"বিচ্ছিন্ন দাদুর গল্প" মায়ার জীবনটা মোমবাতির নরম আলোর মতোই নিঃসঙ্গ। মা সারাহর সাথে সম্পর্কে ফাটল, দাদু আর্থারের সাথে অচেনা দূরত্ব—একাকী মায়ার একমাত্র সঙ্গ তার হাতে বানানো সুগন্ধি মোমবাতি। উইলো ক্রিক সিনিয়র সেন্টারে মোমবাতি দান করতে গিয়ে সে দেখা পায় আর্থারের, যে নিঃসঙ্গ বারান্দায় স্কেচবইয়ে আঁকে ল্যাভেন্ডার ক্ষেত আর হারানো মুখ। মায়ার কৌতূহল জাগে: কেন দাদুকে ঘৃণা করে মা? কেন পরিবারের আলবাম থেকে মুছে ফেলা হয়েছে তার ছবি? খোঁজাখুঁজিতে মায়া জানতে পারে, আর্থার এক সময় ব্যবসায়িক ভুল করেছিলেন, যা পরিবারকে ডুবিয়েছিল দেনার সমুদ্রে। কিন্তু গল্পটা এতটা সরল নয়! লিয়াম নামে এক বৃদ্ধের কাছ থেকে শোনে, আর্থার আসলে মেয়ে সারাহকে বাঁচাতে গিয়েই পথভ্রষ্ট হয়েছিলেন। হেন্ডারসন নামের এক শত্রুর ষড়যন্ত্রে আগুন লাগে কারখানায়, মারা যায় সারাহর স্বামী। আর্থার নিজের দোষ স্বীকার করে নেন, যাতে সারাহর বেঁচে থাকার লজ্জা কমে। মায়া আবিষ্কার করে, আর্থার গোপনে সারাহর ক্যান্সারের চিকিৎসার টাকা জুগিয়েছেন, লিলি (সারাহর সৎবোন) নামে অনাথাশ্রম চালান। স্কেচবইয়ের পাতায় পাতায় আঁকা আছে মায়ার ছবি—যেন লিলির হারানো মেয়ের প্রতিস্থাপন। সব জানার পরও সারাহর রাগ কমে না। তবে একদিন মায়ার জেদে দুজনের মুখোমুখি বৈঠক হয়। কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে ফোটে অশ্রু, ভাঙে বরফ। গল্পের শেষে আর্থার-সারাহর সম্পর্ক জোড়া লাগে না, কিন্তু শুরু হয় নতুন বোঝাপড়া। মায়া পায় নতুন বোন অ্যানাকে—লিলির মেয়ে, যে খুঁজে বেড়িয়েছে তার roots। মোমবাতির আলোয় তিন প্রজন্মের ছায়া মেশে সিনিয়র সেন্টারের বারান্দায়। গল্পটা শেখায়, পরিবার মানে নিখুঁত ইতিহাস নয়—মানে ক্ষমা আর পুনর্বার শুরুয়ের সাহস। মূল বার্তা: "ভুল যত বড়ই হোক, ভালোবাসা তাকে ছাপিয়ে যায়। পরিবার মানে রক্ত নয়, মানে সেই মানুষগুলো—যারা অন্ধকারে হাত বাড়ায়।”