আস্ত একটা খাসি ফ্রাই। এর সাথে ২০০ টা ডিম, একজন মানুষের পক্ষে খাওয়া সম্ভব? না। অথচ এ ধরনের কান্ডজ্ঞানহীন কাজকর্ম দেখিয়ে খাদ্যগ্রহণকে ফ্যান্টাসির পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ফুড ভ্লগিং ও খাবার নিয়ে এত এত ফ্যান্টাসি ছড়ানোর আগের যুগে মানুষ খাবার গ্রহণ করতো কেবলই প্রয়োজনের তাগিদে। যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকু খাবার গ্রহণ। এভাবে সুস্থও ছিল বর্তমানের চেয়ে বেশি। কিন্তু এখন বিশ্বব্যাপী খাদ্য ব্যবসায়ীদের চটকদার বিজ্ঞাপনের ধাক্কায় মানুষের রুচি পাল্টেছে। এখন মানুষ প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার খায় আর অসুস্থ হয়ে ক্লিনিক ব্যবসাকে চাঙ্গা করে। অথচ অল্প খাওয়াই দেহ ও মনের জন্য উত্তম। অধিক আহারে প্রশান্তি নেই। বরং এতে ক্ষতির মাত্রা বেড়ে যায়। খাদ্য গ্রহণের ব্যাপারে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গী জানতে এ বইটি খুবই উপকারী। আমাদের পূর্বসূরীদের ফুড হ্যাবিট নিয়ে জানাবে এই বই। যারা চিকিৎসক আছেন, তারাও রোগীকে গাইড করতে এ বইটি চেম্বারে রাখতে পারবেন।