত্যি আমার পাঠক হৃদয় সার্থক। অনেক কিছু যেন চোখের সামনে দেখতে পারছিলাম।অনেক স্মৃতি ভেসে উঠছিলো চোখের সামনে। এখন অনেকটা কম হলেও আগের দিনের শ্বাশুড়ি আর ননদেরা এমনই হতো অধিকাংশ।তবে এমন ভালো পতি খুব একটা হতো না।হাজারে একটা হলেও হতে পারতো। তৌহিদ আর কনক কে এতো এতো ভালো লেগেছে উফ্।বইতে যেভাবে দেখানো হয়ছে বাস্তবেও ভালো স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক,সময়গুলো এমনই।পার্থক্য নাই বললেই চলে। অনেক লম্বা হলো কমেন্ট টা।তবে আবারও বলতে চাই পয়সা উসুল বই।বরং এতো ভালো আর বড় বই এই দাম কমই রেখেছেন লেখিকা।এজন্য লেখিকা কে বিশেষ বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ। এই ইবুকটা মলাট বইয়ে আসার বিশেষ যোগ্য। আপনার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করি লেখিকা।আগামীতে আপনাকে আরো ভালো লিখার তৌফিক দান করুন করুণাময়।
খুব সুন্দর। ভালো লেগেছে। ML এর চরিত্র বেস্ট
বাস্তবতার সাথে অনেক বেশি মিল রয়েছে। খুবই চমৎকার লেগেছে গল্পটা। শুভকামনা রইল লেখিকার জন্য।
গল্পটা অসম্ভব সুন্দর। একদম মনমতো।তৌহিদ আর কনক জুটিটা এতে কিউট। একজন আদর্শ স্বামী হিসেবে যেসব গুন থাকা দরকার তৌহিদ ভাইয়ের মধ্যে তা সব আছে আর রোমান্টিক দিকগুলোও খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন লেখিকা।গ্রামের ডানপিঠে এই কনকের জন্য তৌহিদ ভাইয়েরই দরকার ছিলো।আর কনকের ধৈর্য স্বামীর প্রতি বিশ্বাস ভালোবাসা আর সাহস সব কিছুই প্রসংশার যোগ্য। মোটকথা প্রতিটা চরিএ লেখিকা খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন
এক কথায় অসাধারণ। তৌহিদ এর চরিত্র এত সুন্দর করে লিখিকা তুলে ধরছেন যা ছিলো অসাধারণ। একজন মাকে সম্মান, বোনের আদর, স্ত্রীর ভালোবাসা সকল কিছু সুন্দর করে পালন করেছেন। শিক্ষণীয় বিষয়।মন ছুঁয়ে গেছে।❤️❤️❤️ এতো এতো নিখুঁত ছিল। লিখিকার লিখার প্রেমে পরে গেছি।