বিয়ের আসর থেকে কনে তুলে এনে বিয়ে করতে চাওয়া— এই দৃশ্যের সাথে মিষ্টি ব্যাপক পরিচিত। সিনেমায় তো এই দৃশ্য কম দেখা হয়নি, কিন্তু বাস্তবে ওর সাথে এমনটি হবে এবং ওরই কপালে পিস্তল ঠেকিয়ে কেউ সিনেমার সংলাপ বলবে, “তুমি কেন… তোমার চৌদ্দ গুষ্টি আমায় বিয়ে করতে রাজি হবে। ভালোয় ভালোয় কবুল বলো, নয়তো গুলি একটাও পিস্তলে থাকবে না, সবকটা দিয়ে তোমার মাথা একদম ঝাঁঝরা করে দিবো মিষ্টি। এরপর তোমার লাশকে বিয়ে করে না-হয় বাকি জীবন কাটাবো। আমার তোমাকেই চাই মিষ্টি। হ্যাঁ হ্যাঁ, তোমাকেই চাই, হোক সেটা জীবিত কিংবা মৃত।” এ যেন কল্পনাতীত, কিন্তু মিষ্টি কী করবে এখন? প্রতিবাদী নারী হয়ে উঠবে নাকি বেপরোয়া পুরুষকে স্বামী হিসেবে কবুল করবে?
প্রথমত, মেলা মেলা ধন্যবাদ উপহারের জন্য। দ্বিতীয়ত, ক্ষমা চাচ্ছি, অনেকটাই দেরীতে রিভিউ লিখছি। আসলে ব্যস্ততার দরুণ আস্তে আস্তে পড়ে শেষ করেছি, তাই রিভিউও লেট। গল্পটার থিমটা আমার খুব ভালো লেগেছে, বিশেষত যে কোন কারণে ডিভোর্সী ট্যাগ পেলেই একজন নারীর জীবন যে শেষ নয় এই বিষয়টা। পরিস্থিতির দরুন একজন নারী তার স্বামীকে হারানোর পর সমাজ তাকে শক্ত হবার সুযোগ না দিয়ে আরো ভেঙ্গে ফেলে। কখনো পরিবার তার ওপর চাপিয়ে দেয় অনায্য কিছু। যেখানে তারা বেশকিছু ভালোবাসা ডিজার্ভ করে। পাশাপাশি বিয়েতে পরিবারের মত গুরুত্বপূর্ণ তবে সর্বস্ব নয় এমন কিছু একটাও ফুটে উঠেছে। সর্বশেষে হ্যাপি এন্ডিং, যা মিষ্টির গল্পটাকে আরো মিষ্টি বানিয়ে দিয়েছে। পরিশেষে, লেখিকা এমন ইতিবাচক থিমের গল্প নিয়মিত লিখতে পারুক এটাই প্রত্যাশা।
Read all reviews on the Boitoi app