মোহনার বেশ মজা লাগছে। আজ সে কিছুই করবে না, একেবারে কিছু না। খাওয়া! মেয়ে মানুষ না খেয়ে মরে না। মেয়ে মানুষ মরে একটু ভালোবাসার জন্য। একটু ভালোবাসার জন্যই তো সে সব ছেঁড়ে ছুড়ে তানভীরের হাত ধরেছিল। বাবা-মা রাজি হয়নি শুরুতে, রাজি হতো না। সব হয়েছে মোহনার জেদে। বিয়ে করলে এখানেই নয়তো কোথাও না৷ কত কত পাত্র আসে তাদের মুখের সামনে সরাসরি ‘না’ বললেও তার মুখখানা দেখেই পাত্রপক্ষ যা বোঝার তা বুঝে নিয়েছে। তার ভালোবাসার সংসারে কি তাদের দীর্ঘশ্বাস লাগলো নাকি! বিয়ের প্রথম এক মাস! সব যেন স্বপ্ন স্বপ্ন। এই পথ যদি না শেষ হয় তবে কেমন হতো টাইপ দিনের হালচাল। কিন্তু পথও শেষ হয় আর স্বপ্ন ও ভাঙে। ওমা! বিয়ের তৃতীয় মাসে তানভীর কেমন গম্ভীর হয়ে গেলো! সে ইয়া বড় ম্যাসেজ দিলে উত্তরে শুধু বলে ‘হুমম’৷ হুমেই শেষ! অপমান কান-মাথা গরম হয়ে উঠে। সারাদিন অপেক্ষা করে কখন ফিরবে অফিস থেকে, আজ একটা হেস্তনেস্ত না হলেই না৷ এত তাড়াতাড়ি পুরনো হয়ে গেলে বাকি জীবন কাটবে কি করে! তা অফিস থেকে এসে বাবু আরো বেশি গম্ভীর। মুখের দিকে তাকানো যায় না৷ কাজের চাপ, দুনিয়ায় ব্যস্ততা। বউয়ের অভিমান গোনায় ধরার সময় আছে নাকি! ঘরে ফিরে আসে সেই অনেক। বেশি ঘ্যানর ঘ্যানর করলে নাকি বাপু সন্ন্যাস নিবেন। ভালোবাসা উতলে উঠে কেবল রাতের একটা বিশেষ সময়ে। এমন ভালোবাসা তো মোহনা চায়নি । তবু কেন এমন হলো! এত ভালোবাসা, জেনেশুনে প্রেমের পর বিয়ে তাও কেন এমন হচ্ছে? ভালোবাসা উতলে উঠে কেবল রাতের একটা বিশেষ সময়ে। এমন ভালোবাসা তো মোহনা চায়নি । তবু কেন এমন হলো! এত ভালোবাসা, জেনেশুনে প্রেমের পর বিয়ে তাও কেন এমন হচ্ছে?
valo
Read all reviews on the Boitoi app