“লজ্জা হয় না আপনার? ঘরে বউ রেখে পরীমনির ফটো টাঙিয়ে রাখেন। কলঙ্কিত বেদে মানুষ কোথাকার?” “শোনো বউ, কলঙ্ক নারীর গায়ে লাগে—বেটা ছেলে এসবের ঊর্ধ্বে।” “তার মানে বলতে চাইতাছেন আপনার পরীমনির কোনো কলঙ্ক নেই? যত দোষ এই দুর্দানীর?” আবু রাসেল উদাস গলায় বললো, “বেটা ছেলে আর শিল্পী এক জাত। বেটা-ছেলে মতোর নায়িকারও কোনো কলঙ্ক নেই।” শেষ কথাটাই কাল হয়ে দাঁড়ালো আবু রাসেলের জন্য। রাত নটায় দুর্দানী বেগম ট্রাংক গুছিয়ে বাপের বাড়ি রওনা দিলো। “আমি গেলাম” এই কথাটুকু অবধি বলে গেলো না। তা, ফাঁকা বাড়িতে তেমন অসুবিধা হচ্ছে না আবু রাসেলের। পরীমনির জন্য স্পেশাল নফল নামাজ পড়ে গলা ছেড়ে দোয়া করতে পারছে। সবচেয়ে বড় সুবিধাটা এটাই।