“এখন বলো, আমার ওপর কীসের এত অভিমান তোমার? তুমি না বললেও এটা আমি বুঝতে পারি। কোনো কারণে রেগে আছো নিশ্চয়ই। নয়তো কোনো অভিযোগ, অভিমান জমিয়ে রেখেছ। দুনিয়ার সবার সাথে তুমি স্বাভাবিক, অথচ আমার সাথেই...!” নূরজাহান জবাব দিল না। এটা অভিমান না-কি অভিযোগ, সে নিজেও জানে না। শুধু জানে, মেহেদীর জন্যই তিয়াশা মারা গিয়েছে। সেই রাতে ওতটা রূঢ় আচরণ না করলে, একটা মানুষ কেন পৃথিবী থেকে নিজের নাম মুছে দিতে চাইবে? এমন না যে, মেহেদীর আচার-আচরণ খারাপ। কিংবা সে সব বিষয়ে অধিকার দেখায়। কেউ না জানলে, সে তো জানে এই মানুষটা তাদের সম্পর্কটাকে কীভাবে মূল্যায়ন করে! কতটা যত্ন করে আগলে রাখার চেষ্টা করে। কতটা সম্মানের সাথে অর্ধাঙ্গিনীকে খুশি রাখতে চায়। সবটাই সে জানে, বুঝে, তবুও নিজেকে প্রকাশ করতে পারে না। গুটিয়ে যাওয়া আচরণ তাকে দিনদিন প্রেমবিমুখ করে দিয়েছে। ঠোঁটের কোণে অসংখ্য শব্দেরা কিলবিল শুরু করলেও মুখফুটে কিছু বলতে না পারার দুঃখে সে আরও গুটিয়ে গেল। এতক্ষণ স্বাভাবিক হয়ে বসলেও এখন তার অস্থিরতা শুরু হলো। উত্তরের আশায় যেভাবে একদৃষ্টিতে মেহেদী তার দিকে তাকিয়ে আছে, ওভাবে তাকিয়ে থাকলে মরণ নিশ্চিত। তড়িঘড়ি চোখ ফিরিয়ে নিতে ওড়না দিয়ে মুখ ঢেকে নিজেকে লুকিয়ে ফেলল নূরজাহান। তার এই লুকোচুরি ভাব অসহ্যকর ঠেকল মেহেদীর কাছে। রাগ দেখাতে গিয়েও নিজের মেজাজকে কন্ট্রোল করে নিল। অনিচ্ছাসত্ত্বেও অর্ধাঙ্গিনীর দুটো হাত টেনে আনল নিজের হাতের মুঠোয়। অভিযোগের স্বরে বলল, “আজও চুপ থাকবে তুমি? আমাকে তুমি চেনো না? আগে দেখোনি? কথা হয়নি আমাদের আর? শাসন করিনি কখনও তোমাকে? আমি মানুষটা তোমার অনেক চেনা নূর, তা-ও কীসের এত দ্বিধা, সংকোচ তোমার মাঝে? তবে কি আমি ধরে নেব, বিয়েতে তোমার কোনো মত ছিল না? এই সংসার নামক যন্ত্রণা জোরপূর্বক তোমার ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে? তুমি নির্দ্বিধায় সব কথা বলতে পারো আমাকে। যদি এই সম্পর্ক, সংসার তোমার ঘাড়ে বোঝা মনে হয়, তবে আমাকে বলো, সব ঠিক করে দেব। জোর করে লোকদেখানো সংসার করতে হবে না তোমায়। সবাইকে আমি ম্যানেজ করে নেব। শুধু তুমি একবার বলো, কেউ কি এই বিয়ে নিয়ে জোরাজোরি করেছে তোমার সাথে?”
নূরে জাহান আর নূরে মোহাব্বত 😍😍😍! এই গানটাই প্রথমে মনে আসলো!পড়া শেষ করছি সেই কবে,কিন্তু রিভিউ দিতে দেরি হয়ে গেলো! ছোট্ট একটা ভুল বোঝাবোঝি মানুষের জীবন থেকে ঠিক কতটা মূল্যবান সময়,মুহুর্ত গুলো কেঁড়ে নেয় তা নূরজাহান কে দেখে শেখা উচিত! আর মেহেদী! এর ব্যক্তিত্ব আমাকে মুগ্ধ করেছে! ওর অন্যায়ের সাথে আপোষ নয় মনোভাব আমাকে মুগ্ধতায় ভাসিয়েছে!আর বিয়ের পর স্ত্রীর প্রতি দায়িত্ববোধ,ভালোবাসা,যত্নশীল,বোঝদার হওয়া আমাকে ক্ষণে ক্ষণে মনে করিয়েছে, এমন হাসবেন্ড ই তো চাই মেয়েরা! অবশেষে মেহেদীর বউ কথা বললো মেহেদীর সাথে! নামের মতোই সে নুরজাহানের জীবন সাজানো,গোছানো,রঙে রঙিন করে তুললো নিজের অসাধারণ ব্যক্তিত্ব দিয়ে!খুব ভালো লেগেছে আমার বলায় যায়!আপনার লেখা পড়ে আমি কখনো আশাহত হয় না আপু!ভালোবাসা রইলো!আর শুভকামনা! অগ্রীম ঈদের শুভেচ্ছা নিয়েন!
Read all reviews on the Boitoi app
ভালো হয়েছে