জীবনের ঘোর অমানিশা দৃঢ়তার সাথে হটিয়ে দিয়ে প্রভাতের স্নিগ্ধ আলো গায়ে মাখা এক মেয়ে হলো রোদেলা। অন্য আট-দশ জনের মতো জীবনকে দেখার অনুমতি নেই রোদেলার; ওর সাজা বারণ, হাসা বারণ, মন যা চায় তা করা বারণ। ভয় লোকে কি বলবে তা নয়, লোকে বলার আগেই তা চোখে বাঁধে ওর নিজের মায়েরই, না, তিনি ওর সৎ মা নন রোদেলার। সংসারে স্বামীর সাথে হওয়া অশান্তিতে ক্ষয়ে যাওয়া মেজাজের পুনরুদ্ধার হতো মেয়েকে বকে, মেরে, গালাগালি করে। ব্যাড প্যারেন্টিংয়ে বড় হওয়া রোদেলার কেবল মনে হয় দূরে কোথাও হারিয়ে যেতে। এমনি প্রতিকূলতায় বড় হওয়া রোদেলার সাদাকালো জীবনটাকে রঙিন রূপকথাময় করে দিতে আগত হয় দুই পুরুষের, যারা যে কোন কিছুর বিনিময়ে সে পেতে চায় রোদেলাকে। রোদেলা টের পায় সে ভালোবাসা সত্যি, তবে ওর কাছে জীবনের রোডম্যাপে ভালোবাসার চেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ পরগাছা জীবন থেকে বেরিয়ে নিজের পরিচয় তৈরি করা। তাইতো অবচেতন মন যখন আবেগে আর্দ্র ভালোবাসার কাঙাল, সচেতন মনের পাহারাদার তখন এসব থেকে হাফ ছেড়ে বাঁচার কথা বলে। সব কিছু ঠিকই চলছিলো, হঠাৎ মায়ের জিদের কাছে হেরে যায় রোদেলা; বাসা থেকে বের করে দেয়া হয় ওকে। কয়েকদিন পর ওদের কাছে খবর আসে রোদেলার মৃত্যুর। পরিবারের সাথে সাথে রোদেলার পাণীপ্রার্থী দুটো মানুষই ভেঙে পড়ে রোদেলার মৃত্যু সংবাদে। রোদেলাকে নিজের করার যুদ্ধে নামা দুজনের একজন মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে, তবে অপরজন মানতে পারে না লাশটা রোদেলার। এটা ওর মস্তিষ্ক কল্পনা প্রসূত ভাবনা নাকি সত্য, তা ও জানে না। তবে ও যেটা জানে তা হচ্ছে রোদেলা আছে, এবং ও রোদেলাকে খুঁজে বের করবেই। ও কি খুঁজে পেয়েছিল রোদেলাকে? জানতে হলে পড়তে হবে ইবুক রোদেলা...