টিয়া কথা.. 'আপন বোন জামাইয়ের প্রেমে পড়া কী যায়? তাও সে-ই বয়সে যখন আমি প্রেম শব্দটি ঠিক করে উচ্চারণ করা শিখিনি! কিন্তু জন্মের শুরুতেই নিয়তির নিষ্ঠুর নির্মমতা দিয়ে লেখা যে কপাল, তার জীবনটা এডভেঞ্চার পূর্ণ হবে এটাই স্বাভাবিক। বুঝি বা না বুঝি, আমি যখন অশান্ত সেই কিশোরের প্রেমে পড়ি, তিনি তখন আমার বোন জামাই হননি। কিংবা বলা চলে, আমার আপুর প্রেমেই তিনি পড়েননি। হয়ত আমাকে তীব্রভাবে ঘৃণা করা ছেলেটি বুঝতেই পারেনি, তিনি আসলে আমার আপুর প্রেমে কোনকালেই পড়েননি। প্রেম ছিলই না। একই ক্লাসে পড়ুয়া দুই সহপাঠী একে অন্যকে একটু বেশি পরিমাণে ভালো লাগাকে.. ওরা নাম দিয়েছিল "প্রেম"। সত্যিকার প্রেম কী তা আমাকে জিজ্ঞেস করুন। আগুনে পুড়ে খাঁটি স্বর্ণকে বলে গিনিসোনা। অসহনীয় কষ্ট, উপেক্ষা, মাত্রাতিরিক্ত অবহেলা আর তীব্র ঘৃণার দহনে জ্বলে জ্বলে আমার অবুঝ প্রেম ছাই হয়ে বাতাসে মিলিয়ে গিয়েছিল অসম্ভব রূপবতী বড় আপু টুম্পার সাথে আমার চোখে পুরুষ সৌন্দর্যের একমাত্র উপমা পোড়া ত্বকের তামাটে সুদর্শন পুরুষ শান্ত ভাইয়ার বিয়ের দিন। আমি সেদিন আক্ষরিক অর্থে নিঃস্ব হয়েছিলাম।' শান্ত কথা.. ঝাড়া তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেল, তবু হানিমুন শেষ হওয়ার নাম নেই নব দম্পতির। মিটিমিটি হাসে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ। এই জুটির গল্পটা ভীষণ মন কেড়েছে তাদের... একটি নয় মাসের অবোধ শিশুর প্রেমে পড়ে পনেরো বছরের এক দুরন্ত কিশোর। হানিমুনে এসে মিস্টার চৌধুরী প্রথম দিনের রিসোর্টের পার্টিতেই হলভর্তি আগত অচেনা অতিথিদের ভীড়ে, সবার সামনে কনফেশন বক্তব্য রেখেছিলেন। বলেছিলেন, নিজের অপরিণত বয়সের অনুভূতি। একবর্ণ বাদ রাখেননি স্ত্রীকে নিয়ে এক সুখী স্বামীর পাওয়া-না পাওয়ার উত্থান-পতনের স্মৃতিগুলো হাতড়ে হাতড়ে বিশদ ব্যাখ্যা বিবরণে.. কিংবা বলা ভালো কনফেশনে। আর নব পরিণীতা স্ত্রী! কী করছিল তখন.. লাভ এট ফার্স্ট সাইট কনফেশনে কী বলেছিল সে? এটি অবশ্যই বলার মতো একটি ঘটনাই বটে। 'আমি---আমি শুধু কেঁদেছিলাম।' পুরোটা সময় স্বামীর বুকের সাথে লজ্জায় মিশে থাকা সে-ই মেয়ে রিনিঝিনি সুরে এতটুকুই বলতে পারে। স্ত্রীর আরক্তিম গালে নাক ডুবিয়ে ত্বকের ঘ্রাণ নিতে নিতে অশান্ত পুরুষটি একটু থেমে মধুর সুমিষ্টতায় কণ্ঠ ঝেড়ে কনফেশনে বলল, 'আর তুমি কেঁদেছিল বলে.. এক শান্ত কিশোর ডুবে মরেছিল অশান্ত সে-ই বানভাসি----তোমার অশ্রুজলে।'
"খুব সুন্দর লিখেন আপু আমি আগে ও আপনার গল্প পড়েছি যা মন ছুয়ে যায়।এক কথায় পয়সা উসুল"
পরিবারের সবার অনাদরে, অবহেলায় আর শুধুমাত্র বাবার আদরে বেড়ে ওঠা টিয়ার গল্পকাহিনী নিয়েই "ট্রাভেলিং প্রিন্সেস"। এক পনেরো বছরের শান্ত কিশোর নয় মাসের শিশুর কান্নার প্রেমে ডুবে মরেছিল--" আর তুমি কেদেঁছিলে বলেই এক শান্ত কিশোর... ডুবে মরেছিল, অশান্ত সে-ই বানভাসি--- তোমার অশ্রুজলে।" একাপু তার সবকটি বইয়ের মতো এই বইটিতেও খুব সুন্দরভাবে গুছিয়ে বাস্তবিকতার ছোঁয়ায় ফুটিয়ে তুলে ধরেছেন প্রতিটি চরিত্রকে। ধন্যবাদ লেখিকা একাপু❤️❤️❤️।
Read all reviews on the Boitoi app
ভীষণ সুন্দর
এটা আগে একটু পড়ে ছিলাম ফেসবুকে। আর্ধেক পড়া গল্প আমার অস্বস্তী লাগায়। তাই এবার ইবুক পেয়ে খুশী হয়েছিলাম। এতো সুন্দর বাস্তবতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতে কজন পারে।বিধাতা সবাইকে তার প্রাপ্য স্থান দেখিয়ে দেয়। ❤️একাপু ভালোবাসা নিও। তোমার সব ইবুক আলহামদুলিল্লাহ আমার সেল্ফে। 😘
অসাধারণ ❤️
মাশাআল্লাহ! দারুণ!! আর একটি মন ছুঁয়ে যাওয়া উপন্যাস! অনলাইনে যখন ধারাবাহিক ভাবে আসতো অনেক অপেক্ষা করতাম, এতো ভালো লাগতো কিন্তু অবাক বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে,, ই-বুকে যে কাহিনী লেখিকা আপু তুলে ধরেছেন তার ছোট্ট একটি অংশ ধারাবাহিকে ছিলো।আসল টুইস্ট তো #ই_বুকে... আমি তো ঘোর থেকে বের হতে পারছিনা॥ একটি বাবার রাজকন্যার জীবন বৃত্তান্ত.... তাঁর জন্ম থেকে শৈশব কৈশোর পেরিয়ে পরিণত/অপরিণত বয়সের আবর্তিত সকল ঘটনা প্রবাহ...! সেখানে আছে হাসি,কান্না, অবহেলা, ঘৃণা ,কারও গোপন অভিসার,ব্যাভিচার, সমাজের এক একটি বাস্তবতা, নিয়ম-কানুন...পরিশেষে একটি মেয়ের অবস্থান শক্ত ভাবে উপস্থাপন করা...।। আর তার সঙ্গে যুক্ত আরও অনেক ঘটনা, অনেক চরিত্রের ভূমিকার প্রকাশ নিয়ে তৈরি #ট্রাভেলিং_প্রিন্সেস... একটি মেয়ের জীবন, পথচলা, সমাজের অন্ধকার দিক, আশৈশব লালন করা প্রেমের পরিণতি খুব সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন লেখিকা আপু। ★ঘৃণা অবহেলায় জর্জরিত হয়ে মুখ থুবড়ে পড়া নয় ,, উঠে দাঁড়ানো... নিজের জন্য কিছু বলা এবং তার জন্য ভরসার হাত হয়ে এগিয়ে আসা,,,এই দিকগুলো উপন্যাসের আকর্ষণীয় দিক মনে হয়েছে। ★সবশেষে একটি সুখী ও রোমান্টিক উপন্যাস।। আশা করছি সবার অনেক ভালো লাগবে ।
khub sondor cilo golpota
অদ্ভুত সুন্দর🥰
খুব সুন্দর লিখেন আপু আমি আগে ও আপনার গল্প পড়েছি যা মন ছুয়ে যায়।এক কথায় পয়সা উসুল
গতকাল ই পড়া শেষ নতুন ইবুক!! ভাবলাম, একটু গুছিয়ে পোস্ট দেবো। এখন লিখতে এসে দেখি, কি বলবো, কি লিখবো - খুঁজে পাই না মাথা হাতড়ে কিচ্ছু ই..... এক দু:খী রাজকন্যার বেড়ে ওঠা, পথচলা আর সবশেষে নীড়ের ঠিকানা খুঁজে পাওয়ার জার্নি নিয়েই - ট্রাভেলিং প্রিন্সেস!! ঘটনা প্রবাহ বেশ অদ্ভুতুড়ে... পড়া শেষে আমার নিজেরই মনে হচ্ছিলো - কী দরকার ছিলো, হয়তো অনেক কিছুই এড়ানো যেতো ঠিক সময়ে মুখ খুললে! সবার চিন্তা না করে একটুখানি স্বার্থপর হলে..... পরে নিজেই ভাবলাম... হয় তো এমন আসলেই!! জীবন অনেক সময় আমাদের এমন কিছু পরিস্থিতি তে দাঁড় করায়, তখন আসলে নিজের চিন্তা করা যায় নাহ!! মেনে নিয়ে, মানিয়ে নিয়ে তাল মেলাতেই হয়!! তবে দিনশেষে সত্যি সামনে আসেই.... কোনো না কোনো ভাবে!! নদী যেমন যেয়ে সাগরে মেশে, শত বাধা পেরিয়ে! ঠিক তেমন করেই.... টিয়া ঠিক তার গন্তব্যে পৌঁছে যায় সব পেরিয়ে!! আপাতত পড়া শেষ করেছি ধরেই মাথায় গুনগুনিয়ে খুব প্রিয় একটা গান বেজে যাচ্ছে৷ পোস্টের সাথে জুড়ে দেয়ার লোভ সামলানো গেলো নাহ...... " তোমায় পেয়ে….. হয় যে মনে.. আর জনমেও সাথী ছিলাম আমরা দু’জন, মনের সুখে অনেক জনম ঘুরে এলাম…… বলছি তোমার কানে কানে আমার তুমি!! বলছি আমার গানে গানে আমার তুমি...... "
সুখ সুখ,কষ্ট ,কান্না ভালোবাসা অনুভূতি নিয়ে পড়া শেষ করলাম !!!!প্রতিটা শব্দ ,লাইন মিশ্র অনুভূতি নিয়ে ভরপুর ।কোন একটা জায়গায় মনে হয় নাই বিরক্ত লাগতেছে ,দরকার ছিলো না ,,,,, অদ্ভুত অদ্ভুত অদ্ভুত সুন্দর !!!!এক আপু মানেই ভিন্ন ,নতুন কিছু । বাবার প্রিন্সেস আর তার স্বপ্নপুরুষ এর রোমান্টিক উপন্যাস ।